করোনার কারণে বিশ্বের অনেক আর্ট মিউজিয়াম বন্ধ। এর মধ্যে কিছু মিউজিয়াম সীমিত আকারে খুলেছে। আর কিছু মিউজিয়াম কোন দিন খুলবে কিনা সন্দেহ। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের প্রথম ভার্চুয়াল আর্ট মিউজিয়াম চালু হয়েছে। ইমপ্রেশনিস্ট ও পোস্ট ইমপ্রেশনিস্টদের আঁকা ছবির সবচেয়ে বড সংগ্রহশালা ফ্রান্সের ‘মুজি ডরসে’ মিউজিয়াম। সেখানে ভ্যান গগ, ক্লদ মনে, এডুয়ার মানে, এডগার ডেগা, পল গোগার মতো শিল্পীদের ছবি রয়েছে।
ভার্চুয়াল আর্ট মিউজিয়ামে মুজি ডরসের কিছু ছবি যেমন শোভা পাবে, তেমনই প্রদর্শিত হবে নিউইয়র্কের ‘মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্ট’সহ নামকরা আরও কয়েকটি মিউজিয়ামের ছবি। থাকবে ডিজিটাল ছবিও। এই মিউজিয়ামে ঢুকতে কোন মূল্য দিতে হবে না। দর্শকদের ইন্টারএ্যাকটিভ অভিজ্ঞতা দিতে সিজিআই (কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজারি) ডিজাইনার, স্থপতি ও গেমিং এক্সপার্টদের পরামর্শ নিয়ে একটি বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। ভার্চুয়াল মিউজিয়ামটিতে একটি ডিজিটাল ভবনের আবহ তৈরি করা হবে। ফলে দর্শকরা আসল গ্যালারির মতোই বিভিন্ন তলায় গিয়ে ছবি দেখতে পাবেন। মিউজিয়ামের পরিকল্পক স্টুয়ার্ট সেম্পেল বলছেন, লকডাউনের সময় অনলাইনে বিভিন্ন মিউজিয়াম ঘুরতে গিয়ে দর্শকদের কাছে বিষয়টি অনেক ছবি একসঙ্গে গাঁথার মতো মনে হয়েছে। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ডিজিটাল ভবনে মিউজিয়ামটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিনামূল্যে মিউজিয়ামে প্রবেশের সুযোগ থাকায় সব ধরনের দর্শক সেখানে যেতে পারবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা। তারা বলছেন, দর্শকরা ইদানিং দাস প্রথা ও ঔপনিবেশিকতার সঙ্গে অনেক বিখ্যাত শিল্পকর্মের সংযোগ খুঁজে পাচ্ছেন। মিউজিয়ামের কিউরেটর লি কাভালিয়েরে বলেন, ‘আর্ট ওয়ার্ল্ডটা শ্বেতাঙ্গ দর্শকদের দিকে অনেকখানি ঝুঁকে রয়েছে। এটা শুধু নিউইয়র্ক, লন্ডন, প্যারিস আর হংকং। এটা (ভার্চুয়াল মিউজিয়াম) সেই প্রথা ভাঙ্গার একটা সুযোগ,’ বলে জানান। -ডয়েচে ভেলে
