ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইসি সচিব ক্ষমা না চাইলে আইনী ব্যবস্থা ॥ অধ্যাপক মিজান

প্রকাশিত: ০১:০৮, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

ইসি সচিব ক্ষমা না চাইলে আইনী ব্যবস্থা ॥ অধ্যাপক মিজান

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ডাঃ সাবরিনা শারমিন হুসেন ওরফে সাবরিনা আরিফের দ্বিতীয়বার ভোটার হওয়ার ঘটনায় তাকে জড়িয়ে বক্তব্য দেয়ায় নির্বাচন কমিশন সচিব ও এনআইডি উইংয়ের একজন টেকনিক্যাল এক্সপার্টকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান। ক্ষমা না চাইলে ‘মানহানির জন্য’ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের এই অধ্যাপক। এছাড়া এ বিষয়ে সম্প্রচারিত সংবাদ প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নিতে সময় টিভির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের। শুক্রবার এক বিবৃতিতে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘আমি এখনও আশা করি সময় টিভি কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন কমিশন আমার কাছে অপেশাদার ও অপরাধমূলক আচরণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবে। নির্বাচন কমিশন সচিবকে ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ সচিব যে শব্দ ব্যবহার করেছে, শব্দ চয়ন করেছে- আসামি করা হবে। এত বড় শব্দ- উনি আসামি শব্দের অর্থ বোঝেন কি না আমি জানি না। যদি ক্ষমা না চায় কে আসামি হবে- আমি দেখব।’ করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে জেকেজি হেলথ কেয়ারের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বরখাস্ত চিকিৎসক ডাঃ সাবরিনা। দুদকের অনুসন্ধানে তার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার তথ্য বেরিয়ে আসে, এ নিয়ে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন। তিনি দ্বিতীয়বার ভোটার জন্য আবেদন করেছিলেন ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি। তার ওই আবেদনে তৎকালীন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমানের একটি ভিজিটিং কার্ড পাওয়া গেছে বলে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটিও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মোঃ আলমগীর বলেন, যদি কেউ অন্যায় চাপ প্রয়োগ করে তদবির করেন, বা যেটা করা যাবে না ওটার বিষয়ে চাপ দিয়ে বলেন এটা দিতে হবে, তবে সেটা অন্যায়। এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র আইন অনুযায়ী উনিও একজন আসামি হবেন। অধ্যাপক মিজানুর রহমান দুই মেয়াদে ২০১০ সালের ২৩ জুন থেকে ২০১৬ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সে সময় তদবির করেছিলেন, না কি তার কার্ড ব্যবহার করা হয়েছিল সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় ভিআইপিদের কাছে অনেকে কার্ড চান। কিন্তু কার্ডটা যে উনি নিয়ে কোথায় লাগাবেন সেটা তো ওই ভিআইপি জানেন না। এজন্য যারা সচেতন, তারা কার্ড দেয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকেন। যে কেউ কার্ড চাইলে দেন না। তিনি (ভিআইপি) যদি প্রভাব খাটিয়ে অন্যায় করেন। আর যদি দেখা যায় উনি প্রভাব খাটাননি, উনার রেফারেন্সে হয়ে এসেছেন। এক্ষেত্রে তদন্তে বের হবে উনি প্রভাব খাটিয়েছেন কি না। আইন সবার ক্ষেত্রে সমান।’
×