ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জলেই গেল ব্যাগ!

প্রকাশিত: ২২:২১, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

জলেই গেল ব্যাগ!

ফ্রান্সের সেন্ট লরা বুটিক থেকে এ্যালিগেটরের চামড়ার ব্যাগটি কিনেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এক নারী। শখ করে কেনা ব্যাগটির দাম পড়ে ২৬ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। তবে বৈধ অনুমতি ছাড়া আমদানি করায় সেটি পার্থ শহরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী জব্দ করে। পরে সেটি নষ্ট করে ফেলা হয়। ওই নারীর শখ পূরণ হলেও তা এভাবে জলে যাবে তা তিনি ভাবতেও পারেননি। এ্যালিগেটরের চামড়ার তৈরি পণ্য অস্ট্রেলিয়ায় আমদানির অনুমতি রয়েছে। যদিও সেজন্য ক্রেতাদের ৭০ অস্ট্রেলীয় ডলারের বিনিময়ে অনুমতি নিতে হয়। দেশটির পরিবেশমন্ত্রী সুসান লে সঠিক কাগজপত্রের আবেদনের জন্য এটিকে ‘ব্যয়বহুল অনুস্মারক’ বলে মন্তব্য করেছেন। কৃষি, পানি ও পরিবেশ বিভাগ বলছে, অবৈধভাবে ব্যাগ আমদানির জন্য ওই নারীর ২৬ হাজার ৩১৩ অস্ট্রেলীয়ান ডলার জলেই গেল। যে কারণে তারা ওই নারীর বিরুদ্ধে আর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। পরিবেশ সুরক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ আইন ১৯৯৯-এর অধীনে বন্যপ্রাণী বাণিজ্য অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ২ লাখ ২২ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরিমানা। বিপন্ন বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কনভেনশনের (কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইন এনডেঞ্জারড স্পাইসেস অব ওয়াইল্ড ফোনা এ্যান্ড ফ্লোরা, সাইটস) কঠোর নিয়ম মেনে এ্যালিগেটরের চামড়া দিয়ে তৈরি পণ্য অস্ট্রেলিয়ায় নেয়ার অনুমতি পায়। পরিবেশমন্ত্রী সুসান লে বলেন, আমরা অনলাইনে কি কিনছি, এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীগুলোকে রক্ষার জন্য প্রাণিজ পণ্যের বাণিজ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে অস্ট্রেলিয়ায় কী আসছে ও কী যাচ্ছে, সে বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছে সরকার। ব্যাগের ক্রেতা ফ্রান্স থেকে সাইটসের রফতানির অনুমতিপত্র নিয়েছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সাইটস ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমদানির অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন করেনি। অস্ট্রেলীয় সরকার বলছে, সীমান্তে অবৈধ উপায়ে বন্যপ্রাণী আমদানির ঘটনার নজরদারি করছে তারা। -বিবিসি
×