ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভিয়েতনাম কাতার ফেরতদের ৮৩ জনকে গ্রেফতার দেখানো হলো

প্রকাশিত: ২২:৫০, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০

ভিয়েতনাম কাতার ফেরতদের ৮৩ জনকে গ্রেফতার দেখানো হলো

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে ভিয়েতনাম-কাতার ফেরতদের মধ্যে ৮৩ বাংলাদেশীকে গ্রেফতার দেখালো পুলিশ। মঙ্গলবার ঢাকার তুরাগ থানার ওসি নুরুল মোত্তাকীন জানান, তাদের সবাইকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দু’জন কাতার থেকে ফেরত বাকিরা সবাই ভিয়েতনাম ফেরত। তারা সেখানে কেন বা কি অপরাধে জড়িয়ে জেলখানায় ছিলেন, তা জানতেই তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের জেলখানা থেকেই বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেশে ফিরেই প্রবাসী কর্মীরা রিক্রুটিং এজেন্সি, দালালদের বিচারের দাবি করে আসছিলেন। তারা ভিয়েতনাম গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। গত ১৮ আগস্ট দেশে ফেরার পর তারা দিয়াবাড়িতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। দেশে ফিরেছেন ১০৬ জন। তাদের মধ্যে ২৩ জনকে আটক দেখানো হয়নি। গত কয়েক দিন ধরেই ভিয়েতনাম ফেরতদের তালিকা করছিল পুলিশ। তাদের নামসহ বিস্তারিত ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়। এমনকি যারা এখনও ভিয়েতনামে রয়েছেন, তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে ফেরত আসাদের দাবি। ভিয়েতনামে মানব ও অর্থপাচারে জড়িত ২১ প্রতিষ্ঠান। প্রতি মাসে ৫শ’ ডলারের বেশি আয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ভিয়েতনামে নিয়েছিল রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। এদের মধ্যে অনেকেই প্রবাসে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেককে পাচারকারী চক্র অর্থপাচারের কাজেও জোরপূর্বক ব্যবহার করেছে। জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র নেয়া নয় রিক্রুটিং এজেন্সি ভিয়েতনামে কর্মী পাঠানোর ছাড়পত্র নিয়েছে। তাদের হয়েই কাজ করে দালাল চক্র। ভিয়েতনাম যেতে নেয়া হয় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা। এজেন্সিগুলো হচ্ছে, মেসার্স এ ঝর্ণা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (আরএল ১৭২৬), মেসার্স সন্ধানী ওভারসিস লিমিটেড (আরএল ৪১৬), মেসার্স মাম এ্যান্ড ম্যাম ওভারসিস (আরএল ১২১৭), মেসার্স মুন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল (আরএল ৫৯৩), মেসার্স ইস্তেমা ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (আরএল ১২৫১), মেসার্স আফিফ ইন্টারন্যাশনাল (আরএল ১৭২১), মেসার্স এসকে গ্লোবাল ওভারসিস (আরএল ১৪৪৭), মেসার্স রেজওয়ান ওভারসিস (১৩৬০) ও মেসার্স হোলি ওভারসিস লিমিটেড (আরএল ৭৫০)। কর্মী সংগ্রহ ও অর্থ লেনদেনে জড়িত ১২ প্রতিষ্ঠান। এগুলো হচ্ছে, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল (আরএল ১৩৩৪), স্টার লাইন এ্যাসোসিয়েট (আরএল ৭৭৬), মেসার্স দ্য জে কে ওভারসিস লিমিটেড (আরএল ১৫৯১), আল নোমান হিউম্যান রিসোর্স, মেসার্স সাতক্ষীরা ইন্টারন্যাশনাল (আরএল ৯৯৭), ম্যাশ কেরিয়ার সার্ভিসেস, এ্যাডভ্যান্ট ওভারসিস লিমিটেড (আরএল ১৫১৪), এম আক্তার এ্যান্ড সন্স (আরএল ১২৮৪), মেসার্স হাইওয়ে ইন্টারন্যাশনাল (আরএল ২৭), মেসার্স অলিম্পিক ট্রেইলক (বিডি) লিমিটেড, কাজি এন্টারপ্রাইজ ও রেঞ্জার ইন্টারন্যাশনাল। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দালালরা লোক জোগাড় করে বিদেশে পাঠিয়েছিল।
×