ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডেথ রেফারেন্সে জট ॥ ১১ বছরে মামলা দ্বিগুণ

প্রকাশিত: ২২:৩৯, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০

ডেথ রেফারেন্সে জট ॥ ১১ বছরে মামলা দ্বিগুণ

বিকাশ দত্ত ॥ দেশের বিচার ব্যবস্থায় ডেথ রেফারেন্স তথা মৃত্যুদ- অনুমোদন মামলার সংখ্যা বাড়ছে। বিগত ১১ বছরে এই ডেথ রেফারেন্স মামলার সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বর্তমানে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ৬ শতাধিক মামলা। প্রধান বিচারপতি মামলাগুলোর নিষ্পত্তির হার বাড়াতে বেঞ্চের সংখ্যা একটি থেকে বাড়িয়ে তিনটি করেছেন। তারপরও মামলার চেয়ে বিচারকের সংখ্যা কম হওয়ায় ডেথ রেফারেন্স মামলার জট বাড়ছে। সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় হলো, স্বাধীনতার পর বিগত ৪৯ বছরে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত কোন নারী আসামিরই ফাঁসি কার্যকর হয়নি। অথচ শতাধিক নারী আসামি ফাঁসির দ-াদেশ নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। সবমিলিয়ে ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তি না হওয়ায় কনডেম সেলে মৃত্যুর প্রহর গুনছে দেড় হাজারে বেশি কয়েদি। এতে বিচারপ্রার্থী ও আসামিগণ হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। এ্যাটর্নি জেনারেল অফিস বলছে, করোনার কারণে ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানি কম হচ্ছে। করোনার প্রভাব কমার সঙ্গে সঙ্গেই আদালতগুলোতে ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানি পুরোদমে শুরু হবে। জানা যায়, বিগত ২০০৪ সালের পহেলা এপ্রিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাক অস্ত্র। দেশে ধরা পড়া অস্ত্র চোরাচালানের সবচেয়ে বড় ওই ঘটনার পর ১৬ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়েও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। ঘটনার প্রায় দশ বছর পর ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এসএম মজিবুর রহমান ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসিতে মৃত্যুদ- কার্যকর), তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদ-ের আদেশ দেয়া হয়। ওই বছরের ১৬ এপ্রিল মৃত্যুদ- ও যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত কয়েক আসামির আপীল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট। এরপর ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ডেথ রেফারেন্স ও আপীল নিষ্পত্তি হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, আগের চেয়ে ২/৩ গুণ বেঞ্চ বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি মামলার শুনানিও বেশি হচ্ছে। শুধু ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলাই নয়, সুপ্রীমকোর্টে গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর ৬ শতাধিকের বেশি মৃত্যুদ-াদেশপ্রাপ্ত (ডেথ রেফারেন্স) মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১৫ সালের মামলার শুনানি হচ্ছে। বর্তমানে ২০১৬ সালের মামলার পেপারবুক তৈরির কাজ চলছে। পাশাপাশি মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে তিনটি বেঞ্চ নিয়োজিত করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলা, বিডিআর হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিগণের আপীল, রমনার বটমূলে বোমা বিস্ফোরণ মামলা, হরতালের সময় বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা, টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলা, রাজন হত্যা মামলা, রাকিব হত্যা মামলা, হলি আর্টিজান মামলার জেল আপীল, ফেনীর সোনাগাজী ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ডেথ রেফারেন্স, কোটালিপাড়ায় বোমা পুঁতে রাখার মামলা, পুলিশ কর্মকর্তা হত্যায় মেয়ে ঐশীর (মৃত্যুদ-) আপীল মামলাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রায় ৩০টিসহ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বেশ কয়েকটি মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- অনুমোদন) ও আসামির আপীল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আইনজীবীদের মতে, করোনার ধাক্কা উচ্চ আদালতেও লেগেছে। করোনার প্রভাব কেটে গেলে আদালতগুলোতে মামলার শুনানির হার অনেকাংশে বেড়ে যাবে। অন্যদিকে পেপারবুক তৈরিতে দেরি হওয়ায় ডেথ রেফারেন্স বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। বছরের পর বছর ধরে এসব মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় আসামি ও বিচারপ্রার্থীরা হতাশায় দিন কাটান। মৃত্যুদ-াদেশ হওয়া এসব আসামিকে দীর্ঘদিন কনডেম সেলে রাখার ফলে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। আইনজীবীগণের মতে, বিচারিক আদালতে দেয়া মৃত্যুদ- কার্যকর করতে হলে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়। যা ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- অনুমোদন) হিসেবে পরিচিত। হাইকোর্টের রায়ের পর সংক্ষুব্ধ পক্ষ আপীল বিভাগে আপীল করতে পারে। আর আপীলে আসা সিদ্ধান্তের পর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে সংক্ষুব্ধ পক্ষের আবেদন করারও সুযোগ আছে। আদালতে বিচারকের সংখ্যা তথা হাইকোর্টের বেঞ্চ অনুপাতে এখন ফাঁসির মামলার আসামির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিষ্পত্তি না হওয়াতে কনডেম সেলে মৃত্যুর প্রহর গুনছে ১৮৯৩ কয়েদি। এদিকে স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত দীর্ঘ ৪৯ বছরে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত নারী আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- কার্যকর করেনি কারাকর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক নারীর ফাঁসির আদেশ হলেও আজ পর্যন্ত কারও ফাঁসি কার্যকর হয়নি, ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে কেড়ে নেওয়া হয়নি কোনও নারীর জীবন। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘদিন কারাভোগ করে বেরিয়ে গেছে, কেউ মারা গেছে। কারও আপীলে শাস্তি কমেছে। অন্যদিকে সুপ্রীমকোর্টের আপীল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগে ঝুলে থাকা মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে দেরি হওয়ায় বিচারপ্রার্থী ও আসামিগণ হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। ফলে হাইকোর্ট বিভাগে বাড়ছে ডেথ রেফারেন্স মামলার জট। অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা জনকণ্ঠকে বলেছেন, আগে ডেথরেফারেন্স বেঞ্চ ছিল একটি। বর্তমান প্রধান বিচারপতি সেখানে তিনটি বেঞ্চ গঠন করেছেন। এখন এ সমস্ত বেঞ্চে শুধু ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানি করা হয়। অন্য কোন মামলার শুনানি করা হয় না। আগের চেয়ে যেমন বেঞ্চ বেড়েছে তেমনি মামলার শুনানিও বেড়ে গেছে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে একট্ িমৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামির মামলা নিষ্পত্তি করতে ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লেগে যায়। সে অর্থে আমাদের বিচারব্যবস্থা অনেক উন্নত। আমাদের ৬৪টি জেলায় বিচারিক আদালতগুলো প্রতিদিন একটি করে মামলার রায় দিলেও মাসে ৬৪টি দাঁড়ায়। মামলার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। কাজেই এ সমস্ত মামলা নিষ্পত্তি হতে একটু সময় লাগবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক মামলার শুনানি হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতি উন্নত হলেই গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর শুনানি শুরু হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে হাইকোর্টে ৫৩টি বেঞ্চের মধ্যে ৩৫টি ভার্চুয়াল এবং ১৮টি শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জনকণ্ঠকে বলেছেন, করোনার কারণে ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানি কম হচ্ছে। আশা করছি, করোনার প্রভাব কমার সঙ্গে সঙ্গে আদালতগুলোতে ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানি পুরোদমে শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, শুনানির পাশাপাশি ডেথ রেফারেন্স বেঞ্চের সংখ্যা বাড়াতে হবে। তা হলে দ্রুত মামলাগুলোর নিষ্পত্তি হবে। ডেথ রেফারেন্সের পরিসংখ্যান ॥ সুপ্রীমকোর্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে ডেথ রেফারেন্স মামলা ছিল ৫৮৫টি, এর মধ্যে মাত্র ৪৩টির নিষ্পত্তি হয়েছে। বিচারাধীন ৫৪২টি। ২০১১ সালে মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০৯টিতে। নিষ্পত্তি হয় ৭৪টি। ২০১২ সালে মামলা ছিল ৫৯৫টি, নিষ্পত্তি হয় ১৪৫টি। ২০১৩ সালে ছিল ৫১৩টি, নিষ্পত্তি হয় ১১১টি। ২০১৪ সালে ছিল ৪৯৮টি, নিষ্পত্তি হয় ১৩৫টি। ২০১৫ সালে ছিল ৪৭৭টি, নিষ্পত্তি হয় মাত্র ৫৮টি। ২০১৬ সালে ছিল ৫৮০টি, নিষ্পত্তি হয় মাত্র ৪৫টি। ২০১৭ সালে ছিল ৭০৬টি, নিষ্পত্তি হয় মাত্র ৬৬টি। ২০১৮ সালে মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭১১টিতে, নিষ্পত্তি হয় মাত্র ৮৩টি। ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৭২১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বর্তমানে ছয়শতাধিকের বেশি মামলা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। হাইকোর্টে বাড়ছে ডেথ রেফারেন্স মামলার সংখ্যা। গত বছর যে পরিমাণ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, দায়ের হয়েছে তার তিনগুণ। মামলার সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে নিষ্পত্তিতে লাগছে দীর্ঘ সময়। এতে একদিকে যেমন দোষী ব্যক্তির শাস্তি বিলম্বিত হচ্ছে, তেমনি দোষ প্রমাণ না হলে নির্দোষ ব্যক্তিকেও দীর্ঘদিন বিনাবিচারে কারাবরণ করতে হয়। সিনিয়র আইনজীবীদের মতে, হাইকোর্টে অধস্তন বেঞ্চের সঙ্কটের পাশাপাশি দক্ষ বিচারপতি ও আইনজীবীর সঙ্কট রয়েছে। হাইকোর্টেও বিচারকের সঙ্কট রয়েছে। এছাড়া, অনেক বিচারক ডেথ রেফারেন্সের মামলা শুনতে চান না বলে জট সৃষ্টি হয়। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে শুধু বেঞ্চ বাড়ালে চলবে না, বিচারপতি নিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা। আইনজ্ঞরা বলছেন, মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার কারণে দোষী ব্যক্তির শাস্তি বিলম্বিত হচ্ছে; আবার অনেককে বিনাবিচারে কারাগারে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘদিন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা ॥ বহুল আলোচিত বর্বরোচিত ভয়াবহ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপীল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য ২২ হাজারের বেশি পেপারবুক যাচাই-বাছাই চলছে। সুপ্রীমকোর্টে যাচাইবাছাই শেষে তা প্রধান বিচারপতির নিকট উপস্থাপন করা হবে। তার পর শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ গঠন করবেন। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন মামলা দুটিতে রায় ঘোষণা করেন। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদ-ের আদেশ প্রদান করে। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্যের আদেশ দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ১১ আসামির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- হয়। রমনা বটমূলে বোমা হামলা ॥ দীর্ঘ ১৯ বছরেও রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় করা দুটি মামলা (হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন) নিষ্পত্তি হয়নি। দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলাটির রায় নিম্ন আদালত থেকে ঘোষণা করা হলেও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটির নিষ্পত্তি হয়নি। হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- নিশ্চিতকরণ) এবং আসামিদের আপীলের শুনানি হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হয়নি। ২০১৪ সালের বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার পরে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে। একই সঙ্গে জেল আপীল হয়। পরে পেপারবুক প্রস্তত করে মামলাটি একটি বেঞ্চে ছিল। ওই বেঞ্চের এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় উল্লেখিত বেঞ্চে কার্যতালিকায় আসে মামলাটি। মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকার টপের দিকে (শীর্ষে) ছিল। আইনজীবীগণের আশাবাদ- শীঘ্রই এটি কার্যতালিকায় আসতে পারে। শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলিবর্ষণ ও হামলা ॥ ২১ জুলাই শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ ও হামলার ঘটনায় মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপীল আবেদন করা হয়েছে। আপীলে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিসহ সব আসামির খালাস চাওয়া হয়েছে। ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে বোমা হামলা ও গুলির মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ৮ জনসহ মোট ৪৩ জন খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপীল করেছে। ২০১৯ সালের ৩ জুলাই এ মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে ৪৭ জনকে সাজা দেয় আদালত। এটিএম আজহারুল ইসলাম ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও আলবদর কমান্ডার এ টি এম আজহারুল ইসলামের দ-ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন শুনানির অপেক্ষায়। চলতি বছরের ১৯ জুলাই আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়। ওইদিন সকালে আপীল বিভাগের রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার পরই দুপুরে ১৪টি যুক্তিতে রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়।
×