ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চুয়েট ও কুয়েটে বর্ষপূতি পালন

প্রকাশিত: ২১:১১, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০

চুয়েট ও কুয়েটে বর্ষপূতি পালন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে উদ্যাপিত হলো এবারের চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (চুয়েট) ১৮তম দিবস। মঙ্গলবার এ উপলক্ষে বের করা হয় শোভাযাত্রা। তবে করোনার কারণে তা বরাবরের মতো বর্ণাঢ্য রূপ ধারণ করেনি। চুয়েট দিবসের অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানতম কাজ হচ্ছে গবেষণা করা। নতুন নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি করা। দেশকে এগিয়ে নিতে এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিকল্প নেই। বর্তমানে গবেষণার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দের কমতি নেই। সেজন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে আগামী চারবছরে বিশ^বিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিতে চাই। এক্ষেত্রে চুয়েট পরিবারের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। চুয়েটের জাতীয় দিবস উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ও পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ রবিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মইনুল ইসলাম, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ‘চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’ হিসেবে যাত্রা শুরু করে পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের ১ জুলাই ‘বিআইটি চট্টগ্রাম’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস থেকে জানান, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে মঙ্গলবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ১৭তম বর্ষপূর্তি, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন এবং সভাপতিত্ব করেন বিশ^বিদ্যালয় দিবস উদ্্যাপন কমিটির সভাপতি ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতি বছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করলেও করোনা মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতিতে এবার সংক্ষিপ্ত পরিসরে দিবসটি উদযাপন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা। পতাকা উত্তোলন শেষে প্রধান অতিথি বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করেন। এরপর সকাল ১০টায় বিশ^বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন লেকের পাড়ে বৃক্ষরোপণ, সাড়ে ১০টায় লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, ১১টায় কুয়েটের অর্জন অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত-প্রেজেন্টেশন (জুম এর মাধ্যমে), সাড়ে ১১টায় আলোচনা সভা (জুম এর মাধ্যমে) ও বাদ আছর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, প্রথমে ১৯৬৭ সালে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৯৭৪ সালে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।
×