ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁচা পাট রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা না দেয়ার দাবি পাট রফতানিকারকদের

প্রকাশিত: ২৩:২৪, ৩০ আগস্ট ২০২০

কাঁচা পাট রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা না দেয়ার দাবি পাট রফতানিকারকদের

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ কাঁচা পাট রফতানি ওপর প্রস্তাবিত কর আরোপ বন্ধসহ বিদেশ কাঁচা পাট রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা না দেয়ার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েশনের অধিভুক্ত পাট রফতানিকারকরা। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নগরীতে বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেএ’র ভাইস চেয়ারম্যান আরজু রহমান ভুইয়া এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, চলতি বছর সরকারী হিসাব অনুযায়ী দেশে ৮৪ লাখ বেল পাট উৎপাদন হয়েছে। সম্প্রতি চলমান বন্যা ও করোনাকালীন পরিস্থিতিতে সার বীজের সঙ্কটের কারণে দেশে ৫ লাখ বেল মণ পাটের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত অর্থবছরে বিজেএমসির কাছে সাড়ে ছয় লাখ বেল পাট এখনও উদ্বৃত্ত রয়েছে। সে হিসাবে এবার বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও দেশে প্রায় ৭২ লাখ বেল কাঁচা পাট উৎপাদন হবে। অভ্যন্তরীণ শিল্প-কারখানায় পাটের প্রয়োজন ৫৫ লাখ বেল পাট। ফলে দেশে উৎপাদতি কাঁচা পাট উদ্বৃত্ত থাকবে ১৭ লাখ বেল। বিজেএ মাত্র সাড়ে আট লাখ বেল কাঁচা পাট চলতি বছর রফতানি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ) এবং বাংলাদেশ জুট মিলস এ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) ইতোমধ্যে সরকারের নিকট প্রতি টন কাঁচা পাট রফতানির জন্য ৮৫০ ডলার রফতানি শুল্ক ধার্য করার জন্য যে আবেদন করেছেন তা সম্পূর্ণ অযোক্তিক, বাস্তবতা বিবর্জিত। যা পাট শিল্পের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে এবং কাঁচা পাট রফতানিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে। এটি সরকার বাস্তবায়ন করলে একদিকে যেমন কাঁচা পাট রফতানিকারকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অন্যদিকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজার হারাবে। এর ফলে কৃষকরা পাটের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- দেশের সর্ববৃহৎ কাঁচা পাট রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান পপুলার জুট এক্সচেঞ্জের পরিচালক অরুপ কুমার হোর এবং ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্সের পরিচালক গনেশ কুমার সাহাসহ নারায়ণগঞ্জের ২০ জন কাঁচা পাট রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক ও তাদের প্রতিনিধি। দেশের পাট রফতানি বন্ধ করতে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে দাবি করে জুট এ্যাসোসিয়েশনের নেতারা অভিযোগ করেন, স্পিনার এ্যাসোসিয়েশনের ১০টি প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেট করে কাঁচা পাটের দর কমাতে এবং পাট মজুদ করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য অযোক্তিক প্রস্তাব তুলে ধরছে। এব্যাপারে সরকারকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানান।
×