ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ৩০ আগস্ট ২০২০

সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সূচকের উত্থানের মাধ্যমে আরও একটি সপ্তাহ পার করেছে দেশের উভয় শেয়ারবাজার। মূল্য সূচকের সঙ্গে গত সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহটিতে লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে। লেনদেন কমলেও শেয়ারও ইউনিটের দাম বাড়াতে উভয় শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা ১৮ হাজার ৮৪২ কোটি ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে। গত সপ্তাহে ভাল-মন্দ সব ধরনের কোম্পানিরই দর বেড়েছে। বিশেষ করে স্বল্পমূলধনী কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগকারীদের চাহিদা ছিল বেশি। জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর সেটেলেমেন্টের সময় কমিয়ে আনা এবং অল্প শেয়ার সংখ্যার কারণে একটি গ্রুপ দ্রুত শেয়ারগুলো থেকে টাকা উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। মূলত এই কারণে কোম্পানিগুলোতে চাহিদা বেড়েছে। সপ্তাহের শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৯.১১ পয়েন্ট বা ১.৬৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৭৩.১৮ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩০.২৭ পয়েন্ট বা ২.৭৫ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪৩.০৩ পয়েন্ট বা ২.৬১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৩০.৬১ পয়েন্টে এবং ১৬৯০.১০ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ১৪৪ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৩৮৪ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৭৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার ৬৬২ টাকা বা ২৯.৭৪ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৮৯৮ কোটি ০০ লাখ ৯৪ হাজার ০৪৬ টাকার। ডিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে ৮২৮ কোটি ৮৪ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৭ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৭৯ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার ৮০৯ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩৫০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৬ হাজার ১৩২ টাকা কম হয়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫৬ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ৯ হাজার ৮৬৬ কোটি ৪৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা বা ২.৭৪ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬০টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮১টির বা ৫০.২৭ শতাংশের, কমেছে ১৫০টির বা ৪১.৬৬ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির বা ৮.০৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭৬.৩৮ পয়েন্ট বা ১.২৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৭৩.০২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১১৯.০৪ পয়েন্ট বা ১.৪৪ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৩৩৭.৫৬ পয়েন্ট বা ২.৮৭ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৮.৫৮ পয়েন্ট বা ১.৮৬ শতাংশ এবং সিএসআই ১৬.৩৯ পয়েন্ট বা ১.৮৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ৩৮৪.৯৪ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৭৫.৫০ পয়েন্টে, ১০১৮.৮৬ পয়েন্টে এবং ৯০০.৭৭ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ১৪ হাজার ৬১০ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৬৯ কোটি ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৩১ কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ৮৬৮ টাকা বা ১৮.৭১ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহে সিএসইর বাজার মূলধন ৮ হাজার ৯৭৬ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকা বা ৩.০৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৮ কোটি ৭৭ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। আগের সপ্তাহে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৯০ হাজার ৮৯২ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। সিএসইতে ৩১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৩টির বা ৪৫.১১ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৪৩টির বা ৪৫.১১ শতাংশের কমেছে এবং ৩১টির বা ৯.৭৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
×