ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মেডিক্যাল সেক্টরে ডিজিটালাইজেশনের অনেক সুযোগ রয়েছে -শরিয়ত রহমান

প্রকাশিত: ২৩:৪৩, ২৯ আগস্ট ২০২০

মেডিক্যাল সেক্টরে ডিজিটালাইজেশনের অনেক সুযোগ রয়েছে -শরিয়ত রহমান

আইটি ডট কম প্রতিবেদক বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সেরা দশটি স্টার্টআপ কোম্পানির একটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘আমার আস্থা’। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বুয়েটের আরেক সাবেক শিক্ষার্থী আমেরিকা প্রবাসী প্রকৌশলী জাভেদ ইকবালকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘আমার আস্থা’ নামক হোম কেয়ার সার্ভিস কোম্পানি। গ্রাহক ওয়েবসাইট, এ্যাপ, ফেসবুক পেজ ও হটলাইনের মাধ্যমে সার্ভিসের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। প্রথমদিকের গল্প বলতে গিয়ে জাভেদ বলেন, নার্সিং এমন একটি জায়গা যেখানে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা অনেক কঠিন কাজ। আপনি নিশ্চয়ই অপরিচিত অনাস্থাবান কারো কাছে আপনার বয়স্ক বাবা, মা অথবা আপনার ছোট সন্তানটিতে রেখে যাবেন না। তাছাড়া এমন অনেক ক্লায়েন্ট আছেন যাদের পুরো বাসায় শুধু ঐ অসুস্থ মানুষ বা বাচ্চাটাই থাকে। তাই প্রথমদিকে আমাদের বেশ বেগ পোহাতে হয়েছিল। একে তো স্টার্টআপ কোম্পানি। অন্যদিকে দেশে এ ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সেবা সম্পর্কে অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা ছিল না। করোনাকালীন যখন সবাই রোগীর স্বাভাবিক সেবা নিয়ে চিন্তিত, তখন প্রথম থেকেই নিরবচ্ছিন্ন হোম নার্সিং সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে আমার আস্থা। একজন করোনা রোগীর সেবা শুধু পেশাদার কেউ দিতে পারবে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত নার্স ও এটেন্ডেন্টের মাধ্যমে করোনা রোগীর সার্বিক পরিচর্যার কাজটি একাই সামলে নিয়েছে ‘আমার আস্থা’। শুধু তাই নয়, করোনাকালীন শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া রোগীর জন্য অন্যতম জরুরী বস্তু হচ্ছে মেডিক্যাল অক্সিজেন সিলিন্ডার, যা বেশ দুর্লভ ও ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে পড়েছে। সেজন্য জরুরী ভিত্তিতে ও ন্যায্যমূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার ভাড়া দেয়ার পাশাপাশি রিফিলও করে দিচ্ছে তারা। বিনিময়ে অর্জন করেছে অসংখ্য মানুষের ভালবাসা ও দোয়া। ‘আমার আস্থার’ আরেকটি সেবা হলো ডায়াগনস্টিক হোম সার্ভিস। এ বিষয়ে শরিয়ত রহমান বলেন, এই দুর্যোগকালীন অনেকেই বাসা থেকে বের হয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে টেস্ট করাতে ভয় পান। সেজন্য রোগীর বাসায় গিয়ে রক্ত-মূত্র সংগ্রহ করে আন্তর্জাতিকমানের পার্টনার ল্যাবে পরীক্ষা করে ইমেইল বা হোম ডেলিভারির মাধ্যমে রিপোর্ট পৌঁছানো হয়। বিশেষ করে করোনা রোগীর জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে সেবাটি। শরিয়ত রহমানের আরেকটি উদ্যোগের নাম ‘শান মেডিক্যাল টেকনোলজি’। মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করার পাশাপাশি এর মেরামত, এক্স-রে বা ইসিজির অনলাইন রিপোর্টিং, সেবা প্রতিষ্ঠানটি দিয়ে থাকে। শরিয়ত রহমান মনে করেন, বাংলাদেশের মেডিক্যাল সেক্টরে ডিজিটালাইজেশনের অনেক সুযোগ রয়েছে, আছে অপার সম্ভাবনা।
×