ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উইঘুর গণহত্যা বন্ধে চীন দূতাবাস ঘেরাও করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ

প্রকাশিত: ২৩:৩২, ২৯ আগস্ট ২০২০

উইঘুর গণহত্যা বন্ধে চীন দূতাবাস ঘেরাও করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চীনের উইঘুর মুসলমান গণহত্যা দিবস উপলক্ষে হত্যা ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও সচিত্র প্রদর্শনী কর্মসূচী পালন করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। যেখানে উইঘুর মুসলমান নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন- অবিলম্বে চীনের সংখ্যালঘু উইঘুরদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশে অবস্থিত চীন দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচী পালন করা হবে। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুনের সঞ্চালনায় উক্ত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। কর্মসূচীতে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান রাজু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট এজেডইউ প্রিন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, চকবাজার থানা শাখার সভাপতি আশরাফ উদ্দিন স্বাধীন, যাত্রাবাড়ী থানা শাখার সভাপতি শেখ মাসুদসহ প্রমুখ। কর্মসূচী থেকে তিন দফা দাবি তুলে ধরে বলা হয়েছে, চীন সরকার কর্তৃক জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলমানদের হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চীনের উইঘুর মুসলিম গণহত্যার বিচার করতে হবে। আল মামুন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সবসময় মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। বিশ্বের সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা প্রত্যেকটি মানুষের নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব বলে মনে করি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় প্রত্যেকটি দেশের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু চীন সরকারের সাম্প্রদায়িক কর্মকান্ডে আমরা মারাত্মকভাবে উদ্বিগ্ন। চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত এক কোটি ২৬ লাখ মুসলমানদের ওপর অমানবিকভাবে নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো হচ্ছে যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়। মুসলিমদের সংখ্যা কমানোর জন্য মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো, জোরপূর্বক জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ খাওয়ানো, পবিত্র কোরান নিষিদ্ধ করা, ধর্মান্তরিত করা, নারীদের ধর্ষণ, বন্দী শিবিরে আটকে রেখে নির্যাতন করা ইত্যাদি কর্মকা-ের মাধ্যমে চীন সরকার প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর কোন জোরালো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলমানদের মসজিদ ভেঙ্গে পাবলিক টয়লেট বানানো হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া কখনই উচিত নয়। প্রত্যেক মানুষ তাদের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করার অধিকার রাখেন। কিন্তু চীন সরকারের সাম্প্রতিক উইঘুর মুসলিম নির্যাতনের কর্মকা-ই প্রমাণ করে তারা কখনই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে না। ফ্রিডম ওয়াচের তথ্য দিয়ে আল মামুন আরও বলেন, চীন হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম ধর্মীয় নিপীড়ক দেশ। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকায় এসব নিপীড়নের গোঙানির শব্দ বিশ্ববাসী খুব একটা জানতে পারে না। কালেভদ্রে কিছু জানা যায়।
×