ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাচ্ছে

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ২৯ আগস্ট ২০২০

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাচ্ছে

কাওসার রহমান ॥ বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্যের চার পথেই এখন দুই দেশের মধ্যে খুলে যাচ্ছে নতুন নতুন সব সাপ্লাই চেন। এতদিন সড়ক ও নদীপথে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য চলে আসছিল। এখন এই দুই পথের পাশাপাশি সমুদ্রপথ ও রেলপথেও শুরু হয়েছে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য। সেই সঙ্গে আরও বিস্তৃতি হচ্ছে নৌপথের বাণিজ্য। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে প্রথম চালু হচ্ছে কুমিল্লা থেকে ত্রিপুরা সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ। যা সামনের দিনগুলোতে দুই দেশের চিরাচরিত বাণিজ্যের ছবিটাই পাল্টে দেবে। চিরাচরিতভাবেই ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের ‘নার্ভ সেন্টার’ ছিল পেট্রাপোল-বেনাপোল আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর। দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানির প্রায় আশি শতাংশই সীমান্ত পারাপার করে এই বন্দর দিয়ে। সাম্প্রতিক এই রুটের পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্যে এমন কয়েকটি নতুন রুট খুলে গেছে বা চালু হয়েছে, যা কিছুদিন আগেওঅকল্পনীয় ছিল। কিছুটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাধায় ও কিছুটা করোনা আতঙ্কে পেট্রাপোল সীমান্তে মালপত্র খালাসের কাজ বহুদিন বন্ধ ছিল। সেই প্রতিবন্ধকতাও এই নতুন সাপ্লাই লাইনগুলো চালু করার ক্ষেত্রে ‘ক্যাটালিস্টের’ কাজ করেছে। সব মিলিয়ে এখন সড়কের সঙ্গে সমুদ্রপথ ও নদীপথ এবং রেলপথ- এই চার পথেই দুই দেশের মধ্যে খুলে যাচ্ছে নতুন নতুন সব সাপ্লাই চেন। যা দুই দেশের বাণিজ্যে গতি আনবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। দুই দেশের মধ্যে চালু হওয়া নতুন রুট বা সাপ্লাই চেনগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট পার্সেল ট্রেন, কলকাতা-হলদিয়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর পর্যন্ত জাহাজ চলাচল এবং নতুন নতুন ইনল্যান্ড ওয়াটার প্রোটোকল। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট পার্সেল ট্রেন (কার্গো বা মালবাহী), যা সীমান্ত পার হচ্ছে রেলপথে গেদে-দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্র থেকে পেঁয়াজ ও চিনির বিশাল চালান এই পথে বাংলাদেশে এসেছে। এছাড়া প্রথমবারের মতো অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর থেকে শুকনো মরিচের পার্সেলভ্যানও (মালগাড়ি) বাংলাদেশে পৌঁছেছে। কলকাতা-হলদিয়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর পর্যন্ত জাহাজে পণ্য চলাচলও শুরু হয়েছে। সম্প্রতি কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট থেকে চট্টগ্রামে এসেছে এমভি (মার্চেন্ট ভেসেল) সেঁজুতি। পণ্যবাহী জাহাজটি গত ২০ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছয়। প্রথম চালানে সেঁজুতি যেসব কন্টেনার নিয়ে এসেছে তা মূলত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য। তবে এই পথে আগামীদিনে বাংলাদেশের জন্যও পণ্য যেতে পারবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদিকে, এরমধ্যেই চালু হয়েছে নতুন নতুন ইনল্যান্ড ওয়াটার প্রোটোকল (আইডব্লিউপি), যাকে বলে অভ্যন্তরীণ নদীপথে বাণিজ্য। কলকাতা থেকে সুন্দরবন-মোংলা-খুলনা হয়ে নদীপথে ঢাকা পর্যন্ত পর্যটকদের নিয়ে প্রমোদ তরীর ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে অনেক আগেই। এখন সেই একই পথে কার্গো চলাচলের প্রস্তুতিও সম্পন্ন। এছাড়া আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে চালু হতে চলেছে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি ও ত্রিপুরার সোনামুড়ার মধ্যে অভ্যন্তরীণ জলপথ যোগাযোগ। গত মে মাসে ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল যাত্রাপথের অংশ হিসেবে ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গঙ্গোপাধ্যায় দাস ও বাংলাদেশ সরকারের জাহাজ সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তার মধ্যে ছিল সোনামুড়া-দাউদকান্দি নৌপথ। গোমতী নদীপথে ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার দাউদকান্তি পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ অভ্যন্তরীণ নৌপথ চালু করার অনুমোদনও আগেই দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ। বছরভর যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকার কারণে এই পরিকল্পনায় গোমতী নদীপথকে বেছে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের করা সমীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীপথের ৮৯.৫ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশে এবং ৫০০ মিটার ভারতে। গত জুলাই মাসে ভারত-বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন প্রকল্পের জন্য গোমতী নদীতে উদ্বোধন হয় এক ভাসমান জেটির। এই নৌপথে ৫০ টন পণ্য বহনকারী ছোট নৌকা চলাচল করতে পারবে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সম্প্রতি নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে চলেছে ত্রিপুরা। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে গোমতী নদীপথ ধরে সোনামুড়া থেকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রথম পরীক্ষামূলক নৌ সফর শুরু হতে চলেছে। এই সফরেই ঢাকা থেকে সোনামুড়ায় বার্জে চেপে পৌঁছাবে ৫০ মেট্রিক টন সিমেন্ট। ত্রিপুরার ইতিহাসে এর আগে জাহাজে চেপে কোন পণ্য পৌঁছায়নি। মহামারী করোনা সংক্রমণ রোধে গত ২২ মার্চ রেল ও স্থলপথে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয় ভারত। হঠাৎ বাণিজ্য বন্ধের ফলে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশে হাজার হাজার ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়ে। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি সচল হলেও এ পথে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সচলে নানান প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। এর ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির বিষয়টি উভয় দেশের বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানায়, তাতেও সচল হয়নি বাণিজ্য। এক পর্যায়ে রেল কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ীদের যৌথ উদ্যোগে বিকল্পভাবে বাণিজ্য সচলে রেলপথে পার্সেল ভ্যানে দুই দেশের মধ্যে আমদানি বাণিজ্য চুক্তি হয়। রেল রুট চালু হওয়ার পর মহামারী করোনার মধ্যে বেনাপোল ও পেট্রাপোল দিয়ে স্থলপথের পাশাপাশি রেলপথেও আমদানি বাণিজ্য বেড়ে গেছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়েছে। বর্তমানে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে স্থলপথের পাশাপাশি রেলপথে কার্গো রেল, সাইডডোর কার্গো রেল এবং পার্সেল ভ্যানে সব ধরনের পণ্যের আমদানি বাণিজ্য চলছে। এতে ব্যবসায়ীদের যেমন দুর্ভোগ কমেছে তেমনি বাণিজ্যে গতি বাড়ায় সরকারেরও রাজস্ব আয় বেড়েছে। রেলপথে বাণিজ্য প্রসার হওয়ায় হাসি ফিরে এসেছে বন্দর শ্রমিকদের মধ্যে। করোনার কারণে কাজ কমে যাওয়ায় শ্রমিকরা বিপাকে পড়েছিল। বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, স্থলপথে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অবরোধ, হরতাল, শ্রমিক অসন্তোষসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় পণ্য পরিবহন করতে না পেরে ব্যবসায়ীরা প্রায়ই লোকসানের কবলে পড়তেন। ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে অনেক ক্ষেত্রে এক মাসের অধিক সময় লেগে যেত। রেলপথে সব ধরনের পণ্যের আমদানি করতে পারায় এখন আর সে সমস্যা নেই। বেনাপোল সিএ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সুজন জানান, করোনার অজুহাত দেখিয়ে ভারতের পেট্রাপোলের একশ্রেণীর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে মাসের পর মাস ট্রাক আটকে রেখে ফায়দা লুটছিল। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে শুরু হয় রেলপথে আমদানি বাণিজ্য। এভাবে চলতে থাকলে আশা করা যাচ্ছে চলতি অর্থবছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব আসবে। বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, স্থলপথের পাশাপাশি আমদানিকারকরা রেলপথে পণ্য আমদানি করায় বেনাপোলে যানজট কমেছে, বেড়েছে আমদানি। সরকারও বেশি রাজস্ব পাচ্ছে। বস্তুত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চার জোড়া রেল রুটের জন্য আইডব্লিউপি প্রোটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই, এখন সেগুলো যেকোন সময় চালু হওয়ার অপেক্ষায়। রুটগুলো হলো (দুই দিকেই) : ক. কলকাতা-খুলনা-মোংলা-বরিশাল-হিজলা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারি-ধুবড়ি-পান্ডু-শিলঘাট, খ. কলকাতা-মোংলা-কাউখালী-বরিশাল-হিজলা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ- ভৈরববাজার-আশুগঞ্জ-আজমেরীগঞ্জ-মারকিউলি-শেরপুর-ফেঞ্চুগঞ্জ-জকিগঞ্জ-করিমগঞ্জ, গ. রাজশাহী- গোদাগাড়ি-ধুলিয়ান, ঘ. করিমগঞ্জ-জকিগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ-শেরপুর-মারকিউলি-আজমেরীগঞ্জ-আশুগঞ্জ, ভৈরববাজার- নারায়ণগঞ্জ-চাঁদপুর-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারি-ধুবড়ি-পান্ডু-শিলঘাট। এছাড়া নেপাল ঘেঁষে ও উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে আরও বেশ কয়েকটি স্থলবন্দর বা আইসিপিতেও (ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট) দ্রুতগতিতে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করছে ভারতের ল্যান্ড পোর্টস ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। আইসিপিগুলোর মধ্যে আছে আগরতলা (ত্রিপুরা), ডাউকি (মেঘালয়), কাউরপুইছুয়া (মেঘালয়), সুতারকান্দি (অসম), হিলি, চ্যাংড়াবান্ধা, মাহদিপুর, ফুলবাড়ি, ঘোজাডাঙা (পশ্চিমবঙ্গ)। এগুলো পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে পেট্রাপোল- বেনাপোলের ওপর ভরসা করে বসে থাকতে হবে না আর ব্যবসায়ীদের। দিল্লীর গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ এ্যান্ড ইনফর্মেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজে (আরআইএস) অধ্যাপনা করেন অর্থনীতিবিদ ড. প্রবীর দে। আঞ্চলিক কানেক্টিভিটির এই বিশেষজ্ঞ বলেন, যেহেতু এখন ক্রমশ বোঝা যাচ্ছে করোনাভাইরাসের সঙ্গেই আমাদের আগামী বেশ কিছুকাল দিন কাটাতে হবে, তাই এই নতুন সাপ্লাই চেনগুলোকে সাপোর্ট করা খুবই দরকার। এতে আমাদের পণ্যের কম্পিটিটিভনেসই শুধু বাড়বে না, ভ্যালু চেনটাও শক্তিশালী হবে। অর্থাৎ অনেক সহজ হবে পণ্যে ভ্যালু এ্যাডিশন করা। এতে রফতানিকারকরা অনেক দ্রুত তা বাংলাদেশে পাঠাতে পারবেন। তিনি বলেন, বেনাপোল-পেট্রাপোলের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের কতটা ক্ষতি করছে তা আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি। এই পরিস্থিতিতে আমাদের অভ্যন্তরীণ নদীপথের ওপর জোর দিতে হবে। কারণ, সেটা অনেক সাশ্রয়ী ও টেকসই পদ্ধতি। ভারত ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নদীপথগুলোকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য আরও কার্যকর উপায়ে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে সম্প্রতি একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করেছিল মেঘালয়ের শিলংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স’। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস। দু’জনই সেই অনলাইন সেমিনারে যোগ দিয়ে বলেছেন, নদীপথগুলোই হলো দুই দেশের বাণিজ্যের ভবিষ্যত! ওই আলোচনাচক্রে দুদেশের নীতিনির্ধারক, শিল্পপতি, গবেষকসহ সবাই একবাক্যে বলেছেন, বেনাপোলের চেকপোস্টে ট্রাকে মাল ওঠানামার বাইরে গিয়েও দুই দেশকে ভাবতে হবে মালগাড়ি বা কার্গো জাহাজের দিকে -কীভাবে ফোকাসটা সরানো যায়। মানে, সেই নতুন নতুন সাপ্লাই চেন! ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের সেই চিরাচরিত ছবিটা এবার দ্রুত পাল্টাতে চলেছে, তা বোঝাই যাচ্ছে।
×