ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাওসার রহমান

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও কোভিড কূটনীতি

প্রকাশিত: ২১:১২, ২৮ আগস্ট ২০২০

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও কোভিড কূটনীতি

সম্প্রতি এক ঝটিকা সফরে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সফরটি এই কারণে ঝটিকা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে যে, অন্যান্য বারের মতো এবার কোন আগাম ঘোষণা দিয়ে তিনি বাংলাদেশে আসেননি। ছয় মাস আগেও তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। যার ঘোষণা ভারতের পক্ষ থেকে আগেই দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার আগাম কোন ঘোষণা দেয়া হয়নি। বরং ভারতের আগ্রহের কারণেই এই সফরটি হয়েছে। এ কারণে তার এই সফরকে গণমাধ্যম ঝটিকা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। লাদাখ সীমান্তে ভারতের সঙ্গে চীনের যুদ্ধ পরিস্থিতি, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ এবং করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামলাতে ও ভ্যাকসিন ইস্যুতে চীনের সহযোগিতা বৃদ্ধি ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা তুঙ্গে ওঠায় এ ধরনের একটি সফর প্রত্যাশিত ছিল। আর এই সফরের মাধ্যমে শ্রিংলা দুই দেশের সম্পর্কেও সেই উত্তপ্ত অবস্থাকে প্রশমিত করার চেষ্টা করেছেন। সেই সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্কে আগের সেই উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছে। প্রকাশ্য বিবৃতিতে সেই বিষয়টিও উঠে এসেছে। দুই পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সম্পর্কের শীতলতা বা অস্বস্তি নিয়ে যে আলোচনা চলছে, সে ব্যাপারে ঢাকায় দেশ দুটির পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠকে একে অপরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দু’পক্ষই বলেছে, দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে সোনালী অধ্যায় চলছে, তা অব্যাহত থাকবে এবং সেই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেয়া হবে। বর্তমান সরকারের আমলে দুই দেশের সম্পর্কে যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় থাকবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এতদিন সেই সম্পর্কই অব্যাহত ছিল। কিন্তু এমন সম্পর্কের মাঝে অস্বস্তি তৈরি হলো কেন? আর অস্বস্তির কারণগুলোই বা কী? বড় দেশ হিসেবে ভারত প্রতিবেশী ছোট দেশগুলোর সমর্থন তাদের পেছনে আছে বলে এরকম ধরেই নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ গত কয়েক বছরে ভারতের বিভিন্ন নীতির কারণে ক্ষুব্ধ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মুচকুন্দ দুবের মূল্যায়ন হলো, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রতি রাষ্ট্রের বিরূপ ব্যবহার। বাংলাদেশে সবার সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝেছি, তা হলো ভারতে মুসলিমদের কেন গরুর গোশত খাওয়ার জন্য পিটিয়ে মারা হবে এবং শুধু মুসলিম হওয়ার অপরাধে কেন একদল মানুষ বঞ্চনা ও নিপীড়নের শিকার হবেÑ এটা তাদের ক্ষুব্ধ ও হতাশ করে। সে দেশে ভারতকে যারা ধর্মনিরপেক্ষতার আলোকবর্তিকা হিসেবে দেখতেন, তাদের জন্যও এই বাস্তবতা মেনে নেয়া হৃদয়বিদারক হয়ে ওঠে বলেও তাদের পর্যবেক্ষণ! আসামের এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরির প্রক্রিয়া এবং গত বছর (২০১৯) পাস হওয়া ভারতের নাগরিকত্ব আইন সেই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে নিঃসন্দেহে। গত ডিসেম্বরে ভারত নাগরিকত্ব বিল পাস করার পর ড. মোমেনই তার নির্ধারিত দিল্লী সফর স্থগিত করেছিলেন। সে সময় ভারতে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানেরও। কিন্তু তিনিও শেষ পর্যন্ত যাননি। ওই দুটো সফরের কোনটাই আজ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি এবং ভারতে মুসলিমদের প্রতি বঞ্চনার প্রশ্নে ঢাকার যে একটা অভিমান বা অনুযোগ রয়েই গেছে, সেটা ওই সফর বাতিলে আর গোপন থামেনি। কিন্তু ওই আইন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বারবারই বলে এসেছে যে, আইনটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আবার এই পটভূমিতে ৫ আগস্ট মহাধুমধামে ভারতের অযোধ্যায় সুবিশাল রামমন্দিরের ভূমিপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ, তিন দশক আগে ভেঙে ফেলা বাবরী মসজিদের জায়গায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এখন যে রামমন্দির তৈরি হবে, তার নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। আবার সীমান্তে মানুষ হত্যা নিয়েও বাংলাদেশের উদ্বেগ আছে। এছাড়া তিস্তা চুক্তি আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি, রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ কাক্সিক্ষত সমর্থন ভারতের কাছে পায়নি। তারপরেও প্রতিবেশীদের মধ্যে ভারতের সবচেয়ে ভাল বন্ধু যদি কেউ থাকে সেটা হলো বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কখনই আগ বাড়িয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বা নেবে না যেখানে ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, বাংলাদেশ যদি নিজের স্বার্থে কখনও মনে করে যে, চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে, সেটা বাংলাদেশ করতে পারবে নিশ্চয়ই। এই অধিকার বাংলাদেশের আছে। অথচ চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে নিকৃষ্ট ভাষায় সমালোচনা করা হয়েছে। অথচ চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হচ্ছে অর্থনৈতিক। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার চীন সফরের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ভিন্নমাত্রা নিয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং বাংলাদেশ সফর করেন। সে সফরের সময় চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে ২৬টি নানা ধরনের চুক্তি এবং সমঝোতা হয়। দুদেশের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, চীন বাংলাদেশকে বিভিন্ন খাতে ২৪ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের ঋণ দেবে বলে অঙ্গীকার করে, যার বেশিরভাগই অবকাঠামো খাতে। বর্তমানে চীন বাংলাদেশে পদ্মা সেতুসহ নানা অবকাঠামো প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এছাড়াও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ, একটি সার কারখানা, চট্টগ্রাম এবং খুলনায় দুটি বড় তাপবিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গেও চীন সম্পৃক্ত। এছাড়া চীনের কাছ থেকে সাবমেরিনও ক্রয় করেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর ভারতের পত্র-পত্রিকায় নানা উদ্বেগ প্রকাশ করে খবর প্রকাশ করে, যা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে অস্বস্তির কারণ হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। কিন্তু ভারত কেন ভুলে যায় যে, তার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা রক্তের এ সম্পর্ক সৃষ্টি করেছে। ১০ মিনিট কথা বললেই পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভারতের উদ্বেগের পর্যায়ে চলে যাবে না। বাংলাদেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে ভারতের যে ভূমিকা, বাংলাদেশ তা ভুলে কী করে? রক্তের রাখি বন্ধনে যে সম্পর্কের সৃষ্টি, তা কি কখনও ভোলা যায়? পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলছেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক এবং চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক। সম্প্রতি চীন আমাদের দেশে ৮ হাজারেরও বেশি পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না।’ প্রকৃতপক্ষে, ভারতের আচরণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে চীন একটা জায়গা করে নিচ্ছে। এই অঞ্চলে নেপাল-শ্রীলঙ্কাও চীনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ফলে প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ঘাটতির বিষয়টা হয়তো ভারত এখন অনুধাবন করছে। সেজন্যই ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের শীতলতা কাটানোর চেষ্টা করছে হয়তো। কিন্তু ভারত আচরণ পরিবর্তন না করলে শুধু আলোচনা করে বা ভাল কিছু কথা বলেই সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্বস্তি বা মান-অভিমান দূর হবে না। যখন দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপট আলোচনায় এসেছে, তখন মহামারী পরিস্থিতি সামাল দেয়া এবং ভ্যাকসিন ইস্যুতে বাংলাদেশ এবং চীনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার বিষয়টিও দৃশ্যমান হয়েছে। বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে যেমন নানা জল্পনা কল্পনা চলছে, একই সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের গণমাধ্যমেও দেশটির রাজনৈতিক মহলের অস্বস্তির বিষয় শিরোনাম হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন পর্যায়ে বছরের পর বছর আলোচনা হলেও তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি না হওয়া এবং দ্বিপাক্ষিক কিছু ইস্যুতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশে এক ধরনের হতাশা রয়েছে। এসব করণেই করোনাভাইরাস দুর্যোগের পাঁচ মাস পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এই প্রথম কোন দেশে অর্থাৎ, বাংলাদেশে উড়ে এসেছেন। এর আগে গত ২৭ জুলাই শুভেচ্ছা স্বরূপ বাংলাদেশের কাছে ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ বা রেল ইঞ্জিন হস্তান্তর করে ভারত। আর এমন পটভূমিতেই দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ই আলোচনায় অগ্রাধিকার পেয়েছে ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকে। হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করে প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা করেছেন। এসব অস্বস্তির বিষয় কাটানোর একটি উদ্যোগও নেয়া হয়েছে বৈঠকে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তথা মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা আসলে ঐতিহাসিক এবং সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। জম্মু ও কাশ্মীরকে এবং সেখানে যা-ই ঘটুক সেটাকে তারা চিরকাল ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই স্বীকৃতি দিয়েছে এবং সেই অবস্থানেই তারা অনড় আছে।’ এর মাধ্যমে যে কথাটা তিনি অনুচ্চারিত রেখেছেন তা হলো, ইমরান খান টেলিফোনে যতই কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলুন না কেন, শেখ হাসিনা তাতে যে আমল দেবেন না, ভারতের সেই ভরসা আছে পুরোমাত্রায়। কোভিড মহামারীর কারণে ভারতের অর্থায়নে বাংলাদেশের প্রকল্পগুলোতে ধীর গতি এসেছে বটে। তবে লকডাউনের মধ্যেও যেভাবে রেলপথে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের নতুন নতুন দিগন্ত খুলছে, কিংবা চট্টগ্রাম হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জাহাজে পণ্য পাঠানোর উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে, তাতে স্পষ্ট বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কিন্তু থেমে নেই। এমনকি, দুদেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মীয়মাণ রামপাল বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রের কাজও কিন্তু লকডাউনে থেমে থাকেনি বলে জানিেেছ ভারতের পররাষ্ট্র দফতর। এ সফরের আরও একটি লক্ষণীয় বিষয় হলো, হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর একটি বার্তা নিয়ে এসেছেন, যেটি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করে তার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। সেই বিষয়টি প্রকাশ না পেলেও সফরের কারণ হিসাবে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যে বৈঠকের পর করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে ভারতের সহযোগিতা বিষয়টিকেই সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে ভ্যাকসিন কূটনীতির আড়ালে কি ছিল তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তবে এ সফর নিয়ে যে আমাদের উদ্বেগের কারণ কারণ নেই, তা স্পষ্ট। কারণ, আমাদের দিক থেকে তাদের যে সহযোগিতা করার তা করে যাচ্ছি। সর্বশেষ, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আগরতলায় তাদের পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রানশিপমেন্ট ব্যবস্থাও চালু করে দিয়েছি আমরা। আর সফরটা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকেই। সবশেষে, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্ত ভিতের ওপরই দাঁড়িয়ে আছে। ইমরান খান কয়েক মিনিট কথা বললেই বাংলাদেশের কাশ্মীর নীতি বদলে যাবে; এটা যেমন বিশ^াসযোগ্য নয়, তেমনি বাংলাদেশ গালওয়ান নিয়ে বিবৃতি দিল না বলেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ভেঙে পড়বে, এটাও একেবারেই হাস্যকর ভাবনা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেটাকে ভারত একটি নতুন মাত্রা দিতে চাইছে বলেই সে দেশের পররাষ্ট্র সচিবের এই ঝটিকা সফর। আগামী বছর মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীতে এই সম্পর্ক আরও জোরালো হবে বলেই বিশ্লেষকরা আশা করছেন। লেখক : সাংবাদিক, দৈনিক জনকণ্ঠ
×