ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘মাফিয়া’র ভূমিকায় আমাকে দেখা যাবে -জাহিদ হাসান

প্রকাশিত: ২৩:৩৪, ২৭ আগস্ট ২০২০

‘মাফিয়া’র ভূমিকায় আমাকে দেখা যাবে -জাহিদ হাসান

দর্শক নন্দিত অভিনয় শিল্পী জাহিদ হাসান। বাংলাদেশের অভিনয় শিল্পে যার নাম যুগ যুগ ধরে উচ্চারিত হয়ে আসছে। এখনও দর্শকদের কাছে ‘জাহিদ হাসান’ মানে একটি নির্ভরতা- অভিনীত নাটক বা সিনেমার ক্ষেত্রে! সেই নব্বইয়ের শুরু থেকে আজ অবধি চলছে জাহিদ হাসানের অভিনয়শিল্পের জাদু! দীর্ঘ সময় ধরে তিনি সমান জনপ্রিয়। অভিনীত অসংখ্য নাটক এবং সিনেমা আজও দর্শকদের সমানভাবে কৌতূহলী করে রেখেছে। প্রাপ্তিও তার মোটেও কম নয়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার থেকে শুরু করে বহু অর্জন তিনি ঘরে তুলেছেন। নিজের নামের পাশে যোগ করেছেন পরিচালক, প্রযোজকের খ্যাতি। বর্তমান সময়ে অভিনয় নিয়ে তুমুল ব্যস্ত এই শিল্পী। সম্প্রতি আনন্দকণ্ঠের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, জাহিদ হাসান। লিখেছেন- রুহুল আমিন ভূঁইয়া বর্তমান সময়ের ওয়েব সিরিজ নিয়ে অশ্লীলতার অভিযোগ রয়েছে। কোন ভাবনা থেকে ‘মাফিয়া’য় কাজের সিদ্ধান্ত নিলেন? এই ওয়েব সিরিজটি গল্পনির্ভর। আন্ডারওয়ার্ল্ডের গল্প নিয়ে কাহিনী। গল্পে অশ্লীলতার কোন সুযোগ নেই। চরিত্রটি আমার ভাল লেগেছে বলেই কাজটি করছি। এখানে ‘মাফিয়া’র ভূমিকায় আমাকে দেখা যাবে। আমাদের চারপাশে অসাধারণ যে সব গল্প আছে, সেগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হলে সে সব বিশ্ববাসীর হৃদয়ও স্পর্শ করবে! আপনাকে বর্তমান সময়ে ধারাবাহিক নাটকে বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে প্রায়ই শুনতে হয় ধারাবাহিক নাটকে নাকি ধারাবাহিকতা থাকে না। এক্ষেত্রে আপনার অভিমত? সেটি বড় সিরিয়ালের ক্ষেত্রে হয়। সাত পর্বের ধারাবাহিক নিয়ে অভিযোগ নেই। ছোট ধারাবাহিক তিন চার দিন শূটিং করলেই হয়ে যায়। বড় ধারাবাহিকে অনেক দিন ধরে কাজ করলে সেটি হয়ে থাকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে বলা হয়েছে। আসলে আদৌ কি মানা সম্ভব? চাইলে সবই সম্ভব। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শূটিং করছি। সবাই মাস্ক পরে কাজ করছে। শূটিং ইউনিটে লোকজন কম। শূটিংয়ের আগে রুমগুলো পরিষ্কার করে নিচ্ছে। শট দিয়েই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করছে সবাই। নিরাপদে শূটিং করার জন্য ঢাকার দূরে খোলা পরিবেশে শূটিং করছি। সবাই দূরত্ব বজায় রেখে নিয়মগুলো মেনে চলার চেষ্টা করছি। সবারই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করা উচিত। নিজে সচেতন হয়ে অন্যকে সচেতন করতে হবে। আমি সচেতন হলে আমার পরিবার নিরাপদ থাকবে। সবার প্রতি সবার সম্মান রাখতে হবে। তা হলেই এটি বাস্তবায়ন সম্ভব। সিরিয়াস কমেডি থেকে সব ধরনের চরিত্রে সাবলীল। স্বপ্নের চরিত্র কি? ভাল চরিত্র করা। যে কোন চরিত্রই চেষ্টা করি গল্পের মতো করে ফুটিয়ে তুলতে। সবার থেকে ভিন্নভাবে দেখানোর চেষ্টা করি। বরাবরই গল্পের ভেতর ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা থাকে। কতটুকু পারি দর্শক ভালমতো তা বলতে পারবেন। এই মহামারী কেটে গেলে সমাজের কী কী পরিবর্তন হওয়া উচিত বলে মনে করেন? অনেক কিছুরই পরিবর্তন হওয়া উচিত। পরিবর্তন হবেও। ঘরে থাকার পর অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছি। ঘরের মানুষের কষ্টগুলো বুঝতে পেরেছি। পরিষ্কার পরিছন্নতা থাকার শিক্ষা পেয়েছি। সবাই যদি সৎভাবে নেয় তা হলে পজিটিভ বিষয়গুলো থেকে যাবে। আমি মনে করি আগামীতে সুন্দর পৃথিবী আসবে বলেই করোনা এসেছে। পৃথিবীটা সবার। ঘরবন্দি থেকে কোন অভ্যাস পরিবর্তন করতে পেরেছেন? অনেক অভ্যাস পরিবর্তন হয়েছে। প্রতিদিন ক্লাবে যেতাম সেটি বন্ধ হয়েছে। মাঝে নামাজে অনিয়মিত ছিলাম করোনার কারণে ঘরবন্দি থেকে নামাজে নিয়মিত হয়েছি। লকডাউনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই পড়ার চেষ্টা করছি। করোনা সবাইকে মানবিক হওয়ার শিক্ষা দিয়েছে। পরিচালনা ও প্রযোজনার কি খবর? এ সময় অন্যদের কাজগুলো করব। যে কাজগুলো কথা দেয়া সেগুলো শেষ করব। তা ছাড়া মন মতো কাজ না হলে করব না। ঈদে বেশ কিছু নাটক প্রচার হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি নাটক থেকে ভাল দর্শকের সাড়া পেয়েছি। টেলিভিশন নাটক সিন্ডিকেটে চলছে। করোনার পর এই সিন্ডিকেট ভাঙবে কি? এগুলো থাকবেই। তবে না থাকাটা ভাল। যতটা কমবে ততটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভাল। বর্তমানে মার্কেটিং হেডরা শিল্পী নির্বাচনে নাম বলে দেয়। করোনায় পুরো বিশ্বে ক্ষতি হয়েছে। অনেক গুণী মানুষ চলে গেছেন। করোনার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। ক্ষতি যেন সামনে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
×