ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আজহার মাহমুদ

নেই স্বাস্থ্যবিধি আছে দ্বিগুণ ভাড়া

প্রকাশিত: ২১:০৫, ২৭ আগস্ট ২০২০

নেই স্বাস্থ্যবিধি আছে দ্বিগুণ ভাড়া

করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় সাধারণ মানুষ যেন এখন জিম্মি। একদিকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে অন্যদিকে সবকিছুতে দ্বিগুণ টাকা খরচ করতে হয়। কিন্তু মাস শেষে নিজের বেতন-বোনাসের পরিমাণ সেই আগের অবস্থায় রয়েছে। অনেকের কর্মসংস্থান নেই, নেই আগের বেতনও। বোনাস নেই অনেকের। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও দ্বিগুণ ভাড়া ঠিকই আছে গণপরিবহনে। আর এই দ্বিগুণ ভাড়া দিতে দিতেই সাধারণ মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন জনতার অন্যতম দাবি গণপরিবহনের দ্বিগুণ ভাড়া প্রত্যাহার করা। গত একমাস গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। যাত্রী ওঠা-নামা করছে আগের মতোই। প্রতিটি সিটেই এখন যাত্রী বসছেন। শুধু তা-ই নয়, যাত্রীর আসন সংখ্যা পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও যাত্রী তুলছেন চালকরা। অর্থাৎ দাঁড়িয়ে লোক নিচ্ছেন। এমতাবস্থায় দ্বিগুণ ভাড়া দেওয়ার যৌক্তিকতা কতটুকু? অথচ দ্বিগুণ ভাড়া ঠিকই আদায় করে নিচ্ছেন চালকরা। সকলের দাবি এই দ্বিগুণ ভাড়া প্রত্যাহার করা হোক। দেশের মানুষের একটাই প্রশ্ন, যেভাবে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে সেভাবে তো বেতন বৃদ্ধি করা হয়নি। আর যেখানে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে সেখানে কিভাবে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে গাড়ি চালকরা। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ ধৈর্য হারিয়ে ফেলবে। প্রশাসনের টনক না নড়লে এই সেক্টরের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা দিন দিন বেড়েই যাবে। যেখানে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই সেখানে কেন মানুষ দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে চলাচল করবে? কিন্তু উপায় নেই বলে সকলের বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তাহলে কি আমরা পরিবহন শ্রমিকদের নিকট জিম্মি নই? এটা কি এক প্রকার ডাকাতি নয়? সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের একটাই চাওয়া গণপরিবহনের ভাড়া আগের মতো করা হোক। তাঁরা পারছে না দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে। এই দ্বিগুণ ভাড়া প্রত্যাহার করে জনমনে একটু স্বস্তি এনে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। করোনার এই কঠিন সময়ে সাধারণ মানুষের এই চাওয়াটুকু যেন দ্রুত সরকার পূরণ করে সেই কামনা করছি। খুলশী-১, চট্টগ্রাম থেকে
×