ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাইকোর্টে পাঁচ আইনজীবীর আবেদন

ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর ঘরে ফেরা, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ২৬ আগস্ট ২০২০

ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর ঘরে ফেরা, তদন্ত কমিটি গঠন

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ॥ কথিত ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফিরে আসার ঘটনায় হাইকোর্টে আবেদন করেছেন পাঁচ আইনজীবী। অন্যদিকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সরকারী জলাশয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের টেঁটাযুদ্ধ ও সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৭৭ জনের আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কথিত ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফিরে আসার ঘটনার আবেদনে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় করা মামলা এবং মামলা পরবর্তী প্রক্রিয়ার শুদ্ধতা, বৈধতা এবং যৌক্তিকতা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এছাড়া ওই মামলার নথি তলবেরও আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার ওই পাঁচ আইনজীবীর পক্ষে এ আবেদন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। পাঁচ আইনজীবী হলেন- আইনজীবী আসাদ উদ্দিন, জোবায়েদুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, আল রেজা আমির এবং মিসবাহ উদ্দিন। গত ২৪ আগস্ট ‘ধর্ষণের পর নদীতে মরদেহ ফেলে দেয়া স্কুলছাত্রী ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন’ শীর্ষক শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন। তখন আদালত আইনজীবী শিশির মনিরকে লিখিতভাবে আবেদন করতে বলেন। নারায়ণগঞ্জ নগরীর দেওভোগ এলাকার চাঞ্চল্যকর কিশোরী জিসা মনি (১৫) ধর্ষণ ও হত্যার দেড় মাস পর ফিরে আসা ও তিন আসামির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়ার ঘটনাটি জেলাজুড়ে ‘টপ অব দ্য দাউনে’ পরিণত হয়েছে। চলছে নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা। পুলিশের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জবানবন্দী আদায় ও আসামিদের পরিবারের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে মঙ্গলবার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এ টি এম মোশারফ হোসেনকে প্রধান করে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় দু’টি তদন্ত কমিটি গঠিত হলো। এদিকে এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম আল মামুনকে পরির্বতন করে একই থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল হাইকে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যেই প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করা হবে। জানা গেছে, শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড বাসিন্দা কিশোরী জিসা মনি গত ৪ জুলাই বিকেলে তাদের বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। দীর্ঘদিন খোঁজাখুঁজি করে মেয়ের সন্ধান না পেয়ে এক মাস পর ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন। তিন আসামি আদালতে জিসা মনিকে ধর্ষণ ও হত্যা, হত্যার পর লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। কেন আসামিরা জবানবন্দী দিল, তাদের নির্যাতন করা হয়েছে কিনা, তা উদঘাটনের জন্য সোমবার রাতেই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জিসা মনি ধর্ষণ, হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম আল মামুনকে পরিবর্তন করে পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল হাইকে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টেটাযুদ্ধ মামলায় ৭৭ আসামির জামিন ॥ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সরকারী জলাশয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষেও টেটাযুদ্ধ ও সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৭৭ জনের আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও বিচারপতি জাহিদ সরওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
×