ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চোখ বেঁধে ও হাত কড়া পরিয়ে ছাত্রীকে নির্যাতন উখিয়ায় ওসি মর্জিনাসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ২১:০৭, ২৫ আগস্ট ২০২০

চোখ বেঁধে ও হাত কড়া পরিয়ে ছাত্রীকে নির্যাতন উখিয়ায় ওসি মর্জিনাসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ উখিয়ার ওসিসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা করেছেন পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার এক ছাত্রী। পুলিশ সদস্য সুমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের প্রস্তাব তোলায় উখিয়া থানায় বেঁধে নির্মম নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগি ওই ছাত্রী। ইয়াবা দিয়ে মামলা টুকে দেয়ার ভয়ে এতদিন মূখ খোলেননি তিনি। মঙ্গলবার উখিয়া থানার ওসি মর্জিনা আকতার, কনস্টেবল মো: সুমন, ওসি (তদন্ত) নুরুল ইসলাম ও এএসআই মো: শামীমের বিরুদ্ধে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্র্যনাল-৩ এ এই মামলা দায়ের করেন রিয়াদ সোলতানা নুরী নামের ওই ছাত্রী । আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদি কক্সবাজারের একটি বেসরকারি কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের পিপি এ্যাডভোকেট একরামুল হুদা। অভিযোগে জানা গেছে, সুমন নামে এক পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ সোলতানা নুরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ওই মহিলা বিয়ের প্রস্তাব দিলে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন। কনস্টেবল মো: সুমন কুমিল্লা হোমনা ইউনিয়নের হাসান আলীর পুত্র। কক্সবাজারের উখিয়া মরিচ্যা চেক পোস্টে দায়িত্বরত অবস্থায় ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সুমনের। সেই সম্পর্কের সূত্রধরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে চলতি বছরের ৭ জুলাই রাতে উখিয়া থানায় নির্মম পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয় ওই ছাত্রী। মামলার বাদি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সূত্র ধরে পুলিশ কনস্টেবল সুমনের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয় এক বছর আগে। এরই মধ্যে তাদের বেশ কয়েকবার সরাসরি দেখা ও শারীরিক সম্পর্ক হয়। উখিয়া মরিচ্যা চেক পোস্টে দায়িত্বের সুবাদে খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে সুমনসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য থাকেন। সর্বশেষ ওই কক্ষেও সুমনের সঙ্গে দেখা করতে যান ছাত্রী। সেখানেও তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর থেকে কিছুদিন যোগাযোগ বন্ধ রাখে সুমন। গত ৭ জুলাই কথা হয় সুমনের সঙ্গে। সুমনের কথা মত উখিয়ার মরিচ্যায় যান তার প্রেমিকা। সেখানে তাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা হয়। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিকেলে উখিয়ার ইনানী নিয়ে যান সুমন। সেখানে তারা উঠেন সুমনের কয়েকজন বন্ধুর কক্ষে। বন্ধুদের সামনেও তাদের বিয়ের বিষয়ে কথা উঠে। কথার এক পর্যায়ে সুমন ও তার প্রেমিকার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেখানে তারা সিন্ধান্ত নেন মরিচ্যা গিয়ে কাজী ডেকে বিয়ে করবেন। উখিয়ার মরিচ্যায় গিয়ে বিয়ের নামে নানা তালবাহানা শুরু করে সুমন। ওই ছাত্রী বলেন,৭ জুলাই রাত ১০ টায় প্রেমিকাকে ছেড়ে সুমন উধাও হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইনকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি উখিয়া থানায় যেতে বলেন। থানায় ওসি মর্জিনা আক্তারকে সব বিষয় খুলে বলার পর থেকে আমার উপর নির্যাতন শুরু করেন তিনি।
×