ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সারিয়াকান্দি চরে পুলিশ ফাঁড়ি না থাকায় অপরাধ বাড়ছে

প্রকাশিত: ২১:০৭, ২৬ আগস্ট ২০২০

সারিয়াকান্দি চরে পুলিশ ফাঁড়ি না থাকায় অপরাধ বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ সারিয়াকান্দিতে যমুনার ভেতরে চরাঞ্চলে বসবাসরত লাখো মানুষের নিরাপত্তায় কোন পুলিশ ফাঁড়ি বা তদন্ত কেন্দ্র নেই। প্রায় এক যুগ আগে একটি তদন্ত কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছিল। যমুনার ভাঙ্গনে নদীগর্ভে যাওয়ার পর তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়নি। পুলিশ ফাঁড়ি না থাকায় জলদস্যুদের উৎপাত বেড়েছে। মাঝে মধ্যেই বাথানের গরু মহিষ লুট হয়ে যাচ্ছে। বেড়ে গেছে নৌডাকাতি। সারিয়াকান্দি থানা থেকে চরগ্রামের দূরত্ব বেশি হওয়ায় থানা পুলিশের একটি স্পিডবোট সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় অপরাধীরা দ্রুত সটকে পড়ে। সারিয়াকান্দি উপজেলার ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি চরগ্রাম। তার মধ্যে কয়েকটি চরের দূরত্ব ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার। ধরাবর্ষা চরের এক প্রান্ত বগুড়া জেলা সীমানা অপরপ্রান্তে জামালপুর জেলা। জলদস্যুরা সীমানার সুযোগ নিয়ে নৌপথে ডাকাতি করে দ্রুত আরেক জেলার মধ্যে ঢুকে পড়ে। চরকর্নিবাড়ি, বোহাইল, বাটিয়ারচর, নৈখোলা, কাজলা, বেড়া, পাঁচবাড়িয়া, বেণীপুর, মিলনপুর, তালতলা, মূলবাড়ি, চালুয়াবাড়ি, সুজালিপাড়া, মিটনারপাড়া চরগুলোতে ডাকাতির ঘটনা বেশি। চলতি মাসের (আগস্ট) মধ্যভাগে গভীর রাতে চন্দনবাইশার ট্যাকা মাগুরার চরে মহিষের বাথান থেকে জলদস্যুরা তিন রাখালকে অপরহণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। তিনদিন পর পুলিশ অভিযানে তারা উদ্ধার হয়। এভাবে হর হামেশাই হয় রাখাল না হয় গরু মহিষ লুট অথবা রাতে হাটুরেদেরে নৌকায় ডাকাতি হচ্ছে। সারিয়াকান্দির রফিকুল ইসলাম জানালেন, বছর কয়েক আগে জলদস্যুরা বাথান থেকে ২৮টি গরু ও ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যমুনার চরের মানুষ ডাকাতির পর কিছুদিন রাত জেগে পাহাড়া বসায়। তারপর ঢিলেঢালা হলে ফের অপরাধীরা তৎপর হয়ে ওঠে। সূত্র জানায়, প্রায় ১২ বছর আগে অস্থায়ী ভিত্তিতে একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপিত হয়েছিল। বছর না ঘুরতেই তা নদীগর্ভে চলে যায়। এরপর নতুন ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা হয়নি। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ২০১০ সালের শেষের দিকে নান্দিনার চরে একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব পাঠানো হয় ওপর মহলে। পরে সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান (প্রয়াত) বিষয়টি সংসদে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উত্থাপন করেন। তার মৃত্যুর পর ফাইল নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়।
×