ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

এক মহাকাব্যের নাম বঙ্গবন্ধু

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ২৬ আগস্ট ২০২০

এক মহাকাব্যের নাম বঙ্গবন্ধু

আগস্ট আমাদের কাছে বিশেষভাবে আবেগের মাস। এ মাস এলেই স্মৃতির পাতায় অনেক কথা ভেসে ওঠে। মনে পড়ে জাতির পিতার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো। আজও তাঁর কণ্ঠ কানে বাজে, অনুপ্রাণিত হই তাঁর তেজোদীপ্ততায়। অতি আন্তরিক মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু। পরিচিত কিংবা অপরিচিতজন- সবার সঙ্গেই খুব দ্রুত সখ্য গড়ে তুলতে পারতেন। মনে পড়ে, ১৯৬৬ সালের ৮ এপ্রিল প্রথম যেদিন বঙ্গবন্ধুর সংস্পর্শ পেয়েছিলাম; সেদিনই তিনি আমাকে ‘তুই’ সম্বোধন করে কাছে টেনে নিয়েছিলেন। প্রথম সাক্ষাতেই আপন করে নেয়ার এই যে ‘তুই’ ডাক; তা আমি ভুলিনি। জীবদ্দশাতেও ভুলতে পারব না। তিনি ছিলেন পরশ পাথরের মতো। ছিলেন হাস্যেজ্জ্বলও। বঙ্গবন্ধু বলতেন- ও পধহ ংসরষব বাবহ রহ যবষষ. আবার বাঙালীর মুখে হাসি ফোটাতে সবচেয়ে কঠিনও হয়েছেন তিনি। সত্যি বলতে কী, বঙ্গবন্ধুর পুরো জীবনটাই ছিল সংগ্রামনির্ভর। বাঙালীর মুক্তিই ছিল তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। বাঙালীর জন্য বঙ্গবন্ধুর এই চাওয়া-পাওয়া হঠাৎ তৈরি হয়নি। এর বীজ তিনি যুবক জীবনেই মনের মধ্যে রোপণ করেছিলেন। এর একটি সুন্দর উদাহরণ দেখতে পাই ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অফ দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’-এ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেটাকে হীরক খ-ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ইতোমধ্যেই সিক্রেট ডকুমেন্টের প্রথম খ- প্রকাশ হয়েছে, আরও ১৩টি খ- প্রকাশ হলে ১৯৪৮-১৯৭১ সাল পর্যন্ত জাতির পিতার সংগ্রামী জীবনের নানা অধ্যায় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কৌশল ও জীবনের নানা বাঁক জানতে জানতে ৪০ হাজার পৃষ্ঠার এই নথি যে কত গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হয়ত পর্যায়ক্রমে সব খ- গ্রন্থ আকারে প্রকাশ হলেই জানা যাবে। ১৯৪৮ সালে দেয়া এক বিবৃতিতে তরুণ শেখ মুজিবের বাঙালী মুক্তির চাওয়া-পাওয়া সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য পাওয়া যায়। পাকিস্তানের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বা ‘আজাদি দিবস’ ছিল ১৯৪৮ সালের ১৪ আগস্ট। এ উপলক্ষে ইত্তেহাদ পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান; যা পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগের নথি ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অফ দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’-এ সংরক্ষিত হয়। বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, ‘১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট আমরা যে ‘আজাদী লাভ করিয়াছি, সেটা যে গণআজাদী নয়, তা গত একটি বছরে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হইয়াছে।’ ‘জাতীয় মন্ত্রিসভা’ দীর্ঘ একটি বছরে জনগণের দুই শ বছরের পুঞ্জীভূত দুঃখ-দুর্দশা মোচনের কোন চেষ্টা তো করেন নাই, বরঞ্চ সেই বোঝার উপর অসংখ্য শাকের আঁটি চাঁপাইয়াছেন। ভুখা, বিবস্ত্র, জরাগ্রস্ত ও শত অভাবের ভারে ন্যুব্জ জনসাধারণের ভাত, কাপড়, ওষুধপত্র ও অন্যান্য নিত্য-ব্যবহার্য্য দ্রব্যের কোন ব্যবস্থা তারা করেন নাই; বরঞ্চ পাট, তামাক, সুপারি ইত্যাদির উপর নয়া ট্যাক্স বসাইয়া ও বিক্রয়-কর বৃদ্ধি করিয়া জনগণের দৈনন্দিন জীবন দুর্বিষহ করিয়া তুলিয়াছেন। বিনা খেসারতে জমিদারি বিলোপের ওয়াদা খেলাফ করিয়া ত্ারা জমিদার ও মধ্যস্বত্বভোগীদিগকে পঞ্চাশ ষাট কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করিতেছেন। নতুন জরিপের নাম করিয়া তারা জমিদারি প্রথার সম্পূর্ণ বিলোপ আট বছর স্থগিত রাখার ষড়যন্ত্র করিতেছেন। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার অছিলায় তারা অনেক দেশভক্ত লীগ-কর্মীকেও বিনা বিচারে কয়েদখানায় আটকাইয়া রাখিতেছেন। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে মুসলিম ছাত্র সমাজের উপর এবং আরও কতিপয় ক্ষেত্রে জনতার উপর লাঠিচার্জ, কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার ও গুলি চালনা করিয়া তারা আজাদীকে কলঙ্কিত করিয়াছেন।’ (ভলিউম-১, পৃষ্ঠা-৪৪) ৫ ফুট ১১ ইঞ্জি দীর্ঘদেহী বঙ্গবন্ধুর আরও একটি ভয়-ডরহীন বক্তব্য উল্লেখ করছি। এটিও পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা সিক্রেট ডকুমেন্টসে স্থান দিয়েছে। ১৯৪৮ সালের ১৭ মে, নারায়ণগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরির জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘জীবন দিয়ে আমরা পাকিস্তান এনেছি আর পাকিস্তানের আজ এই পরিণতি! আমরা খাদ্য পাই না, বস্ত্র পাই না। দেশভাগের আগেও বরিশালে খাদ্যের অভাব ছিল না। সেই বরিশালে এখন ধানের মূল্য ৪০ রুপী মণ। তার ওপর কৃষকদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বাড়তি ট্যাক্স। এর বিরুদ্ধে কথা বললে আমাদের বলা হয় বিশ্বাসঘাতক।’ (ভলিউম-১, পৃষ্ঠা-১৯) অসীম ক্ষমতাধর পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে মাত্র ২৮ বছর বয়সী শেখ মুজিব কর্তৃক জাতীয় পত্রিকায় এমন অভিযোগ তোলা এবং তেজোদীপ্ত বক্তৃতা-বিবৃতিইপ্রমাণ করে, তিনি কতটা সাহসী ছিলেন। বাঙালীর স্বাধীনতা অর্জনের জন্য কতটা কঠোরভাবে ভাবতেন! ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিশে^র বিভিন্ন দেশ থেকে সাংবাদিকরা ঢাকা এসেছিলেন। সঙ্গে এসেছিলেন বিবিসি সংবাদদাতা ব্রায়ন বারনও। কিন্তু দেশে বসে অনুসন্ধানী রিপোর্ট তার করা হয়নি। তৎকালীন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তিন দিন আটকে থাকতে হয়েছিল তাকে। পরে তাকেসহ অন্যদের বাংলাদেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়। নিজ দেশে ফিরে আগস্টের শেষ সপ্তাহে একটি সংবাদ বিবরণী লিখেছিলেন তিনি। যাতে বলা হয়, শেখ মুজিব সরকারীভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং জনসাধারণের হৃদয়ে উচ্চতম আসনে পুনপ্রতিষ্ঠিত হবেন। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার। এটা যখন ঘটবে, তখন নিঃসন্দেহে তাঁর বুলেট-বিক্ষত বাসগৃহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্মারক চিহ্ন এবং কবরস্থান পুণ্য তীর্থে পরিণত হবে। (‘দি লিসনার’ লন্ডন, ২৮ আগস্ট, ১৯৭৫)। ব্রায়নের ওই ভবিষ্যদ্বাণী শুধু বাস্তবায়নই হয়নি, বরং বাংলাদেশের মানুষের মণিকোঠায় বঙ্গবন্ধু আবির্ভূত হয়েছেন আরও উজ্জ্বল ও মহীরূহরূপে। আজ স্মৃতির মানসপটে উদ্ভাসিত হচ্ছে ১৫ আগস্টের মর্মান্তির হত্যাকা-ের প্রতিক্রিয়ায় বিশ^নেতারা কে কী মন্তব্য করেছিলেন, সেই কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তির দূত নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শোষিতের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন, আমি একজন অকৃত্রিত বন্ধুকে হারালাম’। প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত মন্তব্য করেছিলেন, ‘আপোসহীন সংগ্রামী কুসুম-কমল হৃদয়ের মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু’। কিউবার শাসক ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখি নাই, তবে বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি। বিশে^র শোষিত মানুষ হারাল একজন মহান নেতাকে। আমি হারালাম এক বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে।’ মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘আমার উপহারস্বরূপ দেয়া ট্যাঙ্ক দিয়ে বিপথগামীরা আমার বন্ধুকেই হত্যা করেছে। আমি নিজেকে অভিশাপ দিচ্ছি।’ বঙ্গবন্ধুর চির সমালোচক মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী মন্তব্য করেছিলেন, ‘টুঙ্গিপাড়ায় শায়িত মুজিবের সমাধি একদিন বাঙালীর তীর্থস্থানে পারিণত হবে।’ ১৬ আগস্ট আকাশবাণী বেতারের এক পর্যালোচনায় মন্তব্য ছিল, ‘বাংলার যীশু মারা গেছেন। এখন লাখ লাখ বাঙালী ক্রুশ ধারণ করে তাকে স্মরণ করছেন- মূলত একদিন মুজিবই হবে যীশুর মতো।’ জীবনে বেশ কয়েকবার বঙ্গবন্ধুর সংস্পর্শ পেয়েছি। সবশেষ পেয়েছি বঙ্গবন্ধু চলে যাওয়ার আট মাস আগে তথা ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে। বঙ্গবন্ধু তখন সারাদেশে বাকশাল গঠন করেছেÑ উদ্দেশ্য ছিলÑ দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা। বলা যায়, আর্থ-সামাজিক মুক্তিই ছিল এর উদ্দেশ্য। এ লক্ষ্যে প্রথমে বাকশালের কেন্দ্রীয় কমিটি ও পরে জেলা গবর্নরসহ জেলা কমিটিগুলো গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর ¯েœহধন্য হওয়ায় তিনি আমাকেও এর সদস্য করেন। পদায়ন করেন পাবনা জেলা বাকশালের যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে। প্রয়াত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গবন্ধু স্ব-হস্তে প্রণয়ন করেছিলেন এই কমিটির তালিকা। পরে বাকশালের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর মুখে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক আমার নামটি লেখার গল্প শুনেছিলাম। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে! যা হোক, কমিটি গঠনের পর জেলা বাকশালের সম্পাদক ও ৫ যুগ্ম-সম্পাদক মিলে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাই। তিনি তখন ধানম-ির ৩২ নম্বরে রোডস্থ বাসায়। জাতির জনকের স্বভাব ড্রেসকোড ‘হাফ-শার্ট’ ও ‘লুঙ্গি’ পরেছিলেন। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুকে আমার শেষ দেখা। ভবনে ঢুকে প্রথমেই বঙ্গবন্ধুকে সালাম দিলাম। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম বাকশালের কমিটিতে স্থান দেয়ায়। এ সময় অনেক কথা হলো। মানুষের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আমাদের নানা দিক-নির্দেশনা দিলেন। চলে আসব, ঠিক এই মুহূর্তে ডাকলেন বঙ্গবন্ধু। বললেন- ‘কীরে, আমার সঙ্গে তো ছবি না তুলে কেউ যায় না; তোরা কেন যাস’। তাৎক্ষণিক ক্যামেরাম্যান ডাকলেন। ফটোবন্দী হলাম প্রিয় মানুষটির সঙ্গে। এখানে বলে রাখি, অনেক ফটোগ্রাফারই প্রশ্ন করতেন, ‘বঙ্গবন্ধু, আপনি এত ছবি তোলেন কেন?’ জবাবে তিনি বলতেন, ‘ভবিষ্যতের মানুষ যারা, ওরা বড় হয়ে দেখবে তাদের নেতা কেমন ছিল।’ আজ মনে পড়ে, সেদিন যদি বঙ্গবন্ধু নিজে ডেকে ছবি তোলার ব্যবস্থা না করতেন, তাহলে হয়ত তার সঙ্গে কাটানো শেষ মুহূর্তের এই স্মৃতি চিহ্নটুকুও আগলে রাখতে পারতাম না। স্বাধীনতার পর আরও কয়েকবার বঙ্গবন্ধুর সম্মুখ সাক্ষাত পেয়েছি। ১৯৭২ সাল। আমি তখন পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। এ সময় বন্যাকবলিত মানুষকে বাঁচাতে পাবনার কাশিনাথপুর/নগরবাড়ীতে ‘মুজিববাঁধ’ উদ্বোধন করতে আসেন বঙ্গবন্ধু। যথারীতি জনসভার আয়োজন হলো। স্বাগত বক্তব্যের দায়িত্ব পড়ল আমার ওপর। বক্তৃতা দিলাম। ডায়াস থেকে যখন মুখ ঘুরিয়ে চলে যেতে উদ্যত হয়েছি, ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধু আমার হাত ধরে ফেললেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দাঁড়িয়ে গিয়ে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। কপালে চুমু এঁকে বললেন, ‘তুই তো ভাল বলিস’। জাতির পিতার মুখে আমার বক্তৃতার প্রশংসা শুনে কী বলব, বুঝে উঠতে পারছিলাম না। পরে দুই-একটি কথা বলে স্টেজের পাশে দাঁড়ালাম। যথারীতি অনুষ্ঠান শেষ হলো। বঙ্গবন্ধু ঢাকায় ফিরবেন, হেলিকপ্টারে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক এমন মুহূর্তে আমার কাছে জানতে চাইলেন, ঢাকা যাব কি-না? আগে-পাছে চিন্তা না করে রাজি হয়ে গেলাম। প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার ভ্রমণের সুযোগ হলো, তা-ও রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। অন্যরকম অনুভূতি। ঢাকায় হেলিকপ্টার থামল পুরাতন বিমানবন্দর তেজগাঁওয়ে। আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে ডাকলেন বঙ্গবন্ধু। নির্দেশ দিলেন, ‘ওকে (আমাকে) বাসায় নিয়ে খেতে দাও, তারপর খরচ দিয়ে পাবনা পাঠিয়ে দিও’। এই ছিল আমাদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ¯েœহ-ভালবাসা। লেখার শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি দিন স্মরণের কথা বলেছিলাম। সেই বিষয়টি টেনেই শেষ করতে চাই। উইলিয়াম ফকনার তার এক উক্তিতে বলেছিলেন, ‘অতীতের মৃত্যু হয় না কখনও, এমনকি অতীত বলেও কিছু নেই’। বঙ্গবন্ধুর চলে যাওয়ার ৪৫ বছর গত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তিনি আমাদের মাঝে অতীত নয়, বরং বর্তমান। তাঁর স্মরণ শুধু ১৫ আগস্ট নয়, জীবনের প্রতি মুহূর্ত, প্রতিদিন, হোক সারা বছর ধরে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন, আছেন, থাকবেন। বাঙালী তো বটেই, বিশ^ ইতিহাসেও তাঁর মৃত্যু নেই। তিনি চিরঞ্জীব। লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
×