ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার কারণে পুষ্টি নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন

প্রকাশিত: ০০:০৬, ২৫ আগস্ট ২০২০

করোনার কারণে পুষ্টি নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোভিড-১৯ এর কারণে দারিদ্রের হার বাড়ায় পুষ্টি নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। অপুষ্টির কারণে শিশুদের এক তৃতীয়াংশের শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশে ৯৫ ভাগ পরিবারের আয় কমেছে এবং ৫১ ভাগ পরিবারের আয় শূন্য শতাংশের কাছাকাছি নেমে এসেছে। ৩ শতাংশ পরিবারের কোন খাবার নেই, ১৬ শতাংশ পরিবারের ১-৩ তিনের খাবার আছে এবং ২২ শতাংশ পরিবারের ৩০ দিন বা তার অধিক সময়ের খাবার আছে। এ পরিস্থিতিতে সামাজিক সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার জাতিসংঘের ফুড এ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন-এর সহযোগিতায় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ আয়োজিত বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে পুষ্টি সংবেদনশীল সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন পিআইবি পরিচালক (অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ) মোঃ ইলিয়াস ভূইয়া। আলোচনায় অংশ নেন এফএও’র মিটিং দ্য আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের চীফ টেকনিক্যাল এ্যাডভাইজর নাওকি মিনামিগওসি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ফুড প্ল্যানিং এ্যান্ড মনিটরিং ইউনিটের পরিচালক (গবেষণা) ফিরোজ আল মাহমুদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর মিজানুল হক কাজল। বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাক পরিচালিত কোভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক প্রভাব ও বাংলাদেশের করণীয় শীর্ষক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ফুড এ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন-এর ন্যাশনাল প্রোভার্টি এ্যান্ড সোশ্যাল প্রোটেকশান এ্যাডভাইজার মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল বলেন, সরকার ২০১৫ সালে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল গ্রহণ করে এবং এই কৌশলে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে জীবন-চক্র পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে তিনি সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের কিছু দুর্বলতাও তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে- দুর্বল নজরদারি ও পর্যবেক্ষণের কারণে উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দ্বৈততা পরিহার সংক্রান্ত ত্রুটি, যে পরিমাণ অর্থ বা ভাতা প্রয়োজন তা দরিদ্র মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছানো যাচ্ছে না, বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতার অপ্রতুলতা। সমাপনী বক্তব্যে পিআইবি মহাপরিচালক বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে সুষম খাদ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব রয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিহীন জনসংখ্যার হার কমলেও এখনও অসংখ্য শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। তিনি আরও বলেন, জনগণকে পুষ্টিকর খাবার দিতে না পারলে বিকলাঙ্গ ভবিষ্যত ও বিকলাঙ্গ সমাজ গড়ে ওঠবে। নাওকি মিনামিগওসি তার বক্তব্যে বলেন, পুষ্টি সংবেদনশীল খাদ্য ব্যবস্থা বিষয়ক সেকেন্ড কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বাস্তবায়নের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে সামাজিক সুরক্ষা। তিনি তার বক্তব্যে খাদ্য নিরাপত্তার চারটি দিক তুলে ধরেন। এগুলো হচ্ছে-খাদ্যের পর্যাপ্ততা, প্রাপ্যতা, খাদ্যের যথার্থ ব্যবহার এবং এ তিনটি বিষয় নিশ্চিত করা।
×