ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আসছে আরও তিনটি ড্যাশ-৮ চার নতুন রুট, অক্টোবরেই টরন্টো ফ্লাইট নিশ্চিত করা হচ্ছে বিশ্বমানের হ্যাঙ্গার থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পেতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি

নতুন রূপে বিমান ॥ করোনার ধকল কাটাতে ব্যাপক পরিবর্তনের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ২৫ আগস্ট ২০২০

নতুন রূপে বিমান ॥ করোনার ধকল কাটাতে ব্যাপক পরিবর্তনের উদ্যোগ

আজাদ সুলায়মান ॥ নতুন রুট খোলা, তিনটি ড্যাশ-৮ সংগ্রহ করা, দক্ষ জনবল নিয়োগ, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি হ্যাঙ্গার নির্মাণ ও থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার মাধ্যমে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিমান। এ জন্য নতুন কর্মসম্পাদন ব্যবস্থা পদ্ধতির মাধ্যমেই স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কিছু পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে এয়ারলাইন্সটি। এরই মধ্যে চোখে পড়ার মতো পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে বিমানে। এ জন্য নিজস্ব কর্মকৌশল ও পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে বিমান। আগামী এক বছরের মধ্যেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছেন প্রতিষ্ঠানটির নীতিনির্ধারকরা। এ জন্য সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বিমান। যা বাস্তবায়ন করা হলে বিমান সত্যিকার অর্থেই একটি শক্তিশালী এয়ারলাইন্সে পরিণত হবে। প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও সিনিয়র সচিব মহিবুল হক জানিয়েছেন, বিমান নতুন ব্যবস্থাপনায় যেভাবে উর্ধমুখী হচ্ছিল হঠাৎ করোনা তা-বে ততটাই নিম্নমুখী হয়ে এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। যা থেকে রক্ষা পেতে নেয়া হয়েছে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা। বিমান সে পরিকল্পনা নিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় রয়েছে। নতুন রুটের সন্ধান ॥ এক সময় বিমানের ছিল ২৯ গন্তব্য। পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়িয়েছে বিমান। কালের ব্যবধানে নানা বিপর্যয়ে সেটা বর্তমানে নেমে এসেছে ১৭টিতে। এ অবস্থায় বর্তমান মন্ত্রী ও সচিব দায়িত্ব গ্রহণের পর বিমানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বেশকিছু পরিকল্পনা হাতে নেন। তার হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করা। এ চেতনা থেকে অতীতের রুটগুলো পুনরায় চালুর জন্য দিক নির্র্দেশনা দেন তারা। তারই ধারাবাহিকতায় নিকট ভবিষ্যতে আরও অন্তত চারটি রুট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। টরেন্টো, টোকিও, গুয়াংজু ও চেন্নাইয় রুটে ডানা মেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমান। অক্টোবরেই টরেন্টো ফ্লাইট চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোকাব্বির হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সূচী। যাত্রী সঙ্কট থাকায় কোভিড পরবর্তী সময়ে নতুন রুট চালুর সিদ্ধান্ত বুঝে শুনে নিতে হবে। গত দু’বছরে বিমান বহরে ছয়টি অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ যোগ হলেও রুট বেড়েছে মাত্র তিনটি। চলতি বছর একাধিক নতুন রুটে যাত্রার উদ্যোগও পিছিয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস কারণে। বিভিন্ন দেশ নিষেধাজ্ঞা না তোলায় বিদ্যমান ১৭টি রুটের মধ্যে বর্তমানে মাত্র চার রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এর মধ্যেই টোকিও, টরন্টোসহ নতুন চারটি রুটে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমান। এর মধ্যে সবচেয়ে আকাক্সিক্ষত হচ্ছে টরেন্টো রুট । আগামী অক্টোবরের শেষের দিকে যে কোন মূল্যে তা চালু করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এমনকি কানাডাতে জিএসএ নিয়োগেরও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এটিই হবে এ বছরের অন্যতম অর্জন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক রুট বৃদ্ধি ও ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে বিমানের। কলম্বো, মালে, শারজাহ, সালালাহ, বাহরাইন ও নিউইয়র্ক রুটে ফ্লাইট চালু করতে চায় বিমান। নতুন রুট চালু ও পুরনো রুটে ফ্লাইট বাড়ানো গেলে লাভের ধারা বজায় রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। নতুন ৩ডি ড্যাশ এ৮ ॥ বিমান বর্তমানে ছোট আকারের উড়োজাহাজের অভাবে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীদের প্রত্যাশিত সেবা দিতে পারছে না। বর্তমানে একটি ড্যাশ-৮ দিয়ে কোনভাবে পরিস্থিতি সামাল দিলেও অচিরেই বেশ জোরেশোরে অভ্যন্তরীণ রুটে সেবা নিশ্চিত করতে যাচ্ছে। আসছে নবেম্বরে বিমান বহরে নতুন ১টি ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ এনজি মডেলের উড়োজাহাজ বিমান বহরে যুক্ত হচ্ছে। বাকি দুটি যুক্ত হবে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে। বিমানের এমডি মোঃ মোকাব্বির হোসেন বলেন, মহামারীর কারণে সারাবিশ্বের এয়ারলাইন্সগুলোর মতো বিমানও ক্ষতিগ্র্রস্ত হয়েছে। বিমানের বহরে নতুন ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ বিমানের একটি যুক্ত হবে নবেম্বর মাসে, বাকি দুটি যুক্ত হবে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে। বিমান জানিয়েছে, এ তিনটি ড্যাশ-৮ এ বছর মার্চ, মে ও জুনে সরবরাহ করার কথা ছিল কানাডার বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বম্বার্ডিয়ার ইনকরপোরেশনের। বিশ্বব্যাপী করোনা তা-ডবের দরুণ সময়মতো বিমানগুলো সরবরাহ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য ৩টি বিমান কিনতে বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জিটুজি পদ্ধতিতে সরাসরি ক্রয় চুক্তি হয়। এজন্য ঋণ সহায়তা দিয়েছে কানাডা সরকারের প্রতিষ্ঠান এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট কানাডা (ইডিসি)। ২০১৮ সালের ১ আগস্ট বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে এই ক্রয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন- বিমানের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দিক আহমেদ ও কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কার্ল মারকোট। দক্ষ জনবল নিয়োগ ॥ আজকের পৃথিবীতে যে কোন এয়ারলাইন্সকে টিকে থাকতে হলে দক্ষ জনবলের ওপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হয়। বিশ্বের শীর্ষ ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ডেল্টা, লুফথানসা, কেএলএম, প্যানএ্যাম, এমিরেটস, কাতার, টার্কিশ, সিঙ্গাপুর ও সৌদিয়াসহ সব এয়ারলাইন্সেই প্রাধিকার দেয়া হয় জনবল কাঠামোকে। বিমানেও এক সময় ছিল দক্ষ জনবল। আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে ফ্রান্সের টুলুজ ইউনির্ভার্সিটি থেকে বিমানের ক’জন তরুণ কর্মকর্তাকে এভিয়েশনে উচ্চতর প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। দুর্ভাগ্য সেই বিমানে গত বিশ বছর ধরে নেই কোন বড় ধরনের অফিসার নিয়োগ। এখন যারা বিমানের শীর্ষ স্তরে কর্মরত তাদের শতকরা ৮০ ভাগই প্রমোটি। গ্রুপ-৩-এ যোগ দেয়া কর্মচারীরা পদোন্নতি পেতে পেতে অনেকেই পরিচালকের মতো শীর্ষ পদে বসার সৌভাগ্যবান হয়েছেন। কারণ বিমান বিগত ২০ বছরের মধ্যে সরাসরি অফিসার নিয়োগ দিয়ে সেভাবে শীর্ষ ব্যবস্থপনার সারিগুলো পূরণ করার উদ্যোগ নেয়নি। মাঝে বছর তিনেক আগে কজন অফিসার নিয়োগ দিতে গিয়ে হোঁচট খায় ইউনিয়নের আগ্রাসনে। পরিণতিতে বিভিন্ন বিভাগে প্রয়োজনীয় দক্ষ ও কারিগরি জনবল নিয়োগ না হওয়ায় দেখা দেয় নানা সঙ্কট। এতে গুণগত সেবা দিতেও ব্যর্থ হচ্ছে বিমান। এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি ও ভাড়া হ্রাসের কারণেও চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বিমান। এর মাঝে করোনা তা-বে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া, নতুন স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণসহ নানা কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিমান চলাচলে সৃষ্ট অনিশ্চয়তায় লাভজনক ব্যবসা পরিচালনা করা ভীষণ রকমের কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন ত্রিশংকু পরিস্থিতিতে বর্তমান সিনিয়র সচিব মহিবুল হক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন দক্ষ জনবল নিয়োগের তাগিদ অনুভব করেন এবং সেই উদ্যোগ নেয়া হয়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার পাশাপাশি লাভের ধারা অব্যাহত রাখতে গত ২৯ জুলাই সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বিমান ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোকাব্বির হোসেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তিতে বিমান নিজেদের পরিকল্পনার বিষয়টি তুলে ধরে। এতে বিমানের চারটি পরিকল্পনার একটি হচ্ছে, স্ট্র্যাটেজিক হিউম্যান ক্যাপিটাল প্ল্যানিং। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ, বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান, যথাযথ পদায়ন, মূল্যায়ন, প্রণোদনার মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলা। বিমান কর্তৃপক্ষ মনে করে দক্ষ জনবল সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারলে পরিস্থিতি মোকাবেলা সহজ হবে। বিশ্বমানের হ্যাঙ্গার ॥ বিশ্বের প্রতিটি শীর্ষ এয়ারলাইন্সের নিজস্ব ও অপরের উড়োজাহাজ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রয়েছে উন্নত মানের হ্যাঙ্গার। যেখানে নিজের পাশাপাশি অন্যান্য এয়ারলাইন্সের যান্ত্রিক সেবা প্রদান করা যায়। বিমানেরও রয়েছে একটি হ্যাঙ্গার যার অবস্থান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উত্তর পাশে। এই হ্যাঙ্গারে বর্তমানে উড়োজাহাজের সি চেক করা সম্ভব। পাশাপাশি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন এয়ারলাইন্সও রক্ষণাবেক্ষণ সেবা পাচ্ছে এখানে। এতে মেরামত খরচ কমানোর পাশাপাশি অন্য এয়ারলাইনসগুলোকে প্রকৌশল সেবা দিয়ে বিমানের আয় বাড়ছে। বাণিজ্যিকভাবে আরও লাভবান হওয়ার জন্য আরেকটি বিশ্বমানের হ্যাঙ্গার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বিমান। এজন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন স্বাক্ষরিত একটি পরিকল্পনা পত্র ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। ওই পরিকল্পনায় রয়েছে, বর্তমান হ্যাঙ্গারেই আরও সক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি একটি নতুন হ্যাঙ্গার নির্মাণ করা গেলে বিমানের জন্য লাভজনক হবে। বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের নিজস্ব হ্যাঙ্গারে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজের সি চেক হচ্ছে। এতে অন্য দেশে উড়োজাহাজ পাঠানোর সময় বাঁচানোর পাশাপাশি বিমানের উড়োজাহাজপ্রতি সাশ্রয় হচ্ছে প্রায় ৪ লাখ ডলার। বিমান বহরের বর্তমান ও ভবিষ্যত উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধুনিক ও সুপরিসর দ্বিতীয় হ্যাঙ্গার নির্মাণ করা অত্যাবশ্যক। এছাড়া বিমানের গ্র্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে আইএসএজিও সনদ অর্জন ও উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণে ইএএসএ-১৪৫ সনদ অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে বিমান। বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে উড়োজাহাজ রয়েছে ১৮টি। নবেম্বরে আরও যোগ হচ্ছে ১টি। আর জানুয়ারিতে আরও ২টি। তখন বিমানের বহর হবে আরও সুপরিসর। বর্তমানে এসব উড়োজাহাজের জন্য কেবল রক্ষণাবেক্ষণেই বিমানকে প্রতিমাসে খরচ করতে হয় ২৬৬ কোটি টাকা। নির্দিষ্ট সময় অন্তর উড়োজাহাজে বড় ধরনের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়, যা সি-চেক নামে পরিচিত। বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআরের মতো উড়োজাহাজের সি চেক করতে সময় লাগে প্রায় দুই সপ্তাহ। নতুন হ্যাঙ্গার নির্মাণ করা হলে বিমানকে আর দেশের বাইরে ছুটতে হবে না প্রকৌশল সেবা নিতে। এ ছাড়া বিমান আইএটিএ সেফটি অডিট ফর গ্রাউন্ড অপারেশনস সনদ অর্জনে সক্ষমতা বাড়াতে পরিকল্পনা করছে। একইসঙ্গে উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণে ইউরোপিয়ান এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি-১৪৫-সনদ অর্জনে পদক্ষেপ নেবে বিমান। থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পেতে উদ্যোগ ॥ এসব উদ্যোগ ছাড়াও আগামী তিন বছরের মধ্যেই থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাওয়ার জন্য বিমানকে এখনই প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। যদিও বিমান মন্ত্রণালয় আগেই ঘোষণা দিয়েছে, সেখানে এককভাবে কাউকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ দেয়া হবে না। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে থার্ড টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ দেয়া হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ একাই করছে বিমান। যা থেকে বিমান বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকার মতো রাজস্ব পাচ্ছে। এটাই বিমানের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস বলে বিবেচিত। বিমান এরই ধারাবাহিকতায় থার্ড টার্মিনালের জন্য গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পেতে এখন থেকেই আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সেবা প্রদানের জন্য বেবিচকের গাইডলাইন অনুসারে কর্মী ও যন্ত্রপাতির প্রস্তুতি নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে বিমানের। যা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ইতোমধ্যে।
×