নবজাতকের স্বাস্থ্য পরিচর্যা
১। নবজাতকের জন্মের পর বার বার বুকের দুধ টানান। যত স্তন চুষবে তত দুধ নামবে, প্রথম ৩ দিন কষ কষ দুধÑ শাল দুধ, অল্পতে যথেষ্ট।
২। সে দিনে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমাতে পারে, দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
৩। ৩ দিনের দিকে হলুদ হয়ে যেতে পারে ৮০% বাচ্চারই এমনটি হয়। বেশি হলে জন্ডিজের পরীক্ষা করতে হবে কিন্তু রোদে দেয়া যাবে না, রোদে ক্ষতিকারক আলট্রাভায়োলেটরে রেড রে থাকে যা কিনা আপনার বাচ্চাকে ক্ষতি করতে পারে। করতে পারে হিট স্ট্রোক।
৪। নাভি শুকনো ও পরিষ্কার রাখুন। কোন কিছু লাগানো যাবে না। নাভি শুকাতে ২/৩ সপ্তাহ সময় লাগে।
৫। বাচ্চার গায়ে কাপড় চোপড়ে কোন ডেটল ও স্যাভলন দিবেন না, ত্বকে র্যাশ বের হতে পারে। লাল লাল র্যাশ এমনি বের হয়। এমনিতেই সেরে যায় কোন চিকিৎসা লাগে না।
৬। বাইরের দুধ ধরাবেন না, যা কিনা আপনার বাচ্চাকে সমূহ ক্ষতি করতে পারে।
৭। নবজাতকের জন্য সবচেয়ে ২৫/২৬ ডিগ্রী সেন্ট্রিগ্রেড ঘরের তাপমাত্রা শ্রেয়।
৮। কম মানুষ আপনার বাচ্চাকে ধরবে। ধরার আগে হাত ধুয়ে নিন সাবান দিয়ে। আঁতুরঘর মানতে হবে প্রথম ৪০ দিন।
৯। চোখ ও নাকের সংযোগ স্থলের কোণে ১০ বার করে দৈনিক ম্যাসেজ করুন। তাহলে বাচ্চার চোখ দিয়ে পানি পড়া দূর হবে।
১০। সাধারণত দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আমরা গোসল দিতে বলি।
পায়ের নখের ছত্রাকের চিকিৎসা
আপেলসিডার ভিনেগার : আপেলসিডার ভিনেগার মৃদু অম্ল এবং এ জন্য পায়ের ছত্রাক রোধে তা সাহায্য করে। সে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাককে মেরে ফেলে।
পদ্ধতি : সমপরিমাণ আপেল সিডার ভিনেগার ও পানি নিন। তরলে পায়ের নখ ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। ৩০ মিনিট পরে নখ মুছে ফেলুন। প্রতিদিন করুন কয়েক সপ্তাহ ধরে। খুব তাড়াতাড়ি আপনি উপকার পাবেন।
একটি ডিম কি প্রতিদিন খেতে পারি?
প্রতিদিন তো একটা ডিম খাওয়ার পক্ষে এখন বিজ্ঞানীরা প্রায় সবাই। ডিম হলো খুব ভাল ভিটামিনের উৎস প্রকৃতির উন্নতম ‘সুষম খাদ্য’। কারণ ডিমের কুসুমের ভেতর নিহিত অনেক পুষ্টি আমাদের শরীর নিতে পারে সহজে। পুরো ডিমে প্রচুর নিউটিন ও জিয়োজ্যানথিন থাকে। নিউটিন ও জিয়োজ্যানথিনের ক্যারিটিনয়েড আপনাকে স্ট্রোক মোকাবেলা করতে সাহায্য করে, ঘা সারিয়ে তোলে এবং বার্ধক্যজনিত ক্ষয়কে রুদ্ধ করে। মারিয়া লুজ ফার্নান্দেজ পিএসডি কানেকটিকাট ইউনিভার্সিটির পুষ্টি বিভাগের প্রধান এটাই বলেন।
ক্ষ একটি ডিমে থাকে আপনার প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় কোলিন ৩৫%। কোলিন আপনাকে আলজিমার্স রোগ থেকে দূরে রাখে। ডিমে ভিটামিনগুলো বেশ সুষমভাবে সন্নিবেশিত থাকে।
ক্ষ ডিম কিন্তু আপনার হার্টের ক্ষতি করে না। এ রকমই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রচলিত ধারণা ভেঙ্গে দিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখছেন ডিম আপনার শরীরে ভাল কোলেস্টেরল অর্থাৎ এইচডিএলকে বাড়ায়। আপনার হার্ট ও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য যা কিনা অতীব উপকারী।
ক্ষ একটা ডিমে প্রতিদিনে ৬ পুরো গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা তাই একটা ডিমেই অনেকটা ঘুচে যায়।