স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়া পৌর এলাকায় সঠিক সংস্কার ও মেরামতের অভাবে অনেক সড়ক চরম বেহাল অবস্থায় পৌঁছেছে। এতে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। বর্ষার কারণে এই দুর্ভোগ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। খানাখন্দকের করাণে অনেক সড়কে এখন হেঁটে চলাচলই করা যাচ্ছে না। যানবাহনে চলতে গিয়েও দুর্ভোগের সীমা নেই। এ ধরনের বেহাল রাস্তার সংখ্যা পৌর এলাকায় বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে পৌরবাসীর দুর্ভোগ। পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ বলছে বর্ষার পর তারা দ্রুত এ ধরনের রাস্তার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করবে।
বৃষ্টি হলেই পৌর এলাকায় ড্রেন উপচে পানি জমে দুর্ভোগের বিষয়টি বগুড়াবাসীর নিকট এখন পুরানো। বর্ষা বা শুষ্ক মৌসুম যে কোন মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার বিপর্যয় হতে সময় লাগে না। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে খানাখন্দকে ভরা রাস্তা। শহরের মালগুদাম লেন, নামাজ গড় সড়কের বেশকিছু অংশ, চকযাদু সড়কের একাংশ, কৈপাড়া, নারুলী, চকলোকমান, বেগমবাজার লেনসহ পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডের কোন না কোন সড়কের বেহালদশা ও দুর্ভোগ একই সুতোর মালা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টির কারণে এসব রাস্তার খানাখন্দক পানিতে ভরে ওঠায় ভোগান্তির যেমন শেষ নেই তেমনি ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে। দিনের পর দিন এসব সড়কের সংখ্যা ও দুর্ভোগ বাড়লেও এ নিয়ে তেমন কোন তৎপরতা নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। অপরদিকে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে পৌরসভার কাজের মান নিয়ে। তবে পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আবু জাফর রেজা এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে পানি উপচে রাস্তার ক্ষতি করছে। তবে তিনি বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার সংখ্যা বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, করোনার আগে গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন প্রকল্প ও পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে দুটি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রায় ১১ কোটি টাকার এই দুটি দরপত্রের কাজ শুরু করা হবে। তবে এর বাইরে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা থাকবে ৪০ শতাংশ। এসব রাস্তার দ্রুত তালিকা করে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান জানান, সামর্থ্য ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত ও সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এদিকে খানাখন্দকের কারণে পৌরসভার অনেক রাস্তা দিয়ে দিনের বেলাতেই চলাচল মুশকিল হয়ে পড়েছে। অনেক সড়কে আবার একই কারণে দেখা দিচ্ছে যানজট। ভুক্তভোগীরা দ্রুত এসব সড়ক মেরামত ও সংস্কারের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে আসলেও কবে পৌরবাসীর এই দুর্ভোগ কমবে সে বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: