ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডায়মন্ড লীগে জনসন-থম্পসন

প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ২৪ আগস্ট ২০২০

ডায়মন্ড লীগে জনসন-থম্পসন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলিয়ে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডায়মন্ড লীগ। আর এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছেন হ্যাপ্টাথলনে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ক্যাটেরিনা জনসন-থম্পসন। কথা ছিল ছয় রাউন্ডে হবে এই টুর্নামেন্ট। তবে এবার পরিবর্তিত হয়ে পাঁচ রাউন্ড হবে। এরপর শীর্ষ তিনে থাকা খেলোয়াড়রা লড়াইয়ে নামবেন। জনসন থম্পসন ছাড়াও এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করছেন অলিম্পিকের স্বর্ণপদক জয়ী ক্যাটেরিন ইবারগুয়েন এবং বিশ্ব রৌপ্যপদক জয়ী ম্যারিনা বেখ-রোমানাচুক। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা স্কটল্যান্ডের ২২ বছর বয়সী জেমা রেকি ডায়মন্ড লীগে অংশগ্রহণ করবেন। ৮০০ মিটার উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে। আমেরিকার তারকা এ্যাথলেট রাইভিন রজার্স। দোহায় অনুষ্ঠিত বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্যপদক জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন। এখানে তিনিই হবেন জেমা রেকির শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তবে এই ইভেন্টে খেলছেন না উগান্ডার তারকা এ্যাথলেট হালিমা নাকাই। মূলত করোনাভাইরাস ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণেই এই ইভেন্টে খেলছেন না উগান্ডার বিশ্বচ্যাম্পিয়নের তকমাটা গায়ে মাখানো হালিমা নাকাই। তরুণ প্রতিভাবান এ্যাথলেট হিসেবে ইতোমধ্যেই বিশ্ব দরবারে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন জেমা রেকি। স্কটল্যান্ডের এই তারকা খেলোয়াড় এই মৌসুমে খেলা ৮০০ মিটার বাহ্যিক তিন ইভেন্টের সবকটিতেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। বুধবার পোল্যান্ডে ১৫০০ মিটারের দ্বিতীয় স্তরের ইভেন্টে প্রতিযোগিতায় নামবেন তিনি। তার অনুশীলন সঙ্গী লরা মুইর। মোনাকোতে যিনি ১০০০ মিটারে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। মোনাকোতে ১৫০০ মিটারের প্রতিযোগিতায় নামবেন তিনি। যেখানে খেলবেন কেনিয়ার ৫০০০ মিটারে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হেলেন ওবিরি। এছাড়াও সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রস্তুত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্যানন রৌবুরি। বৈশ্বিক কোভিড-১৯ নামের ভয়ঙ্কর ভাইরাসের কবলে পড়ে গোটা বিশ্বই তছনছ হয়ে গেছে। অনেক ইভেন্টের মতো স্থগিত করা হয়েছে অলিম্পিকও। অথচ ক্রীড়ার মহাযজ্ঞ হিসেবে বিবেচিত এই একটি গেমস আয়োজনের জন্য কত হাজার কোটি টাকাই না খরচ করেছে জাপান। টোকিওকে গড়ে তুলেছে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে। প্রস্তুতির সব ধাপ যখন শেষ করে এনেছিল তারা তখনই করোনা মহামারীর ভয়াল থাবা। অলিম্পিককে পিছিয়ে দিয়েছে এক বছর। আগামী বছর (২০২১ সালে) ঠিক একই সময় অনুষ্ঠিত হবে এবারের অলিম্পিক গেমন। তবে এক বছর পিছিয়ে দেয়া হলেও অলিম্পিক গেমস আগামী বছরও আয়োজন করা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে এখনও চলছে জল্পনা-কল্পনা। কখনও বলা হচ্ছে আগামী বছরও অলিম্পিক গেমস আয়োজন সম্ভব হবে না, আবার কখনও বলা হচ্ছে অনিশ্চিত। মূলত অলিম্পিক নিয়ে এখনও রয়েছে সন্দেহ-সংশয়। তবে, আয়োজক শহর টোকিও এবং আয়োজক কমিটির প্রধান চান অলিম্পিক আয়োজন করতে। টোকিও গবর্নর ইউরিকো কোইকে চান করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে আয়োজন করা হোক অলিম্পিক গেমস। আবার আয়োজক কমিটির প্রধান ইয়াসুহিরো ইয়ামাশিতা জানিয়েছেন, হয়তো কলেবর ছোট করে আনা হবে। কিন্তু অলিম্পিক গেমস আয়োজন হবে। টোকিও’র গভর্নর ইউরিকো কোইকে বলেন, ‘কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে সবাই একসঙ্গে মানবতাকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। এক জোট হয়ে দাঁড়াচ্ছে অলিম্পিকের মঞ্চে, এটাই হবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার। আর তাই আমরা অলিম্পিক আয়োজন করতে চাই।’ আগামী বছর কখন অলিম্পিক হবে তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন কোইকে; কিন্তু দ্বিতীয়বার টোকিও’র গবর্নর হয়ে আশা ছাড়ছেন না তিনি। কিন্তু পরিস্থিতি কতটা ভাল? কতটা অলিম্পিক আয়োজন করার উপযোগী থাকবে আগামী বছর? প্রশ্ন থাকছেই। জাপানের মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, প্রতিষেধক আবিষ্কার হলেও তা সাধারণের কাছে সেভাবে সহজলভ্য হবে না। যে কারণে একটা ঝুঁকি থেকেই যাবে। এমনিতে জাপানে করোনা প্রভাব ততটা নেই; কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে কিছু নতুন সংক্রমণের খবর এসেছে। যা কিছুটা হলেও সাবধানী করে তুলেছে জাপানকে।
×