সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ করোনার কারণে ‘এ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’এর কাজ শেষ করতে না পেরে ঢাকায় ফিরে আসেন নির্মাতা জুয়েল, সিয়াম, পরীসহ টিমের বাকি সদস্যরা । সব মিলিয়ে ১২০ সদস্য। অবশেষে তারা আবারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এবার আর সুন্দরবন নয়, সদরঘাটসহ বুড়িগঙ্গার বিভিন্নস্থানে করতে চান বাকি কাজটুকু। বিষয়টি জানিয়েছেন নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েল। তিনি বলেন, এখানে অনেক শিশুশিল্পী আছে। তাদের চেহারা ও উচ্চতা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আমার বাচ্চারই উচ্চতা দুই ইঞ্চি বেড়ে গেছে! তাই দ্রুত শূটিং শেষ করতে চাই। আগামী মাসের ২ তারিখ থেকে শূটিংয়ে যাচ্ছি আমরা। সদরঘাটসহ বেশ কিছু স্থানে ১০ দিন শূটিং করব। লঞ্চের একটি অংশের জন্য শুধু খুলনা যেতে হবে। এই পর্বেও শিশুশিল্পীদের সঙ্গে থাকছেন সিনেমার প্রধান দুই মুখ সিয়াম আহমেদ ও পরীমনি। গত ১৪ মার্চ ঢাকার সদরঘাট থেকে ভাড়া করা লঞ্চ নিয়ে শূটিংয়ে গিয়েছিল ‘এ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ টিম। মূল শিল্পী ছাড়াও একঝাঁক শিশু ছিল তাদের সঙ্গে। লক্ষ্য ছিল, টানা ২৫ দিনের শূটিং ট্যুর শেষ করে ঢাকায় ফিরবে লঞ্চটি। পরিচালকের পরিকল্পনা ছিল শতভাগ কাজ শেষ করেই ঢাকায় ফেরার। তা হয়নি। থেকে যায় ৮ দিনের শূটিং। প্রসঙ্গত, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারী অনুদানে লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে ‘এ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবিটি। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন জাকারিয়া সৌখিন। সিনেমাটির সহ-প্রযোজনায় আছে বঙ্গ।
শীর্ষ সংবাদ: