ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতে জাইকা ৮৮২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ২৪ আগস্ট ২০২০

কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতে জাইকা ৮৮২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং কৃষিভিত্তিক ব্যবসা প্রসারে ১১.২১৮ বিলিয়ন জাপানী ইয়েন যা প্রায় ৮৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে ফুড ভ্যালু চেন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষিভিত্তিক ব্যবসার উন্নয়ন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খাদ্য নিরাপত্তা খাতে কর্মরত প্রতিষ্ঠান ও শিল্প উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে অর্থায়ন এবং কারিগরি সহায়তা দেয়া হবে। ফলে নিরাপদ ও গুণগতমানের খাদ্য সরবরাহের উদ্যোগ জোরদারের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের লক্ষ্যও অর্জন সম্ভব হবে। রবিবার জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়া ও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠককালে এ তথ্য জানান। বৈঠকে জাইকা প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়া বলেন, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে অভ্যন্তরীণ এবং বহির্বিশ্বে গুণগত মানসম্পন্ন ও নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। ফলে খাদ্য উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে গুণগতমান সুরক্ষা এবং ফুড ভ্যালু চেনের উন্নয়ন জরুরী হয়ে পড়েছে। দেশের গ্রামীণ ও শহরের জনগোষ্ঠীর ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় একইসঙ্গে নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা ও যোগান বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষিভিত্তিক শিল্পখাতের উন্নয়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে করোনার প্রকোপের মধ্যেই নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রফতানি বৃদ্ধি এবং পণ্য বৈচিত্র্যকরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি এ প্রকল্প বাস্তবায়নে শিল্পমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। শিল্পমন্ত্রী জাইকাকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, কারিগরি প্রশিক্ষণের আধুনিকায়ন, খাদ্য এবং খাদ্য সংশ্লিষ্ট শিল্পের অগ্রগতিতে জাইকা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি কলগুলোর পণ্য বৈচিত্র্যকরণে জাইকা উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের খাদ্য শিল্পের গুণগত মানোন্নয়নে গৃহীত ফুড ভ্যালু চেন উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা দেয়া হবে। এ প্রকল্প অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশী খাদ্য শিল্পের উন্নয়ন এবং এ দেশে বিশ্বমানের খাদ্য শিল্প কারখানা স্থাপনে ইতিবাচক অবদান রাখবে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে হালাল ও মানসম্মত খাদ্যপণ্য রফতানির সুযোগ জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ সলিম উল্লাহ, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের উর্ধতন প্রতিনিধি কজি মিটুমরি, কর্মসূচী উপদেষ্টা রিউচি কাটসুকি, প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ মেহেদি হাসান, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আনিসুজ্জামান অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
×