ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়েবিনারে সালমান রহমান

ব্যবসা পরিচালনার সূচকে আরও উন্নতি হবে

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ২৩ আগস্ট ২০২০

ব্যবসা পরিচালনার সূচকে আরও উন্নতি হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিদ্যমান করদাতাদের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে নতুন করদাতা খোঁজার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী বিনিয়োগ ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি বলেছেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর কাঠামোকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী বছরের মধ্যে বৈশি^ক ব্যবসা পরিচালনার সূচকে বাংলাদেশ দুই অঙ্কে (ডবল ডিজিট) উন্নীত হবে। সালমান রহমান বলেন, শীঘ্রই খেলাপী আইন ও কোম্পানি আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা হবে। এছাড়া গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ সম্পন্ন করা গেলে প্রতিযোগী দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের সক্ষমতা আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের বৈদেশিক বিনিয়োগের গতিপ্রবাহে কোভিড-১৯ এর প্রভাব : সমস্যা ও উত্তরণ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। এছাড়া ওয়েবিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগদান করেন বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ইতো নায়োকি। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী বিনিয়োগ ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, কর-জিডিপি’র আনুপাতিক হার এ অঞ্চলের দেশের মধ্যে সর্বনি¤œ বাংলাদেশে। হ্রাসকৃত করের হার বিনিয়োগকারীদের নতুন বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান করদাতাদের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে নতুন করদাতা খোঁজার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর কাঠামাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সালমান রহমান বলেন, সরকার নীতি সংস্কারের ওপর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নীতি সংস্কারের এ উদ্যোগ দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। উপদেষ্টা বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে ইতোমধ্যে বিনিয়োগ আকর্ষণে সংস্কারের মানসিকতা-প্রয়োজনীয়তা সকলের মাঝে চলে এসেছে। এজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে হবে, কারণ তাদের মাধ্যমেই নীতিগুলোর বস্তবায়ন হয়ে থাকে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী বছরের মধ্যে বৈশি^ক ব্যবসা পরিচালনার সূচকে বাংলাদেশ দুই অঙ্কে (ডবল ডিজিট) উন্নীত হবে। তিনি বলেন, শীঘ্রই খেলাপী আইন ও কোম্পানি আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা হবে। কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাত বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ সম্পন্ন করা গেলে প্রতিযোগী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়বে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, এসইজেড অঞ্চলে খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতে বিনিয়োগ করলে উদ্যোক্তারা ২০ শতাংশ ক্যাশ ইনিশিয়েটিভ পাবে। তিনি জানান, মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি কমে ১০ শতাংশের নিচে আনা হবে। তিনি বেজা, বিডা এবং হাইটেক পার্ক প্রভৃতি কর্তৃপক্ষের আরও ক্ষমতায়নের আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি নীতিমালার সংস্কার এবং বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো একান্ত আবশ্যক বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বেজা বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত কম মূল্যে জমি প্রদান করছে, যা ভিয়েতনামের তুলনায় অনেক কম। বাণিজ্য সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য নতুন নতুন বন্দর স্থাপন এবং বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ইতো নায়োকি বলেন, জাপানী বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী এবং ২০১৯ সালে এশিয়াতে জাপানী বিনিয়োগ ছিল ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশে ০.০৯ শতাংশ জাপানীজ বিনিয়োগ এসেছে। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর ভিত্তিক অর্থনীতি এবং এশিয়া অঞ্চলে আঞ্চলিক যোগাযোগ স্থাপনে জাপানের পক্ষ হতে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে ট্যাক্সেশন, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ রিফর্ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ব্যবসা পরিচালনায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেই, ভবিষ্যতে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও আরও বেশি হারে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা সম্ভব। বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশন জোঅ্যান ওয়াগনার বলেন, বাংলাদেশের গ্যাস, বিদ্যুত ও জ¦ালানি খাতে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ রয়েছে এবং কোভিড-১৯ এর কারণে ডিজিটাল অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, বায়ো-টেকনোলজি প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে কাজ করতে পারে। তিনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি, পর্যটন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ওষুধ, ভেহিকেল এ্যাসেমব্লিং এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রভৃতি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাত। এছাড়া তিনি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন। জোঅ্যান ওয়াগনার বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী উদ্যোক্তাদের তৈরিতে কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ওপর জোরারোপ করেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ রয়েছে, বিশেষ করে জ¦ালানি, গ্যাস খাতে। তথ্য-প্রযুক্তির বড় বড় মার্কিন কোম্পানিতে বাংলাদেশীরা কাজ করছে, যা এদেশের মানুষের দক্ষতাকেই প্রমাণ করে। এদেশের বিনিয়োগ অত্যন্ত আকর্ষণীয়, কৃষি খাতে বিনিয়োগ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, সয়াবিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানি ১১৫ শতাংশ বেড়েছে। এরমধ্যে ৭টি সেক্টর সম্ভাবনাময়। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে । এজন্য ব্যবসা পরিচালনার সূচকে উন্নয়ন করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র একযোগে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বিশ^বাসীর নিকট তুলে ধরতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের আরও বেশি হারে সম্পৃক্ত করার ওপর জোরারোপ করেন। জেট্রো’র বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি ইউজি এন্ডো বলেন, বর্তমানে ৩১০টি জাপানী কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে, যা গত ১০ বছরে চারগুণ বেড়েছে। তিনি বলেন, কোভিডের কারণে চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে সারা পৃথিবীতে ৩৩ শতাংশ জাপানীতে বিনিয়োগ কমেছে। বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশকে করনীতিমালার সংস্কার ও আধুনিকায়ন, নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজীকরণসহ সার্বিকভাবে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ উন্নয়নে আরও বেশি গুরুত্বারোপের আহ্বান জানান। তিনি মনে করেন, দেশের বাণিজ্য পরিবেশের উন্নয়ন হলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় হ্রাস পাবে। মোটারসাইকেল উৎপাদন বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় খাত বলে উল্লেখ করে তিনি জানান, বাংলাদেশ বর্তমানে প্রতিবছর ৫ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদন করছে এবং আশা প্রকাশ করেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ ১০ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদন করতে সক্ষম। তবে মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের ৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যদিও আমরা সে লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। তিনি জানান, গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম খাতে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে, যেখানে মার্কিন বিনিয়োগের পরিমাণ ৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট ২০২০-এর তথ্য মতে, কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২০ সালে বৈশি^ক বিনিয়োগ ৪০ শতাংশ কমে, ১.৫৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়াতে পারে, যার ফলে আমাদের মতো উন্নয়নীল দেশে কোভিড পরবর্তী বৈদেশিক বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যেতে পারে। এজন্য সময়োপযোগী সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও সংস্কার, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের আরও শক্তিশালীকরণের ওপর জোর দিতে হবে বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। তিনি বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন, সরকারী-বেসরকারী যোগাযোগ বাড়ানো, স্থানান্তরিত বিনিয়োগ আকর্ষণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং বাজার সম্প্রসারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মত প্রকাশ করেন। পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে নতুন পণ্য উৎপাদন, উদ্ভাবন, অবকাঠামো, বাজার ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্রত্যাশিত বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে কমপ্লায়েন্স, দক্ষ মানবসম্পদ, পণ্য পরিবহনে সহজতর প্রক্রিয়া, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নীতিমালাসমূহের মধ্যে সমন্বয় এবং দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যকার সমন্বয় বাড়ানো প্রভৃতি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মনে করেন। স্যামসং-ফেয়ার ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য দ্রুততম সময়ে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স সুবিধা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরী। এজন্য বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন, স্থানীয় উদ্যোক্তাদের আত্মবিশ^াস ফিরিয়ে আনা, দীর্ঘমেয়াদী নীতি-সহায়তা প্রদান, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রভৃতি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আব্দুল মোনেম লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম মহিউদ্দিন মোনেম বলেন, আমাদের দেশে ভূমি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতা অত্যন্ত প্রকট এবং এ সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। এজন্য বিডা, বেজার এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার সমন্বয় আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি। অ্যামচেম-এর সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পক্ষ হতে হয়রানি মুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া কাস্টমস আইন ও খেলাপী আইনের যুগোপযোগী করতে হবে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে স্বাস্থ্য, ওষুধ, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও তিনি বন্দরসমূহের অটোমেশন ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন একান্ত আবশ্যক বলে মত প্রকাশ করেন। বিল্ড-এর চেয়ারম্যান আবুল কাসেম খান বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী বাংলাদেশকে স্বাস্থ্য খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি চীনের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্ক ও কোটা মুক্ত সুবিধা প্রবেশাধিকারের বিষয়টি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে দ্রুততম সময়ে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন ও তার বাস্তাবায়ন খুবই জরুরী।
×