ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারের প্রণোদনায় আবাদ বেড়েছে ॥ কৃষিমন্ত্রী

আউশে সোনালি বিপ্লব

প্রকাশিত: ২২:৪১, ২৩ আগস্ট ২০২০

আউশে সোনালি বিপ্লব

ওয়াজেদ হীরা ॥ করোনা পরবর্তী খাদ্য নিরাপত্তার অংশ হিসেবে আউশ-আমন উৎপাদনে জোর দিয়েছিল সরকার। রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আবাদ হয়েছিল আউশ ধান। আমনের ফলন উঠতে দেরি হলেও স্বল্প সময়ের ফসল আউশ ধান উঠতে শুরু করেছে। ফলনও ভাল হয়েছে এ বছর। বোরোর পরে স্বল্প সময়ের ফসল আউশ ধানের ভাল ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক। আর তাই কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি উপেক্ষা করেও সোনার ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত চাষী। আগামী আরও ২০ দিন থাকবে এই আউশ ঘরে তোলার ব্যস্ততা। সরকারের নানা প্রণোদনায় আউশের আবাদ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। ইতোমধ্যে অনেকস্থানে আউশ ধান কাটা শুরু হয়েছে, কোথাও শুরু হবে। উৎপাদিত ফসল যুক্ত হবে খাদ্যভা-ারে। এবার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশে খাদ্য নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা নেয় সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় বোরো ধান ঘরে ওঠার পরই আউশ-আমনে জোর দেয়। যেহেতু আউশ স্বল্প সময়ের ফসল তাই এর জমির লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। উৎপাদন বাড়াতে নানা পদক্ষেপও নেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। সেই সঙ্গে বোরো ধানের ভাল দাম পাওয়াতে কৃষকেরও আগ্রহ বেড়ে যায়। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষককে নানা পরামর্শ দেন। বোরো ফসল ওঠার পর পরই আউশ রোপণ শুরু করে কৃষকরা। খনার বচনে আছে ‘আউশ ধানের চাষ, লাগে তিন মাস’ অর্থাৎ আউশ ধান চাষে তিন মাস লাগে। আর বোরো ধানের মতো বেশি সেচেরও দরকার হয় না। সেই আউশ ধান এখন ঘরে তোলার পালা। আউশ ধান রোপণের সময়ও বৈরী পরিস্থিতি ছিল। ঘূর্ণিঝড় আমফান হানা দেয়। এতে নদ-নদীর পানি বেড়ে অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার ফসল ঘরে ওঠানোর সময় বৈরী আবহাওয়া। প্রতিদিনই হচ্ছে বৃষ্টি। ইতোমধ্যেই বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে অনেক স্থানেই ধান কাটা শুরু হয়েছে। কমবেশি সব স্থানে আউশ হলেও সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আউশ ধান উৎপন্ন হয় যশোর ও রংপুর জেলায়। এছাড়া পটুয়াখালি জেলায়ও অনেক আউশ আবাদ হয়। এদিকে, কৃষকরা জানিয়েছেন, দেশে আউশ ধান আবাদে উৎপাদন খরচ কম। পানি সেচ দেয়ার দরকার হয় না। সেই সঙ্গে কীটনাশক ও স্যার প্রয়োগ করতে হয় সীমিত। এছাড়া এবার বোরো ধানের ভাল দাম পেয়ে আউশ ধান উৎপাদনের উৎসাহ-উদ্দীপনা আরও বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যেই যারা আউশ ধান কেটে ঘরে উঠিয়েছেন তাদের কেউ কেউ বলেছেন বাম্পার ফলনের কথা। এছাড়া জমিতে ধান দেখেই কৃষকরা বলে দিচ্ছেন ফলন বেশ ভাল হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এর আগে জনকণ্ঠকে বলেছেন, কৃষকরা বোরো ধানে ভাল দাম পাওয়ায় আউশ-আমনেও আগ্রহ বেড়েছে। কৃষকের আগ্রহ আর সরকারের নানা সহযোগিতা তো আছেই। এবার আমরা আউশে ৬ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছি। ভালমানের বীজ দিচ্ছি, সার দিচ্ছি আবার আমনের বীজের দাম কমিয়েছি দশ টাকা। আউশ আবাদের শুরুতে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জনকণ্ঠকে বলেন, এবার আউশের আবাদ খুবই চমৎকার। সরকার কৃষকদের নানা সুবিধা দিচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ধারণা করছে, করোনা পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশে খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছেন। যাতে আমাদের দেশে এই খাদ্যের অভাবটা না আসে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইং থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১১ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হলেও ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৩ লাখ ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে। ফলে প্রায় দুই লাখ হেক্টর জমি বেড়েছে এবার। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮শ’ মেট্রিক টন। গত অর্থবছরের চেয়ে এবার আউশ উৎপাদন কয়েক লাখ টন বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। সম্প্রতি কয়েক দফার বন্যা কিছুটা ক্ষতিও করেছে আউশ উৎপাদনে। সম্প্রতি বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কৃষিমন্ত্রী জানান, তিন দফা বন্যায় ক্ষতি হওয়া ফসলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩২ হাজার ২১৩ হেক্টর জমির আউশ ধান, ৭০ হাজার ৮২০ হেক্টর জমির আমন ধান এবং ৭ হাজার ৯১৮ হেক্টর জমির আমন বীজতলা। টাকার হিসাবে ৩৩৪ কোটি টাকার আউশ ধান ক্ষতি হয়েছে। ময়মনসিংহের কৃষক রমিজ মিয়া বলেন, বোরো ভাল দাম পেয়ে এ বছর কিছু জমিতে আউশ লাগিয়েছিলাম। ফলনও বেশ ভাল হয়েছে। প্রতিবেশী আব্দুল ওয়াহাব বলেন, জমিতে ধান দেখে বোঝা যাচ্ছে ভাল ফলন হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে ফসল ওঠাব, বলেন তিনি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যানুসারে, রংপুর অঞ্চলে বিগত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে। ভূগর্ভের পানির অপচয় রোধ করে বৃষ্টির পানিকে কাজে লাগিয়ে আউশ আবাদকে জনপ্রিয়করণের জন্য বর্তমান সরকারের নানান পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে আউশ আবাদ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আউশ কর্তনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ॥ শনিবার ঢাকা থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে মেহেরপুর জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে দর উপজেলার কালাচাঁদপুর গ্রামে আউশ ধান কর্তন উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। কৃষিমন্ত্রী বলেন, আউশ আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষককে বীজ, সার, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। সারের দাম কমানো হয়েছে। অন্যদিকে, কৃষি বিজ্ঞানীরা অনেক উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে, যা চাষের ফলে গড় ফলনও বেড়েছে। আজকের ক্রপ কাটিংয়ে দেখা যাচ্ছে, প্রতিবিঘা জমিতে এখন ১৮-১৯ মণ ধান হচ্ছে যেটি অত্যন্ত গর্বের ও অহঙ্কারের। অথচ, এক সময় আউশ উৎপাদন সবচেয়ে কম হত। বিঘাতে ২/৩ মণের মতো। ফলে, এবছর অনেক উৎসাহ ও আগ্রহ নিয়ে কৃষক আউশ চাষ করেছেন। সারা দেশে আউশের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান। সভায় সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ আবদুল মুঈদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোঃ শাহজাহান কবীর, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্যের বাজারজাতে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। ইউরোপ-আমেরিকায় শাকসবজির অনেক দাম। এদেশের কৃষিপণ্যকে ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত দেশের বাজারে রফতানি করতে পারলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। সেজন্য, পূর্বাচলে একটি এ্যাগ্রো প্রসেসিং সেন্টার করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যাতে আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী এদেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানি করা যায়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, মেহেরপুর কৃষিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ অঞ্চল। দেশের কৃষিতে ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের ব্যাপক অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। তাই এ অঞ্চলের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে দেশের কৃষি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী এ সময় এ অঞ্চলের বিভিন্ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে কৃষিকে আরও এগিয়ে নিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান বলেন, নতুন জাতের প্রসার ও জনপ্রিয়করণে এ ধরনের ফসল কর্তন উৎসব খুবই প্রয়োজন। বর্তমানে ব্রি ধান-৪৮ আউশের একটি ভাল জাত, তবে এর চেয়েও ভাল জাত বা মেগাভ্যারাইটি ব্রি ধান-৮৩ নিয়ে আসা হচ্ছে। এছাড়া, কৃষকের কাছে নতুন জাতের চাষাবাদ জনপ্রিয় করতে জেলা-উপজেলার ফান্ডের মাধ্যমে কিছু বীজ ক্রয় করা ও সংরক্ষণ করা গেলে সহজেই জাতগুলো জনপ্রিয় হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিইঞ্চি জমিতে ফসল ফলাতে জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া, জেলায় কৃষির সব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেয়া হবে। জানা গেছে, মেহেরপুর জেলায়ও ক্রমাগত আউশ ধানের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১০ বছরে আউশ আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ। ২০১০-১১ সালে আউশ আবাদ হয়েছিল ১০ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে, চলতি বছরে আবাদ হয়েছে ২০ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে। ফলন ভাল হওয়ায় এ বছরের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৭০ হাজার ৮২২ মেট্রিক টন অর্জিত হবে বলে আশা করছে মেহেরপুর কৃষি বিভাগ। মেহেরপুরে এ বছর আউশের, মাসকলাই ও পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ৮ হাজার ৫৫০ কৃষকের মাঝে ৩৮ লাখ টাকার প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, সেচের পানির কম ব্যবহারের ফলে উৎপাদন খরচ কম হওয়া এবং কৃষি বিভাগের নিরলস উৎসাহ-সহযোগিতার ফলে কৃষক আউশ আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেহেরপুরে আমনে এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ২৫ হাজার ৮০০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৮৭ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমনে উচ্চফলনশীল হাইব্রিড জাতের ধান চাষ ও লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম চলছে। এছাড়া, বাজারদর ভাল হওয়ায় মেহেরপুর জেলায় ক্রমাগত ভুট্টা চাষ বাড়ছে। এদিকে, কয়েকদিন ধরেই বগুড়ায় কাটা হচ্ছে আগাম আউশ ধান। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা এবার আউশের ভাল ফলনের আশা করছেন। উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের সাতচুয়া গ্রামের কৃষক রেজাউন নবী ৪০ শতক জমিতে আগাম আউশ ধান রোপণ করেন। তিনি মাঠ থেকে কেটে নিয়ে ঘরে তুলছেন। আলমগীর বলেন, আমি বছরের সব সময় ফসল উৎপাদনের জন্য কাজ করি। কোন সময় জমি ফাঁকা রাখি না। আগাম আউশ ধান (ব্রি ধান-৬৫) মোট এক শ’ দিনের মাথায় হয়। ফলন ভাল হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলার সাতটি উপজেলায় মাঠে মাঠে পাকা আউশ ধানে সোনালি বিপ্লব। এ বছর জেলায় আউশের ফলনে লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন মৌলভীবাজার জেলা কৃষি বিভাগ। শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামের কৃষক সবিনয় পাল বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। যার ফলে এবার ফলন ভাল হয়েছে। কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, চলতি বছর মৌলভীবাজার জেলাতে আউশের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৬ হাজার ৭ শ’ ৯৮ হেক্টর, ফসলের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১লাখ ৪৫হাজার ৮শ’ ৬০ মেট্রিকটন, কিন্তু এবার চাষ হয়েছে ৫৬হাজার ৮শ’ ৯২ হেক্টর। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলাতে এ পর্যন্ত ২৫% আউশ ধান কাটা হয়েছে। এর আগে কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, আউশে কৃষকের খরচ নেই বললেই চলে। রোপণের পর নিরানি দিতে পারলে খুবই ভাল হয় আর অল্প দিনেই এই ফসল ঘরে ওঠে। সচিব বলেন, অল্পদিনেই একটি ভাল ফসল ঘরে আনা সম্ভব। ফলন কম, পোষায় না কৃষকের এমন মন্তব্য ছিলÑ তবে আউশের একটি ভাল জাত এসেছে। কৃষকেরও আগ্রহ বাড়ছে। এবার রেকর্ড পরিমাণ আউশ আবাদ হয়েছে। কোন কোন এলাকায় আউশ ঘরে ওঠার পর আমন না লাগিয়ে সরাসরি রবিশস্যে চলে যায় বলেও জানান সচিব। সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে আমরা কাজ করছি। সারা পৃথিবীতে যে খাদ্য সঙ্কট দেখা দেয়ার কথা বলা হচ্ছে আমরা সেটিকে বিবেচনায় রেখেই কাজ করছি। কম জমিতে অধিক ফসল ও ফলন পেতে সরকার কাজ করছে আর কৃষক তার সুফল পাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আউশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সেটিই জানান দেয়।
×