ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মির্জাপুরে বংশাই সড়কে দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে না

প্রকাশিত: ২১:২১, ২৩ আগস্ট ২০২০

মির্জাপুরে বংশাই সড়কে দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে না

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ২২ আগস্ট ॥ মির্জাপুর পৌরসভার জনগুরুত্বপূর্ণ বংশাই রোডের একশ’ মিটার রাস্তায় জলাবদ্ধতায় মানুষের দুর্ভোগ এখন চরম পর্যায়ে উঠেছে। কাদা ও হাঁটু পানি ভেঙ্গে প্রতিদিন শত শত পথচারীর চলাচল করতে হচ্ছে সড়কটি দিয়ে। পৌর সদরসহ উপজেলার উত্তরাঞ্চলের ২০ গ্রামের মানুষ বছরজুড়ে দুর্ভোগ পোহালেও রাস্তাটি স্থায়ীভাবে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। এদিকে দুর্ভোগ লাঘব করতে মেশিন লাগিয়ে ওই রোডের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা চাঁদা তুলে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। জানা গেছে, উপজেলা সদরের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে বংশাই সড়ক একটি। এই সড়ক দিয়ে সদরসহ উপজেলার উত্তরাঞ্চলের তরফপুর, লতিফপুর, বাঁশতৈল এবং ফতেপুর ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০ গ্রামের লোক প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী বাসাইল উপজেলার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও সহজ মাধ্যম এই সড়কটি। একশ’ মিটার এই সড়কের ২০ মিটার সড়ক বিভাগের এবং বাকি ৮০ মিটার সড়ক মির্জাপুর পৌরসভার। ২০১৬ সালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় খোঁড়াখুঁড়ি ও মাটি ভরাটের কাজ। প্রতিদিন মাটিভর্তি ড্রাম ট্রাক এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করায় দেবে গিয়ে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে সড়কের উভয় পাশে জমির মালিকেরা মাটি ফেলে পুকুর ও নিচু জায়গা ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন। এতে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার ওপর হাঁটু পানি জমে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। বর্ষায় এ দুর্ভোগ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। কাদা ও পানিতে নিমজ্জিত খানাখন্দক সড়কটিতে চলাচলকারী যানবাহন দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত আহত হচ্ছেন যাত্রীরা। এ বছর বর্ষার আগে মির্জাপুরের এমপি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ একাব্বর হোসেনের প্রচেষ্টায় সড়কটি সাময়িকভাবে সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু পানি নিষ্কাশনের কোন পথ না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে সড়কটিতে আবার সেই আগের মতো দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া সড়কটি দিয়ে অনবরত মাটিভর্তি ট্রাক চলাচল করায় এখন একেবারেই বেহালদশা। শনিবার দুপুরে বংশাই সড়কে গিয়ে দেখা গেছে কাদা ও হাঁটু পানিতে নিমজ্জিত সড়কটিতে সাধারণ পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে রিক্সা ও হেঁটে যাতায়াত করছেন। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা চাঁদা তুলে মেশিন লাগিয়ে পানি সেচ দেয়ার চেষ্টা করছেন। বংশাই সড়ক এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ইমান আলী অভিযোগ করে বলেন, বংশাই সড়কটি পৌরসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে সড়কটি নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে না। ওই সড়কের অয়েল মিলের মালিক মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, ড্রেনসহ সড়কটি নির্মাণ না করলে বছরজুড়েই আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
×