ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিষিদ্ধ পণ্য আমদানিকারকের ব্যাংক হিসাব জব্দ

প্রকাশিত: ২১:১৫, ২৩ আগস্ট ২০২০

নিষিদ্ধ পণ্য আমদানিকারকের ব্যাংক হিসাব জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভ্যাট গোয়েন্দা মংলা বন্দরে নিষিদ্ধ ৪ কন্টেনার পণ্য আমদানিকারকের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট ও বিন ফ্রিজ করেছে। মংলা বন্দরে আটক ৪ কন্টেনার নিষিদ্ধ পোস্তদানার আমদানিকারক আয়েশা ট্রেডার্স ও তাজ ট্রেডার্সের অতীতে টেনিস বল ও পার্টি স্প্রে ঘোষণায় ১৫টি চালান খালাসের ব্যাপক জালিয়াতির তথ্য উদঘাটন করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর। এসব ছাড়কৃত চালানে প্রকৃত ঘোষণা অনুযায়ী পণ্য ছিল কিনা এবং তারা এসব পণ্যে স্থানীয় পর্যায়ে প্রযোজ্য ভ্যাট পরিশোধ করেছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা। ভ্যাট গোয়েন্দার অনুসন্ধানে তাদের মনোনীত পূবালী ব্যাংক, বেগমবাজার শাখা থেকে তলবকৃত কাগজপত্রে ও আমদানি তথ্যে ব্যাপক গরমিল পাওয়া গেছে। ভ্যাট নিবন্ধন অনুসারে তাদের স্থাপনা ঢাকার চকবাজারে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভ্যাট নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্সে তাজ ট্রেডার্স (বিন ০০২১৮৯২৩৩-০২০৬) এর ঠিকানা দেয়া আছে ১০/বি সোয়ারিঘাট, ঢাকা। আর আয়েশা ট্রেডাসের (বিন ০০১৭৩১৮৬৪-০২০৬) ৬/১০-ডি, চম্পাতলী, চকবাজার, ঢাকা। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, প্রতিষ্ঠান দুটো যথাযথভাবে ভ্যাট রিটার্ন দেয়নি। স্থানীয় ভ্যাট অফিসে নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের করদায়িতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এতে ধারণা করা যায়, অতীতে তারা অনুরূপভাবে ঘোষণাবহির্ভূত পণ্য আমদানি করে অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ভ্যাট নিবন্ধন অনুযায়ী ঢাকায় প্রতিষ্ঠান দুটোর অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়ায় এবং আমদানিকৃত পণ্যের যথাযথ ব্যবসায়িক হিসাব না পাওয়ায় ভ্যাট গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে তদন্তের অংশ হিসেবে আজ আমদানিকারকদ্বয়ের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট ও বিন (বিজনেজ আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) ফ্রিজ করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই তারা তাদের এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলতে পারেন। অন্যদিকে তারা আমদানির অপেক্ষমাণ আরও অন্য কোন চালান দ্রুত খালাস করিয়ে নিতে পারেন। বেগমবাজার পূবালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে নোটিস দিয়ে অন্যান্য ব্যাংকে তাদের নাম খোলা সকল এ্যাকাউন্ট অপরিচালনযোগ্য করা হয়। একইসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এ্যাসাইকুডা সফটওয়্যারে তাদের বিন লক করা হয়।
×