অচেনা সুদূর ঠিকানায়।
গাছের কা- চিরে উঁকি দেয় নতুন পাতার কুশি।
নরম নতুন ফুল ফুটেই হাসি খুশী।
পাহাড়ের সরু পথে মায়াসুরে মৃদু ছোটে ঝর্ণার জল।
কলকল টলটল ছলছল।
বন্যেরা বনেই থাকে মধু থাকে চাকে।
এখনও ফসল হয় এখনও ফল পাকে।
এখনও ঝোপে ছোটে প্রজাপতি ফড়িং ছোটে ঘাসে।
এই পৃথিবী এখনও শুধুই সবুজ ভালোবাসে।
শুনেছি
ডলফিন এসেছে বঙ্গোপসাগরে জমছে বালিয়াড়ি।
মানুষবিহীন সৈকত নাকি হাজার ফুলেরবাড়ি।
এখনও নাকি বাতাস আসে। পাখির চলার পথ আকাশে।
শহর গ্রামে বৃষ্টি পড়ে। এ-কূল ভাঙে ও-কূল গড়ে।
এখনও নাকি গভীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে রোদ।
কেবল মানুষই নির্বোধ।
কেবল মানুষই থেমে গেছে। কেবল মানুষই থেমে আছে।
অদ্ভুত এক নতুন ভয়ের কাছে।
পৃথিবীর মাটি জলে বেঁচেও এ মানুষ করেই গেছে ক্ষতি
প্রকৃতি লুট করেছে মানুষ তাই ধাবমান করুণ পরিণতি।
আঘাতের বিক্ষত বুক পেতে সবুজের মনফাটা চিৎকার।
যে মানুষ পৃথিবীর নগর সাজালো সেই করেছে প্রকৃতি বলাৎকার।
তাই পৃথিবী মৃত্যুর ফেরিওয়ালা সেজেছেন তুনভয়ের বেশে
পৃথিবী প্রতিশোধের নেশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘেঁষে।
মানুষ যখন এতই উদাস ভয় করে নামরার।
পৃথিবী তখন পথ নিয়েছে নিজকে শুদ্ধ করার।
এখনও যদি বেহুশ মানুষ ভুল না ভাঙে তার।
প্রকৃতি এসে বুঝে নেবে উত্তরাধিকার।
আসুন না হয় পৃথিবীর দিকে আর একটাবার তাকাই
আমি নয় আমরা হয়ে থাকি
নিজেকে ভেঙে চুরে গড়ে প্রকৃতির বন্ধুু না মেডাকি।
নিঃসঙ্গ বন্দীযাপন শেষে উদার এক ফুলের মতো ফুটি।
প্রকৃতির যোগ্য মানুষ হলে তবে হোক বিদায় নামের ছুটি।