গত কয়েকদিনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে যেন উঠে পড়ে লেগেছে ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১০ সালে দুবাইয়ের একটি হোটেলে এক হামাস নেতাকে হত্যায় ইসরাইলের গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদ দায়ী অভিযোগ ওঠার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। তবে গত সপ্তাহে প্রথমে চুক্তি, এরপর টেলিফোন যোগাযোগ চালু, এবার খোদ মোসাদ প্রধান ইয়োসি কোহেন আমিরাত সফর করে সম্পর্কোন্নয়নের পথে আরও একধাপ এগোলেন। মঙ্গলবার আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম জানিয়েছে, ইসরাইলের মোসাদ প্রধান আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। দুই পক্ষের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক উন্নয়ন ও অভিন্ন স্বার্থে পারস্পরিক মত বিনিময় করেছেন দুই কর্মকর্তা। এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়েও কথা বলেছেন তারা। গত বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরাইলের মধ্যে কথিত ‘ঐতিহাসিক’ এক চুক্তি হয়েছে বলে ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ইসরাইল-আমিরাত উভয়ই। এই চুক্তির মাধ্যমে পশ্চিম তীরের দখলকৃত যেসব এলাকায় সার্বভৌমত্ব প্রয়োগের প্রক্রিয়া চলছিল তা বন্ধ করবে ইসরাইল। তবে ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, চুক্তিতে পশ্চিম তীর দখলের প্রক্রিয়া সাময়িক স্থগিত করতে রাজি হয়েছেন তারা। তবে বিতর্কিত এ পরিকল্পনা স্থায়ীভাবে বাতিল করার কোন কথা হয়নি। এদিকে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত মুসলিমদের পিঠে ছুরি বসিয়েছে বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষ। -এএফপি
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: