ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মিল মালিকরা বলছেন ধানের দাম বেশি থাকায় চালের দাম বাড়ছে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন বাম্পার ফলনের পর দাম বাড়ার কারণ নেই

পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও বাড়ছে চালের দাম

প্রকাশিত: ২২:৪০, ২০ আগস্ট ২০২০

পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও বাড়ছে চালের দাম

তপন বিশ্বাস ॥ পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও চালের দাম বেড়েই চলেছে। চাল আমদানির সরকারী ঘোষণায়ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি চালের মূল্য। সরকারের কঠোর নির্দেশ উপক্ষো করে চাল সংগ্রহ অভিযানে সাড়া দেননি মিল মালিকরা। উপরন্তু বাজারে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এর প্রভাবে পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরু, মাঝারি ও মোটা- সব চালের দাম কেজিতে দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। করোনার মধ্যে এমনিতেই অনেকের আয় কমেছে। এ অবস্থায় চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশি চাপে পড়েছেন দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ। মিল মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে চালের দাম বেড়েছে। তাই খরচ বেশি হওয়ায় সরকারকে চুক্তি অনুযায়ী চাল দেয়া সম্ভব হয়নি। কোন কোন মিল মালিক বলছেন, সরকার ও অনেক বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ত্রাণ হিসেবে চাল বিতরণ করায় বাজারে মোটা চালের সরবরাহ কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে গোটা চালের বাজারে। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিল মালিকদের কারণে চালের দাম বেড়েছে। এখন মিলগুলোতে ধান ও চালের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মৌসুমের সময়ে কম দামে কেনা ধান থেকে তৈরি চাল এখন তারা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। আর এখন ধানের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দিচ্ছেন। এদিকে মিলগুলো চুক্তি অনুযায়ী সরকারকে চাল সরবরাহ না করায় মজুদ বাড়াতে দ্রুত আমদানির পরিকল্পনা করছে সরকার। পাশাপাশি সঙ্কটের এ সময়ে খোলাবাজারে চাল বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে মিল মালিকরা চালের দাম কেজিতে দুই থেকে চার টাকা বাড়িয়েছেন বলে জানান আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। মিরপুর-১ নং বাজারের চাল ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, মিলাররা ধানের দাম বৃদ্ধির কথা বলে চালের দাম বাড়িয়েছেন। তাদের কম দামে কেনা ধানের চাল এখন বাজারে। যদিও বাজারে চালের দাম বৃদ্ধির কারণে এখন ধানের দাম একটু বাড়ছে। ঈদের পর থেকে সরবরাহ সমস্যার কথা বলে মিল মালিকরা এক দফা দাম বাড়ান। কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ী মাইনুদ্দিন মানিক বলেন, মিলগুলোর কারণে চালের দাম বাড়ছে। ধান ও চালের বাজার তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে। বড় অটো রাইস মিলে হাজার হাজার টন ধান কিনে মজুদ রাখতে হয়। মৌসুমের সময় মিলগুলো প্রয়োজন মতো ধান কিনে রেখেছে। দু-চারদিন ধরে ধানের দাম বাড়লে তাতে চালের দাম বাড়ার কথা নয়। বুধবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরায় প্রতি কেজি গুটি বা স্বর্ণা চালের খুচরা মূল্য এখন ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও এই মোটা চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা ছিল। মাঝারি মানের বিআর-২৮ ও পাইজাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা ছিল। আর সরু চাল মিনিকেটের দামও একই হারে বেড়ে এখন ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে মোটা চালের দর গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে ২২ শতাংশ। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে। আর সরকারী হিসাবে মোটা চালের পাইকারি মূল্য ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা। খুচলা মূল্য কেজিপ্রতি ৪২ থেকে ৪৪ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহ না করায় বোরো মৌসুমে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ ধান ও চাল সংগ্রহ হয়েছে। চলতি বছর সরকার সাড়ে ১৯ লাখ টন বোরো ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। ৩৬ টাকা কেজি দরে মিলারদের কাছ থেকে ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল ও ৩৫ টাকা কেজিতে দেড় লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু মিল মালিকরা চুক্তিমূল্যে সরকারকে চাল সরবরাহ না করে গড়িমসি করছেন। তারা সরকারের চাল কেনার দর বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। এ দাবি নাকচ করে প্রয়োজনে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৬ লাখ ৫৯ হাজার ১৮৬ টন ধান ও চাল সংগ্রহ হয়েছে। এর মধ্যে ধানের পরিমাণ মাত্র এক লাখ ৮৩ হাজার ৮৪৩ টন। সিদ্ধ চাল সংগ্রহ হয়েছে চার লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৬ টন। আতপ চাল সংগ্রহের পরিমাণ ৬৪ হাজার ৯২২ টন। গুদামে ধান-চাল না আসায় সরকারের বোরো সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। কারণ আগামী ৩১ আগস্ট সংগ্রহ অভিযান শেষ হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় সাড়ে দশ লাখ টন চাল সরকারী গুদামে মজুদ আছে। পর্যাপ্ত উৎপাদন ও সরবরাহ থাকার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২২ মে চালের শুল্ক দ্বিগুণ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বর্তমানে চাল আমদানিতে মোট ৫৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ এবং অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ইতোমধ্যে বলেছেন, চালের বাজার অস্থিতিশীল করলে শুল্ক কমিয়ে বেসরকারীভাবে আমদানি উন্মুক্ত করা হতে পারে। এখন কেস টু কেস ভিত্তিতে বেসরকারী খাতে চাল আমদানির জন্য অনুমতি দেয়া হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চলতি মাসের মধ্যে কোন কোন দেশ থেকে কী পরিমাণ চাল আমদানি করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এখন সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে। মিল ও বাজার পর্যায়ে পর্যাপ্ত চাল মজুদ আছে। আমন ওঠা পর্যন্ত চালের ঘাটতি হবে না। তবে আমনের আবাদে ক্ষতি হলে বাজারে চাল সরবরাহ ঠিক রাখতে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হবে। এখন চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে মনিটরিং জোরদার করা হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সোমবার বৈঠক হয়েছে। তিনি বলেন, মিলগুলো চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করেনি। তাদের এ মাসের মধ্যে চাল দিতে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ জন্য তারা বাজার থেকে কেনা বাড়ানোয় ধানের দাম বাড়তে পারে। তবে চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। খাদ্য অধিদফতরের এক পরিচালক বলেন, করোনা দুর্যোগের এ সময়ে চালের দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়ানো উচিত নয়। মিলগুলো পর্যাপ্ত মজুদ আছে এমন বলে আমদানি না করার দাবি জানালেও সরকারকে চুক্তি অনুযায়ী চাল দিতে চাইছে না। যেসব মিল চাল দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, চাল সংগ্রহ পর্যাপ্ত না হওয়ায় সরকারী মজুদ বাড়াতে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া আছে। এ বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে। বেসরকারীভাবে আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশের সব মোকামে চালের দাম উর্ধমুখী। একসঙ্গে সব মিল একই হারে দাম বাড়িয়েছে। অন্যতম বৃহৎ চালের মোকাম কৃষ্টিয়ার খাজানগরে মিল গেটেই কেজিপ্রতি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়, যা ঈদের আগে ছিল ৩৮ থেকে ৩৯ টাকা। আর মিনিকেট (সরু), আঠাশ, পাইজাম, কাজললতা ও বাসমতি চালের দামও বেড়েছে। কুষ্টিয়ার দাদা রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী ও জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রধান বলেন, মণপ্রতি ধানের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এ কারণে মিল মালিকরাও দাম বাড়িয়েছেন। তবে চাল আমদানির খবরে সবাই শঙ্কিত। এতে কেনাবেচা কমেছে। মিলে প্রতিদিন চাল মজুদ হচ্ছে। লিয়াকত রাইস মিলের মালিক হাজি লিয়াকত হোসেন বলেন, ধান ও চালের সঙ্কট নেই। নতুন ধান উঠলে সে ক্ষেত্রে বাজার স্বাভাবিক হতে পারে। কুষ্টিয়ার আইলচারা ধানের হাটে গত সপ্তাহের তুলনায় ধানের দাম মণে আরও মান ভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। শুকনো ধান গড়ে এক হাজার থেকে এক হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষক আলম মালিথা ও হাসিবুর রহমান জানান, কৃষকদের ঘরে এ মুহূর্তে তেমন ধান নেই। বড় মহাজনদের ঘরে এখনও কিছু ধান আছে। তারা ভাল দাম পাচ্ছেন। ময়মনসিংহ থেকে স্টাফ রিপোর্টার বাবুল হোসেন জানান, পর্যাপ্ত সরবরাহ ও মজুদ থাকায় ঈদের পর থেকে চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে ময়মনসিংহে। বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ জাতের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকায়। আর নাজির ও কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি মানভেদে ৪৩ থেকে ৫৬ টাকায়। চাহিদা কম থাকায় প্রতিযোগিতার বাজারে আড়ত ও খুচরা পর্যায়ে অনেকে কেজি প্রতি ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা কমেও বিক্রি করছেন এই চাল। নতুন করে বন্যায় ক্ষতি না হলে আপাতত চালের বাজার বাড়ার কোন শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ চাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিধুভূষণ। তবে বাজারে নেই মোটা চাল। চাহিদা না থাকায় হঠাৎ করেই উধাও মোটা জাতের চাল। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মিলাররা সরকারী গুদামে মোটা চাল সরবরাহ দেয়ার কারণে বাজারে কোথাও মিলছে না এই চাল। রংপুর থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা, আব্দুর রউফ সরকার জানান, ঈদ-উল-আজহার আগে থেকে গত সোমবার পর্যন্ত রংপুর অঞ্চলে ধান-চালের দাম বাড়লেও বুধবার থেকে কমতে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহে চালের প্রকারভেদে প্রতি কেজি চালের মূল্য কমেছে ১ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত। ধানের দামও কমেছে মণপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। রংপুরের সিটি বাজার এবং মাহিগঞ্জের বিভিন্ন চালের আড়ত ঘুরে জানা যায়, মিনিকেট চাল পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৬.৪০ টাকা দরে। গত মঙ্গলবারও এ চাল বিক্রি হয়েছে ৪৭.৫০ টাকা দরে। একই ভাবে বিআর-২৮, বিআর-২৯, বাসমতি, নাজিরশাইল, কাটরি ভোগ, শম্পা কটারিসহ সকল চালের দর কেজিতে ১ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে। খাদ্য অধিদফতর রংপুরের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সালাম জানান, চাহিদার তুলনায় সরকারী খাদ্য গুদামে অনেক বেশি ধান, চাল এবং গম মজুদ আছে আছে। কাজেই ধান-চালের কোন সঙ্কট সৃষ্টির সুযোগ নেই। তাই দাম বাড়ারও কোন আশঙ্কা নেই। তিনি বলেন, রংপুর বিভাগের জন্য সরকারী খাদ্য গুদামে ২ লাখ ২০ হাজার টন চাল, ২৪ হাজার ১৩ টন ধান এবং ২১ হাজার ৯শ’ ৫২ টন গম মজুদ আছে। তিনি বলেন, ঈদের আগ পর্যন্ত কৃষক পর্যায়ে অনেকেই ধান চাল মজুদ করেছিলেন বিধায় সাময়িকভাবে দাম বেড়েছিল। এখন বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। দিনাজপুর থেকে সাজেদুর রহমান শিলু জানান, বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলা বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় এবং বাজারে ধানের সঙ্কট থাকায়, দিনাজপুরে চালের দাম বাড়ছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে দিনাজপুরে চাষাবাদ হয় ১ লাখ ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে। ধান উৎপাদন হয়েছে ১২ লাখ টন। চাল উৎপাদন হয়েছে ৮ লাখ টন। দিনাজপুরে প্রকারভেদে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত। একটি সূত্র জানায়, জেলা ১শ’ ৮৯টি অটো চালমিল রয়েছে। এসব মিল মালিক ৫শ’ থেকে ২ হাজার টন ধান মজুদ করে রেখে, ধানের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে রেখেছেন। নওগাঁ থেকে বিশ^জিৎ মনি জানান, বুধবার নওগাঁ খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে সব ধরনের চালের দামই বেড়েছে। জিরা শাইল চাল ৪৫ টাকা কেজি, কাটারি ৪৪ টাকা কেজি, স্বর্ণা-৫, ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, মহাজনদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই দাম কিছুটা বেড়েছে। নওগাঁ সদর উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম রবি জানান, সদর গুদামে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, ৩০ হাজার ৬৬ টন। সিদ্ধ চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ হাজার ৭৯৮ টন এবং আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ১১ টন। এর মধ্যে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ হয়েছে ১ হাজার ৫২ টন, সিদ্ধ চাল সংগ্রহ হয়েছে ১০ হাজার ৫৫০ টন এবং আতপচাল সংগ্রহ হয়েছে ৭৪৫ টন।
×