ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিরাট কোহলির সাফল্যে রাঙানো এক যুগ

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ১৯ আগস্ট ২০২০

বিরাট কোহলির সাফল্যে রাঙানো এক যুগ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০০৭ সালে তরুণ মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত ধরে প্রথম টি২০ বিশ্বকাপেই বাজিমাত করেছিল ভারত। পরের বছর ২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন বিরাট কোহলি। ২০১১ সালে ধোনির নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ পুনরুদ্ধার করে ভারত। এর মধ্যে শেষ দুই দশক শচীন টেন্ডুলকরে বুঁদ হয়েছিল ক্রিকেটপাগল দেশটি। দুই কিংবদন্তি ধোনি-শচীন খেলায় থাকা অবস্থাতেই কোহলি বুঝিয়ে দেন, ব্যাটিংয়ে-নেতৃত্বে তিনিই হতে যাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটে ভবিষ্যতের নিউক্লিয়াস। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এক যুগ পূর্ণ করলেন সুপারস্টার বিরাট। ব্যাটিং জিনিয়াসের যুগপূর্তিতে অভিবাদন জানিয়েছে গ্রেট সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়ান বোর্ড (বিসিসিআই), ‘২০০৮ সালের আজকের দিনে ভারতের জার্সিতে প্রথম খেলতে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি। বাকিটা ইতিহাস।’ ক্যারিয়ারের নানা সময়ের ছবি জড়ো করে টুইট করেছেন কোহলি নিজেও। ভারতীয়দের কাছে শচীন টেন্ডুলকর ক্রিকেটঈশ্বর। তার স্থান সবার ওপরে। সেই শচীনও কোহলিতে মুগ্ধ। দলে থিতু হওয়ার পর ক্রমেই দেখাতে থাকেন চোখ ধাঁধানো নৈপুণ্য। সব সংস্করণেই অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা দেখিয়ে উঠে যান সাফল্যের চূড়ায়। এক যুগের মধ্যেই রীতিমতো কিংবদন্তিদের কাতারে তার পরিসংখ্যান। এই ১২ বছরে কোহলি নিজেকে নিয়ে গেছেন বিশ্বসেরাদের কাতারে। তৈরি করেছেন আলাদা এক উচ্চতা। অধিনায়ক হিসেবেও তার হাত ধরে ভারত পাচ্ছে নিয়মিত সাফল্য। এক যুগে কোহলি খেলেছেন ২৪৮ ওয়ানডে। ৫৯.৩৩ গড়ে তাতে ১১৮৬৭ রান তার। ৫৮ ফিফটির সঙ্গে করে ফেলেছেন ৪৩টি সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে শচীনের সর্বোচ্চ ৪৯ সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড থেকে খুব দূরে নন। সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলির সেঞ্চুরি মোট ৭০টি (টেস্টে ২৭)। এখানে শচীনের ১০০ সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ তার সামনে। তবে ইতোমধ্যে কিছু কিছু জায়গায় শচীনকে টপকে সেরা বনে গেছেন ডানহাতি কোহলি। ওয়ানডেতে ৪৩ সেঞ্চুরির ২৬টিই করেছেন রান তাড়া করতে গিয়ে। যার ২২টিতেই দলকে জিতিয়েছেন। রান তাড়ায় শচীনের সেঞ্চুরি ১৭টি, যার ১৪টিতে তিনি জেতাতে পেরেছিলেন দলকে। ওয়ানডেতে শচীন তার মোট ৪৯ সেঞ্চুরির ৩৩টিতে দলকে জেতাতে পেরেছিলেন। কোহলি ৪৩ সেঞ্চুরির ৩৫টিতেই জিতিয়েছেন। তার ক্রমাগত রান করে যাওয়ার ক্ষুধা আভাস দিচ্ছে এই রেকর্ড ক্যারিয়ার শেষে অবিশ্বাস্য চূড়ায় নিয়ে যাবেন। ২০১১ সালে টেস্ট অভিষেকের পর সাদা পোশাকেও সমান মুন্সিয়ানা তার ব্যাটে। ৮৬ টেস্টে ৫৩.৬২ গড়ে রান ৭২৪০। ২২ ফিফটি ছাপিয়ে আছে ২৭ সেঞ্চুরি। টেস্টে সেট হওয়ার পর বড় রান করতে কতটা পারঙ্গম প্রমাণ তার ৭ ডাবল সেঞ্চুরির পরিসংখ্যান। এই ৭টিই আবার করেছেন অধিনায়ক হিসেবে। অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে এতগুলো ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড নেই আর কারও। ২০১০ সালে টি২০ ক্যারিয়ার শুরু করে ৮২ ম্যাচে করেছেন ২৭৯৪ রান। এখানেও গড় পঞ্চাশের (৫০.৮০) ওপরে। বয়সের বিচারে ক্রমাগত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া কোহলির ক্যারিয়ারে অবশ্য দুটি অপ্রাপ্তি রয়েছে। টি২০তে এখনও সেঞ্চুরির দেখা পাননি। এছাড়া তুমুল জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান ঘরোয়া টি২০ লীগ আইপিএলের শিরোপাটাও ছোঁয়া হয়নি।
×