ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উড়ন্ত বেয়ার্নের সামনে আত্মবিশ্বাসী লিঁও

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ১৯ আগস্ট ২০২০

উড়ন্ত বেয়ার্নের সামনে আত্মবিশ্বাসী লিঁও

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলের সেমিফাইনালে উড়ন্ত বেয়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হচ্ছে আত্মবিশ্বাসী অলিম্পিক লিঁও। পর্তুগালের লিসবনে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায়। সরাসরি সম্প্রচার করবে সনি টেন ২ চ্যানেল। কোয়ার্টার ফাইনালে স্প্যানিশ পরাশক্তি বার্সিলোনাকে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করে সেমিফাইনালে উঠে এসেছে জার্মান জায়ান্ট বেয়ার্ন মিউনিখ। অন্যদিকে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে একই মঞ্চে জায়গা পেয়েছে ফরাসী ক্লাব অলিম্পিক লিঁও। এর আগে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন ও ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর জুভেন্টাসকে হারিয়েছে ফ্রান্সের দ্বিতীয় ধনী ক্লাবটি। যে কারণে সেমির মহারণে আত্মবিশ্বাসী তারাও। সবমিলিয়ে লিসবনে জমজমাট লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে দু’দলের মুখোমুখি লড়াই ও সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স বিবেচনায় আনলে অনেক এগিয়ে থাকছে বেয়ার্ন। সবধরনের প্রতিযোগিতায় এ পর্যন্ত দল দু’টি মুখোমুখি হয়েছে ৮বার। এর মধ্যে বেয়ার্ন জিতেছে ৪টি ম্যাচ। ২টি ম্যাচ জিতেছে লিঁও। বাকি দুই ম্যাচ ড্র হয়। ম্যাচগুলোতে বেয়ার্নের ১১ গোলের বিপরীতে লিঁও করেছে ৯ গোল। এর আগে একবারই লিঁও চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালে উঠেছিল। ২০০৯-১০ আসরে শেষ চার থেকে এই বেয়ার্নের কাছে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল ফরাসী ক্লাবটিকে। এবার তাই প্রতিশোধ নেয়ার মোক্ষম সুযোগ লিঁও’র সামনে। নিজেদের সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে বেয়ার্ন। অন্যদিকে লিঁও’র জয় দু’টিতে ও হার তিন ম্যাচে। ম্যাচটি যেহেতু বড় মঞ্চের তাই বেয়ার্ন হাল্কাভাবে নিচ্ছে না লিঁওকে। দলটির কোচ হ্যান্স ফ্লিক বলেন, এই পর্যায়ে সব দলকেই সমীহ করতে হবে আপনাকে। আমরা বার্সিলোনার বিরুদ্ধে যা করেছি সেটা অনেক বড় অর্জন। কিন্তু এখন সেই ফলাফল মুখ্য নয়। আমাদের ম্যাচটি জিততে হবে নাহলে বিদায় নিতে হবে। যে কারণে অতীত ভুলে এই ম্যাচটি নিয়েই ভাবছি আমরা। ছেলেরা সবাই প্রস্তুত। আশা করছি মাঠের লড়াইয়ে প্রমাণ করেই আমরা ফাইনালে খেলব। অন্যদিকে ফেবারিটের তকমা নিয়ে আসা জুভেন্টাস, ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে আছে লিঁও। দলের জন্য তাই কোন সীমা নির্ধারণ করছেন না দলটির কোচ রুডি গার্সিয়া। সেমিতে ব্য়োর্ন বাধা টপকানোর ব্যাপারেও দারুণ আত্মবিশ্বাসী তিনি। ২০১৯ সালের অক্টোবরে লিঁও’র কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া গার্সিয়া কখনই ক্লাব সমর্থকদের মন জয় করতে পারেননি। গত ২৩ মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন্স লীগের মূলপর্বে খেলা দলটি এবার ফরাসী লীগ ওয়ানে সাতে থেকে মিশন শেষ করেছে। যে কারণে পরের মৌসুমে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসরে জায়গা পেতে এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া আর কোন রাস্তা খোলা নেই ফ্রান্সের দ্বিতীয় ধনী ক্লাবটির। তা নাহলে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলা হবে না লিঁও’র। কাজটা খুব কঠিন সেটা বুঝতে পারছেন লিঁও কোচও। তবে হাল ছেড়ে দিচ্ছেন না। বেয়ার্ন বাধা পেরোতে আত্মবিশ্বাসী তিনি। রুডি গার্সিয়া বলেন, আমরা জানি এরপর কাদের বিরুদ্ধে খেলব। আমরা জুভেন্টাসকে বিদায় করেছি, যারা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ের অন্যতম দাবিদার। বিদায় করেছি ম্যানচেস্টার সিটিকে। তারাও চ্যাম্পিয়ন্স লীগের দাবিদার ছিল। এখন একইভাবে বেয়ার্ন ফেবারিট। তবে আমার খেলোয়াড়রা যা দেখিয়েছে তার ভিত্তিতে যৌক্তিকভাবে আমরা এখন আরেকটি রাউন্ডে যাওয়ার আশা করতে পারি। ছেলেরা মানসিকভাবে প্রস্তুত। আশা করছি ভাল একটা লড়াই হবে।
×