ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় শিশুর মানসিক অবস্থা

প্রকাশিত: ০০:৪৮, ১৮ আগস্ট ২০২০

করোনায় শিশুর মানসিক অবস্থা

সমগ্র বিশ্ব করোনার ভয়াবহতায় ভীত। হঠাৎ করেই থমকে গেছে গতিশীল জীবন। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজ। শিশুদের কলরবে মুখরিত স্কুল প্রাঙ্গণ, খেলার মাঠগুলো আজ নিষ্পাণ। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা রোধে, শিশুদের সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে এ সময় আমাদের কোমলমতি শিশুদের মানসিক বিকাশের দিকে আমাদের বাবা-মায়েদের বিশেষ যত্নবান হতে হবে। সারাদিন ঘরেবন্দী শিশুরা। খুবই সম্ভাবনা মোবাইল গেম, ভিডিও গেম, টেলিভিশনের প্রতি আসক্ত হওয়ার- যা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে চরমভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ব্যস্ততার এ জীবনে প্রকৃতি যেন আমাদের কিছুটা অবসর দিয়েছে। আর এই অবসরটায় আমরা বাবা-মায়েরা আমাদের সন্তানদের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে সুন্দর, স্বাচ্ছন্দ্যময় গুণগত সময় কাটাতে পারি। শিশুদের সঙ্গে মানসম্মত গল্প করা, ঘরের বিভিন্ন কাজে তাদের নিয়োজিত করা, ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া, দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি ধর্মীয় বইসহ বিভিন্ন সময়োপযোগী মানসম্মত গঠনমূলক বই পড়ায় অভ্যস্ত করা, বিকেলে বাসার ছাদে জনসমাগম না থাকলে শিশুদের নিয়ে হাঁটতে যাওয়া, ঘুড়ি ওড়ানো, বাসায় বসে ক্যারাম বা দাবা খেলা-এসবের মাধ্যমে শিশুদের মানসিক বিকাশের পাশাপাশি বাবা-মায়ের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে বন্ধনও দৃঢ় হবে। মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে সুষম খাদ্যাভ্যাসের উপকারিকা ভুলে গেলে চলবে না। এ লক্ষ্যে প্রতিদিনের খাবারে ভাত, ডাল, শাক-সবজি, মাছ অথবা মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে। শিশুদের সুষম খাবারের উপকারিতা বোঝাতে হবে এবং সুষম খাবার গ্রহণে অভ্যস্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান, বেশি রাত না করে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া আর সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করাতে হবে। আসুন প্রকৃতির এই বৈরিতাকে আমরা শিশু বিকাশের মতো গঠনমূলক কাজে কাজে লাগাই। ডাঃ শামীমা শারমীন শোভা শিশু বিশেষজ্ঞ মোবাইল : ০১৬৮২৪১২৯৯৯
×