ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রাগ ওপেনে চ্যাম্পিয়ন সিমোনা হ্যালেপ

প্রকাশিত: ২৩:৫৪, ১৮ আগস্ট ২০২০

প্রাগ ওপেনে চ্যাম্পিয়ন সিমোনা হ্যালেপ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন স্থগিত ছিল সবধরনের টেনিস টুর্নামেন্ট। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে চলতি মাসেই আবারও কোর্টে গড়ায় টেনিস। প্রাগ ওপেন দিয়ে কোর্টে নামেন সিমোনা হ্যালেপ। কোর্টে নেমেই নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরলেন বর্তমান বিশ্ব টেনিস দুই নম্বরে থাকা এই খেলোয়াড়। শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলেই প্রাগ ওপেনের চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে রবিবার সিমোনা হ্যালেপ ৬-২ এবং ৭-৫ সেটে পরাজিত করেন বেলজিয়ামের এলিস মারটেন্সকে। সেইসঙ্গে দুই বছর পর আবারও ক্লে কোর্টের কোন শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন এই রোমানিয়ান তারকা। ডব্লিটিএ ট্যুর পর্যায়ে এটা সিমোনার ২১তম শিরোপা জয়। এই জয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত সিমোনা হ্যালেপ। বিশেষ করে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ নামের ভয়ঙ্কর ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় ঘরবন্দী থাকার পর কোর্টে নেমেই এই শিরোপা জেতাটা তারজন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা। যদিওবা এই আসরে ফেবারিটের তকমাটা তার গায়েই মাখানো ছিল। বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা নারী টেনিস খেলোয়াড় রোমানিয়ান হ্যালেপ দ্বিতীয় সেটে ৬-৫-এ খেলা নিয়ে একেবারে দুমড়ে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষকে। আর তাতেই এ বছরের দ্বিতীয় খেতাব জিতলেন সিমোনা। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে দুবাই চ্যাম্পিয়নশিপের নায়িকাও ছিলেন তিনি। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর কোর্টে ফেরাটা মোটেও সহজ ছিল না সিমোনা হ্যালেপের। এ ব্যাপারে দুটি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘পুনরায় কোর্টে নামাটা সত্যিই খুব কঠিন ব্যাপার ছিল। আর কোর্টে ফিরেই শিরোপা জিতলাম। এটা সত্যিই অন্যরকমের এক আনন্দ। আমি দারুণ খুশি। এলিস মার্টেন্সের বিপক্ষে যেভাবে খাপ খেয়ে খেলেছি তাতেও আমি সন্তুষ্ট।’ উইম্বলডনের আগে পায়ে চোট পেয়েছিলেন হ্যালেপ। এরপর করোনাভাইরাসের জন্য দুবাইতেই আটকে গিয়েছিলেন। সে জন্য প্রায় ৫ মাস বিরতি নিয়েছিলেন খেলা থেকে। বিরতি থেকে ফিরেই চ্যাম্পিয়ন। যেন উৎসবের আমেজটা বহুগুণেই বেড়ে গেল তার। ক্লে কোর্টে এটি অষ্টম খেতাব জয় হ্যালেপের। ২০১৮ সালে ফরাসী ওপেন জয় দিয়ে যার শুরু। এখনও খেলছেন এমন নারী খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্লে কোর্টে এখনও পর্যন্ত সেরেনা উইলিয়ামসের ১৩টি এবং ভেনাসের ৯টি খেতাব রয়েছে। এদিনের ম্যাচের ওপেনিং সেটে ২-০তে লিড পেয়েছিলেন বিশ্বের ২৩তম খেলোয়াড় এলিস মার্টেন্স। তারপর ৬টি গেমেই সরাসরি হার। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে গোটা দুনিয়া স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। টেনিসেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। তবে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পালের্মো লেডি ওপেন টেনিসের মধ্য দিয়ে পাঁচ মাস পর কোর্টে ফিরে টেনিস। কোভিড পরবর্তীতে সেটাই ছিল প্রথম পেশাদার কোন টেনিস টুর্নামেন্ট। ইউরোপের ১৫টি দেশ থেকে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন এই টুর্নামেন্টে। পালের্মো ওপেনে শেষের হাসিটা হাসেন ফ্রান্সের ফিওনা ফেরো। পালের্মো ওপেনে খেলার কথা ছিল বিশ্বের শীর্ষ সারির অনেক তারকা খেলোয়াড়ের। কিন্তু স্বাস্থ্য নিরাপত্তা শঙ্কায় শেষ পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেননি অনেকেই। তাদের মধ্যে সিমোনা হ্যালেপ অন্যতম। শীর্ষ বাছাই সিমোনা হ্যালেপ শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় সেই টুর্নামেন্টের আকর্ষণ অনেকাংশেই কমে যায়। এছাড়া করোনা পজিটিভ হওয়ায় একজন খেলোয়াড়কেও টুর্নামেন্ট থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। যার নাম-পরিচয় অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি। পালের্মোতে না খেললেও প্রাগ ওপেনে ভক্ত-অনুরাগীদের হতাশ করেননি সিমোনা হ্যালেপ। তবে মানতে হয়েছে কড়া নিয়ম। প্রাগে হোটেলের রুমে ১০ দিন একা থাকতে হয়েছে। যা মোটেও সহজ ছিল না। আগামী ৩১ আগস্ট থেকে শুরু হবে ইউএস ওপেন। তবে সেখানে খেলবেন কিনা তা সোমবার পর্যন্ত নিশ্চিত করেননি হ্যালেপ। উইম্বলডনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হ্যালেপ। তবে করেনার কারণে এবার বাতিল করা হয় উইম্বলডন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যা প্রথম ঘটনা।
×