ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অভিসার সিনেমা হলের কাছে অভিযান, বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ১৮ আগস্ট ২০২০

অভিসার সিনেমা হলের কাছে অভিযান, বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর টিকাটুলিতে অভিসার সিনেমা হলের কাছে আবাসিক এলাকায় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য মজুদের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের সহযোগিতায় র‌্যাব-৩ এর একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। সোমবার বিকেলে টিকাটুলি অভিসার সিনেমা হলের পাশের ভবনটিতে শুরু হয় অভিযান। অভিযানে অবৈধভাবে মজুদকৃত বিপুল পরিমাণ ইথানল, আইসোপ্রোপাইল এ্যালকোহল, সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড, হাইড্রোফ্লোরিক এসিড, ফরসিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, ড্রাই মিথাইল সালদো, মিথানল ও টুলুইন জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- মোঃ আব্দুস ছালাম (৬২), নুর হোসেন (৬৫) ও শাহীন (৩২)। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বিসিআইসি ও নারকোটিক্সের কর্মকর্তাদের সামনে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্স ছাড়া অবৈধ কেমিক্যাল, হাইলি এক্সপ্লোসিভ, দাহ্য ও বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিপজ্জনক পদার্থ গুদামজাত করে আসছে। এসব পদার্থ খুবই বিপজ্জনক। যে কোন মুহূর্তে আবাসিক এলাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করতে পারে ওইসব পদার্থ। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী র‌্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, আইসোপ্রোফাইল এ্যালকোহল, ইথানল, সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিডসহ ঝুঁকিপূর্ণ বিস্ফোরণ পণ্য মজুদ করা ছিল। কিন্তু এসব মজুদে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বা লাইসেন্স তাদের নেই। ঝুঁকিপূর্ণ এসব বিস্ফোরণ পণ্য মজুদে যে ধরনের ব্যবস্থা থাকা অত্যাবশ্যক সে ধরনের ব্যবস্থাও দেখা যায়নি। আবাসিক ভবনে এ ধরনের বিস্ফোরক পণ্যের অবৈধ মজুদ থেকে যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। চার-পাঁচটি প্রতিষ্ঠান এ মজুদে জড়িত। উলেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারে আবাসিক ভবনে অবৈধভাবে রাখা কেমিক্যাল বিস্ফোরণে ৭৮ জন নিহত হন। এ ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন কেমিক্যাল গুদাম সরাতে অভিযান চালায় বিভিন্ন সংস্থা।
×