ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চন্দনাইশে প্রবাসীসহ দুই ভাইকে তুলে নিয়ে হত্যা করে ওসি প্রদীপ

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ১৮ আগস্ট ২০২০

চন্দনাইশে প্রবাসীসহ দুই ভাইকে তুলে নিয়ে হত্যা করে ওসি প্রদীপ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চন্দনাইশ উপজেলার এক প্রবাসীসহ দুই সহোদরকে তুলে নিয়ে কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপের নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চন্দনাইশ থানার ওসিসহ কতিপয় পুলিশের যোগসাজশে উক্ত দুই ভাইকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয় বলে তদন্তের অভিযোগ। গত ১৬ জুলাই টেকনাফ থানা এলাকায় ইয়াবাকারবারি হিসেবে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত এই দুই ভাই ছিলেন বাহারাইন প্রবাসী। নিহতরা হলেন আজাদ ও ফারুক। নিহতদের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, করোনাকালীন সময়ে ছোট ভাই আজাদ বাহারাইন থেকে দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার ২ মাস ১৪ দিনের মাথায় এক নিকটজনের ফোন পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আজাদ আর ঘরে ফেরেননি। টানা দুদিনেও আজাদের কোন খোঁজ না পেয়ে চন্দনাইশ থানায় স্বজনদের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। আজাদ নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর ১৫ জুলাই চন্দনাইশের বিজিসি ট্রাস্ট মেডিক্যাল কলেজের সামনে একটি বাসা ভাড়ায় অভিযান চালিয়ে ফারুককে তুলে নিয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে চন্দনাইশ থানা পুলিশকে স্বজনরা জানায়। চন্দনাইশ পুলিশ নিশ্চিত করেন ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর আজাদের মায়ের মোবাইল টেলিফোনে ফোন আসে এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির। ফোনে বলা হয়, ফারুক ও আজাদকে জীবিত পেতে চাইলে ৮ লাখ টাকা দিতে হবে। না হয় পরদিন সকালে তাদের লাশ মিলবে। এরপর টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। আজাদ ও ফারুকের আত্মীয়স্বজন বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা করে রাত কাটিয়ে দেয়। কিন্তু পরদিন সকালে ঠিকই জানতে পারেন আজাদ ও ফারুক টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এই সময় টেকনাফ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, চট্টগ্রামে চন্দনাইশ এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করতে এসে কক্সবাজারে টেকনাফ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আজাদ ও ফারুক নামে দুই ভাই নিহত হয়েছে। ঘটনার পর ফারুকের পরিবার ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় থাকার কারণে এ বিষয়ে কারও সঙ্গে কোন আলাপ করতে যেমন পারেননি, তেমনই কোন মামলাও করতে পারেননি। পরিবারের সদস্যরা এ ব্যাপারে মুখ খুললেও এখনও কোন মামলা করেননি।
×