ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বে ফের একদিনে সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণ

প্রকাশিত: ২৩:০১, ১৮ আগস্ট ২০২০

বিশ্বে ফের একদিনে সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ একদিনে সারাবিশ্বে করোনায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ৭৩ হাজার ছাড়িয়েছে। ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়াল। আর ইতালিতে রাতের বেলা মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের মতে, সোমবার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ১৯ লাখ ২৫ হাজার ৭২০ জন। মারা গেছেন সাত লাখ ৭৪ হাজার ৯৫৬ জন। সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ২৪৭ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৬৫ লাখ দুই হাজার ৮২০ জন। যাদের মধ্যে ৬৪ হাজার ২৬২ জন। খবর এএফপি, বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, রয়টার্স, এনডিটিভি ও ওয়ার্ল্ডোমিটার ডট ইনফোর। মহামারী করোনার উর্ধমুখী সংক্রমণ চলছেই। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক অঙ্গ সংগঠন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে দুই লাখ ৯৪ হাজার ২৩৭ জন। প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এ যাবতকালে যা একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। একদিনে মারা গেছেন চার হাজার ৫৩১ জন। বিশ্বে করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ দশে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে যথাক্রমে ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পেরু, মেক্সিকো, কলম্বিয়া, চিলি ও স্পেন। ব্রাজিলে এ পর্যন্ত শনাক্ত করোনা রোগী ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ১৯৭, ভারতে ২৬ লাখ ৫১ হাজার ২৯০, রাশিয়ায় ৯ লাখ ২৭ হাজার ৭৪৫ ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩৪৫ জন মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু এক লাখ ৭৩ হাজার ॥ বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারীতে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ৭৩ হাজার ১৩৯ জন। আক্রান্ত হয়েছে ৫৫ হাজার ৬৭ হাজার ৭৬৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৯ লাখ ২২ হাজার ৯২৯ জন। এখনও চিকিৎসাধীন আছেন ২৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৯৭ জন। মোট পরীক্ষা হয়েছে সাত কোটি ৯৬ লাখ এক হাজার ৯৯৯ জন। ভারতে সংক্রমণ বাড়ছেই ॥ প্রতিবেশী চীন থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে মহামারী হয়ে ওঠা করোনায় ভারতে মৃতের সংখ্যা ৫১ হাজার ৭৯ জন পার হয়েছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ ড্যাশবোর্ডে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে মোট সংক্রমিত ২৬ লাখ ৪৭ হাজার ৬৬৩ জনে। ইতালিতে রাতে মাস্ক বাধ্যতামূলক ॥ ইতালিতে রাতের বেলা মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ মনে করছে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব তদারকি করা কঠিন হয়ে পড়ছে। সে কারণেই এই সময়ে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নাইট ক্লাব ও অন্য বিনোদন কেন্দ্রও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
×