ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে লেনদেন বাড়লেও সূচকের বড় পতন

প্রকাশিত: ২১:২৪, ১৮ আগস্ট ২০২০

শেয়ারবাজারে লেনদেন বাড়লেও সূচকের বড় পতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের বড় উত্থানের মাধ্যমে লেনদেন শুরু হলেও শেষ পর্যায়ে তা বড় পতনে রূপ নিয়েছে। লেনদেন শুরু হতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক প্রায় এক শ’ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েছিল, তবে ভোজবাজির মতো বাজারের সেই চিত্র উল্টে লেনদেন শেষে সূচকটির পতন হয়েছে প্রায় এক শ’ পয়েন্ট। ঈদের আগের শেষ সপ্তাহ থেকেই একের পর এক বড় উত্থান হওয়া শেয়ারবাজারে সোমবার লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৮১ পয়েন্ট বেড়ে যায়, যা লেনদেনের ১০ মিনিটের মাথায় বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ পয়েন্ট। মূল্য সূচকের এমন উল্লম্ফনের মাধ্যমে লেনদেন শুরু হলেও আধাঘণ্টার মধ্যে সূচক নিম্নমুখী হতে থাকে। বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপে দরপতন হতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় রীতিমতো ধসে পড়ে মূল্য সূচক। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৭৪ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৭৮৫ পয়েন্টে নেমেছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি বড় পতন হয়েছে অপর দুই সূচকের। এর মধ্যে বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২১ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৬১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯৬ পয়েন্টে নেমেছে। এদিকে মূল্য সূচকের বড় পতনের সঙ্গে দরপতনের খাতায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১১৮ প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২২৮টির এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অথচ লেনদেনের শুরুতে প্রায় তিন শ’ প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়ে যায়। বিপরীতে দাম কমে ৫০টির। তবে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের গতি বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪০৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ৩৫১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৫৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এর আগে গত ২৮ জুন ইউনিলিভার বহুজাতিক কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন কেনায় ডিএসইতে দুই হাজার ৫৪৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এর মধ্যে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনেরই দুই হাজার ২২৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এ দিনের লেনদেন বাদ দিলে সোমবার ডিএসইতে ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। বড় অঙ্কের এই লেনদেনের দিনে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৪ কোটি ৯০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ৪৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আইএফআইসি ব্যাংক, বেক্সিমকো, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৮৩ পয়েন্ট। বাজারে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৯০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৭৪টির এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
×