ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা শিথিল

প্রকাশিত: ০১:০৩, ১৬ আগস্ট ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা শিথিল

সারাবিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর। এইচ১-বি এবং এল-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সম্প্রতি যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তাতে খানিকটা ছাড় দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এমন ছাড় দেয়া হবে জে-১ ভিসাতেও। তবে সবটাই ‘শর্তসাপেক্ষে’। খবর ইয়াহু নিউজ অনলাইনের। গত জুনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, অভিবাসী নন, এমন যারা এইচ১-বিসহ অন্যান্য ‘নন-ইমিগ্র্যান্ট’ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে আসেন, তাদের আপাতত আর ভিসা দেয়া হবে না। কারণ বিদেশীদের ভিসা দিলে, করোনা-পরিস্থিতিতে মার্কিন নাগরিকদের আরও বেশি করে কাজ হারাতে হবে। কিন্তু এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, সরকারের এই পদক্ষেপে দক্ষ কর্মী হারাবে তারা। এতে ক্ষতি হবে তাদেরই। গত কয়েক সপ্তাহে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখার জন্য সেক্রেটারি অব স্টেটের কাছে আবেদন জানান একাধিক সিনেটর ও কংগ্রেসম্যান। এইচ ১-বি ভিসায় ভারত, চীনসহ অন্য দেশগুলো থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার বিদেশী কর্মী নিয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো, মূলত তথ্যপ্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য সেক্টরে। এল-১ ভিসাও একই রকম, কিন্তু স্বল্প সময়ের ভিসা। তিন মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত এল-১ ভিসা দেয়া হয়। স্টেট ডিপার্টমেন্ট বুধবার ঘোষণা করেছে, এই ভিসাগুলোর ওপরে যে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল, দেশের স্বার্থেই তাতে ছাড়পত্র দেয়া হবে। তাদের জারি করা এ্যাডভাইজরিতে জানানো হয়েছে, একই সংস্থার সঙ্গে একই পদে এবং একই ধরনের ভিসায় যারা যুক্তরাষ্ট্রে কাজ চালিয়ে যেতে চান, তাদের এইচ ১-বি ভিসা ও এল-১ ভিসা দেয়া হবে। আরও জানানো হয়েছে, কোন সংস্থাকে তার বর্তমান বিদেশীকে কর্মীকে সরানোর জন্য চাপ দেয়া হলে, সেটা সংস্থার পক্ষে কঠিন হতে পারে। তাই এ কাজ করা হবে না। এইচ ১-বি ভিসায় যারা স্বাস্থ্য সেক্টরে (কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কিংবা ক্যানসারের মতো কোন রোগের গবেষণায় যুক্ত) কাজ করেন, তাদের যুক্তরাষ্ট্র সফরেও নিষোধাজ্ঞা জারি করা হবে না। জে-১ ভিসা দেয়া হয় রিসার্চ স্কলার, অধ্যাপক, বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীদের। এ ক্ষেত্রেও কিছু ক্যাটাগরিতে ছাড় দেয়া হবে।
×