ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বিচার বিভাগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে কাজ করছে

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ১৬ আগস্ট ২০২০

বিচার বিভাগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে কাজ করছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ জাতির জনকের আদর্শকে ধারণ করে আইনের শাসন এবং সকলের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এমন এক মহান ব্যক্তিত্ব যাকে কোন বিশেষণে বিশেষায়িত করা যাবে না। এই মহান নেতা আমাদের জাতীয় জীবনে এক জ্যোতির্ময় আলোকবর্তিকা। শনিবার বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এমন এক মহান ব্যক্তিত্ব যাকে কোন বিশেষণে বিশেষায়িত করা যাবে না। ভাষা আন্দোলন, জাতির মুক্তির সনদ, ছয় দফা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তি সংগ্রাম, জয়বাংলা, বাঙালী জাতীয়তাবাদ বাঙালীর স্বাধিকার, বাঙালীর স্বাধীনতা, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ যাই বলি না কেন এ শব্দগুলোর অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই মহান নেতা আমাদের জাতীয় জীবনে এক জ্যোতির্ময় আলোকবর্তিকা। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি এক কথা বলেন। এর আগে শনিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের জাজেস লাউঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম শতবার্ষিকী উযদ্যাপন বিষয়ক বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট জাজেস কমিটির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট জামে মসজিদে পবিত্র কোরান খানি ও দোয়া করা হয় এবং দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হয়। সকাল ১১টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্ব বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের উপস্থিতিতে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান বিচারপতি, আপীল বিভাগের চারজন বিচারপতি এবং হাইকোর্ট বিভাগের ২৮ জন বিচারপতি বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, বাঙালী জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি বলে তার জীবনের অনেকটা সময় কারাগারে কেটেছে। আদর্শ এবং মূল্যবোধ থেকে তিনি এক পা পিছু হটেননি। গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে সুসংহত করতে বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষদিন পর্যন্ত প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছেন। তিনি বিচারবিভাগ পৃথকীকরণের কথা শুধু ১৯৭২ সালের সংবিধানেই বলেননি, তারও আগে ১৯৫৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের গণপরিষদে আইন সভার সদস্য হিসেবে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচারবিভাগ পৃথকীকরণের জোর দাবি উত্থাপন করেন। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি আমাদের একটি সংবিধান উপহার দেন। দেশের মানুষ স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পেলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। সভা শেষে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে ২ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ হওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। এ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ॥ বাংলাদেশের এ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২০ উপলক্ষে শনিবার সকাল ১১.৩০ মিনিটের সময় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশের এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঞ্চালনা করেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। বঙ্গবন্ধুর জীবন আলেখ্য নিয়ে আলোচনায় সভাপতি ও প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ, একেএম আমিন উদ্দিন (মানিক), বিপুল বাগমার, অমিত দাস গুপ্ত, বিএম আবদুর রাফেল, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও মোঃ আসাদুজ্জামান মনির। একটানা প্রায় দুই ঘণ্টা বক্তাগণ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন লেখকের বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন তথ্য মূলক বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা শেষে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকা-ে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ।
×