ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বায়ার্নের আধিপত্যে লজ্জার সাগরে ডুবলো বার্সেলোনা

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ১৫ আগস্ট ২০২০

বায়ার্নের আধিপত্যে লজ্জার সাগরে ডুবলো বার্সেলোনা

অনলাইন ডেস্ক ॥ বায়ার্ন মিউনিখ নিজেরাও কি ভেবেছিল? কিংবা মাঠে নামার আগে বার্সেলোনার একবারও কি মনে হয়েছিল লজ্জার কালিমা গায়ে মাখতে যাচ্ছে তারা? হ্যাঁ, এবারের মৌসুমের পরিসংখ্যান কিংবা পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলে ফেবারিট ছিল বায়ার্ন, তাই বলে বার্সেলোনার জালে ৮ গোল দেবে, সেটা ঘুণাক্ষরেও ভাবার কথা নয় কারও। অথচ হলো তাই। কাতালানদের তছনছ করে গোলবন্যায় সেমিফাইনাল পৌঁছে গেছে জার্মান ক্লাবটি। ৮-২। লিবসনের চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের স্কোরলাইন এটাই। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত বার্সেলোনার জালে একের পর এক বল জড়িয়ে গেলো বায়ার্ন। চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে হাইভোল্টেজ ম্যাচের যে তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছিল এই ম্যাচটির গায়ে, সেটির ছিটেফোঁটাও টের পাওয়া যায়নি। বরং একপেশে ম্যাচে বায়ার্নের আধিপত্যে লজ্জার সাগরে ডুবেছে বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় হার। লিসবনের কোয়ার্টার ফাইনালের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক বায়ার্ন। বার্সেলোনাকে গুছিয়ে ওঠার সুযোগটাই দেয়নি তারা। চতুর্থ মিনিটে শুরু হওয়া গোল উৎসব চলেছে ৮৯ মিনিট পর্যন্ত। প্রথমার্ধেই বার্সা হজম করেছে ৪ গোল, চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে এই পরিস্থিতির সামনে কখনও পড়তে হয়নি তাদের। চতুর্থ মিনিটে টমাস মুলারের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। তখনও আঁচ করা যায়নি সামনে কী অপেক্ষা করছে, কেননা সপ্তম মিনিটেই বার্সেলোনা সমতায় ফেরে ডেভিড আলাবা নিজেদের জালে বল জড়ালে। আত্মঘাতী গোলটাই হয়তো তাতিয়ে দেয় জার্মান চ্যাম্পিয়নদের। ২৭ মিনিটের মধ্যে স্কোরশিটে যোগ করে আরও তিন গোল। ২১ মিনিটে ইভান পেরিসিচ, ২৭ মিনিটে সের্গি গ্যানব্রির পর ম্যাচ ঘড়ির কাটা আধঘণ্টা পেরোনোর পর দ্বিতীয়বার বল জালে জড়ান মুলার। ৪-১ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করা বার্সেলোনা বিরতির পর ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল ৫৭ মিনিটে লুইস সুয়ারেজ জাল খুঁজে পেলে। কিন্তু তাতে যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলো বায়ার্ন। ৬৩ মিনিটে ইয়োশুয়া কিমিচের গোলে ব্যবধান বেড়ে ৫-২। এরপর বার্সা থেকেই ধারে বায়ার্নে খেলা ফিলিপে কৌতিনিয়ো ঝড়ে এলোমেলো কাতালানরা। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের পাস থেকে ৮২ মিনিটে গোল উৎসবে যোগ দেন রবার্ত লেভানদোভস্কি। আর ৮৫ ও ৮৯ মিনিটে দুইবার স্কোরশিটে নাম তোলেন কৌতিনিয়ো। বিধ্বংসী জয়ে ১২তম চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন।
×