ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের ১৬ কোটি মানুষকে নিয়েই স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র ধুলিসাৎ করে দেয়া হবে-এলজিআরডি মন্ত্রী

প্রকাশিত: ২০:৩৯, ১৪ আগস্ট ২০২০

দেশের ১৬ কোটি মানুষকে নিয়েই স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র ধুলিসাৎ করে দেয়া হবে-এলজিআরডি মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের ১৬ কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার আদর্শ ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র ধুলিসাৎ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। শুক্রবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নগর ভবনে আয়োজিত স্বাধীনতার মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, পরিবার পরিজন এবং অন্যান্যদের ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর শেখ হাসিনা এবং আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। যা এখনো চলমান আছে। তাদের সেই ষড়যন্ত্র দেশের ১৬ কোটি মানুষ রুখে দিয়েছে। ১৫ই আগস্টের বর্বরোচিত ও কলংকিত অধ্যায় দেশের মানুষের সকল আশা-আকাংখাা ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই বাংলার মাটিকে আর রক্তাক্ত হতে দেয়া হবে না। বঙ্গবন্ধু ছাড়া এদেশের স্বাধীনতা তথা নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের যেমন মুক্তি হতো না। তেমনি তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে বাংলাদেশ ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হত না। মো: তাজুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেদের অধিকার আদায় করেছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে তার দেশের জনগণ তথা সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিশ্বে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং চেতনাকে বুকে ধারণ এবং লালন করে বলেই প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে যখন সারা পৃথিবি লন্ডভন্ড, তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা সংকটেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সকল জনপ্রতিনিধিরা মাঠে গিয়ে কৃষকের ফসল ঘরে তুলে দিয়েছেন। ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন,আমার মায়ের স্বপ্ন ছিল আমরা মানুষ হবো। সেই মানুষ হওয়ার সংগ্রামে আমরা এখনো লিপ্ত। জানিনা কতটুকু মানুষ হতে পেরেছি? মা'র আশা পূরণ করতে পেরেছি কিনা জানিনা, তার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে কিনা জানিনা? কিন্তু এই সংগ্রাম চলবে। শেখ তাপস বলেন,যখনই যেই দায়িত্ব আমার উপর অর্পিত হয়েছে বা হবে,সেই দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথেই পালন করব। যাতে করে মা,বেহেশত থেকে কোন সময় মন খারাপ না করে বলে,তাপস, তুই তো মানুষ হতে পারলি না। আমরা শুধু আমাদের পিতা-মাতাকেই হারায়নি,আমি আর আমার বড় ভাই শেখ পরশ, আমরা দীর্ঘ ২১ বছর আমাদের পিতা-মাতার হত্যাকারীদের বিচারও চাইতে পারিনি। খুনি-কুচক্রী মহল ২১ বছর বিচারের পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হলে বঙ্গবন্ধু- বঙ্গমাতাসহ আমাদের পিতা-মাতার হত্যাকারীদের বিচারের সুযোগ তৈরি হয়।
×