ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁর ধামইরহাটের আধুনিক পাঠাগার

প্রকাশিত: ১৭:৫০, ১৪ আগস্ট ২০২০

নওগাঁর ধামইরহাটের আধুনিক পাঠাগার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর ধামইরহাটে মানবিক মানুষ গড়তে এবং বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে আগামী মাসে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত পাঠাগার। পাঠাগারটি উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বাজারে স্থাপিত হয়েছে। পাঠাগারটি চালু হলে এলাকার শত শত মানুষ উপকৃত হবে। জানা গেছে, উপজেলার ২নং আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর সন্তানরা মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ওই ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ধামইরহাট ও পত্নীতলা উপজেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিকস্তরে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দুর্যোগ মূহুর্তে এ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ওই ফাউন্ডেশনের অঙ্গ সংস্থা হিসেবে মুজিবুর রহমান স্মৃতি পাঠাগার স্থাপনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এব্যাপারে মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গ্রীণ ভয়েস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা পরিবেশবিদ মো.আলমগীর কবির বলেন,বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে এবং মানবিক মানুষ গড়ার লক্ষে তিনি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি মানুষের উৎসাহ, আগ্রহ সৃষ্টি এবং জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ গড়ে তুলতে পাঠাগারের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান সমাজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল পেশার মানুষ বই পড়ার প্রতি বিমুখ হয়ে পড়ছে। শিক্ষা,বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি চর্চা না থাকলে ভালো মানুষ হওয়া যায় না। আগ্রাদ্বিগুন বাজার ধামইরহাট, পত্নীতলা ও সাপাহার উপজেলার মধ্যস্থলে অবস্থিত। এই এলাকায় বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠাগারে বসে পড়ার মতো মানসম্মত কোন স্বতন্ত্র পাঠাগার নেই। বই পড়ার প্রতি মরহুম বাবার অনুপ্রেরণায় আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এলাকায় গুণী মানুষ গড়ে তোলার লক্ষে আগ্রাদ্বিগুন বাজারে নিজস্ব জায়গায় তিনতলা ব্লিডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় প্রায় ১হাজার ২শ’ বর্গফুট জায়গা জুড়ে এ পাঠাগার গড়ে তোলা হয়েছে। জায়গা বাদে প্রাথমিক অবস্থায় এ পাঠাগার স্থাপন করতে তাদের প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে হচ্ছে। পাঠাগারটির ডিজাইন করেছেন দেশের প্রখ্যাত নগরবিদ স্থপতি মো. ইকবাল হাবীব। সকল প্রস্তুতি শেষে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখে পাঠাগারটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
×