ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সেনা ও পুলিশ বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে ॥ পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন

প্রকাশিত: ০১:৩৯, ১৪ আগস্ট ২০২০

সেনা ও পুলিশ বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে ॥ পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করে সেনা এবং পুলিশ বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়। গত ৩১ জুলাই টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে একটি মহল এই অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে দুটি পেশাদার বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর এ অপচেষ্টা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত। এতে বলা হয়, গত ৩১ জুলাই টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার বিষয়টি একটি অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত ঘটনা। এ ঘটনায় সমগ্র দেশবাসীর ন্যায় বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত দুঃখিত ও মর্মাহত। এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আইনী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মামলা রুজু হয়েছে এবং মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ও বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, কোন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে, তার জন্য ব্যক্তিই দায়ী থাকবেন, প্রতিষ্ঠান দায় নেবে না। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন যৌথ সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যকে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে সাধুবাদ জানাচ্ছে। এ ঘটনার দায়-দায়িত্ব নির্ধারণে প্রয়োজনীয় সর্বাত্মক আইনী ও প্রশাসনিক সহযোগিতা প্রদানে তাদের যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনকে গভীরভাবে আশান্বিত করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ এবং আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ্যাসোসিয়েশন বিশ্বাস করে যে, অতীতের ন্যায় বাংলাদেশ পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যকার বিদ্যমান আস্থা, বিশ্বাস, আন্তরিক ও শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকবে এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ভবিষ্যতে তা আরও দৃঢ় ও সংহত হবে। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন গভীর বিস্ময় ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, এ ঘটনাকে উপজীব্য করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কিছু কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানামুখী অপপ্রচার চালিয়ে চলমান আইনী কার্যক্রমকে প্রভাবিত ও বাধাগ্রস্ত করার জন্য তৎপর রয়েছে। উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ দুটি পেশাদার বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর এ অপচেষ্টা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত। জাতিসংঘ মিশনেও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যগণ অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, অতীতের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশ প্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আগামী দিনগুলোতেও দেশ ও মানুষের সেবায় একযোগে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবে। বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন সুশীল সমাজ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সর্বসাধারণের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছে।
×