ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেড় বছর পর ছাত্র হত্যার রহস্য উন্মোচন

প্রকাশিত: ০০:০৪, ১৪ আগস্ট ২০২০

দেড় বছর পর ছাত্র হত্যার রহস্য উন্মোচন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বাঘা উপজেলায় স্কুলছাত্র আরিফ হোসেনকে (১৯) নৃশংসভাবে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়। আর এ কারণে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করা যায়নি। তবে ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর সেই হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এতে পাওয়া গেছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই স্কুলছাত্র আরিফকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তার হত্যার আলামত ধ্বংস করতেই হত্যার পর তার মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। স্কুলছাত্র আরিফ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে পিবিআই মিজানুর রহমান (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়। এরপর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন মিজানুর। গ্রেফতার মিজানুর রহমানের বাড়ি বাঘা উপজেলার রুস্তমপুর ভারতীপাড়ায়। তিনি ইব্রাহিম আলীর ছেলে ও পেশায় ভ্যানচালক। রাজশাহীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জল মাহমুদ অভিযুক্ত মিজানুরের জবানবন্দী রেকর্ড করেছেন। বুধবার রাতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক আব্দুল মান্নান জানান, মঙ্গলবার মিজানুরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর মিজানুর এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দীতে মিজানুর জানিয়েছে, স্কুলছাত্র আরিফের সঙ্গে তার চাচা কুদ্দুসের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জেরে আরিফকে হত্যা করা হয়। কুদ্দুস ছাড়াও হত্যাকান্ডের সময় মিলন ও মজনু নামে আরও দুইজন সেখানে উপস্থিত ছিল। প্রথমে শ্বাসরোধ করে আরিফকে হত্যা করা হয়। এরপর আলামত ধ্বংসের জন্য মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়।
×