ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় ডি-এইট সম্মেলন জানুয়ারিতে

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ১৩ আগস্ট ২০২০

ঢাকায় ডি-এইট সম্মেলন জানুয়ারিতে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডিএইট রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলন আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। করোনা সংক্রমণের কারণে এবারের সম্মেলন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আর্থ-সামজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য। সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ প্রধানরা ভার্চুয়ালি রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিদর্শন করবেন এবং সংকট কাটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রসঙ্গে আলোচনা করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডি এইটের দশম শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলনের স্বাগত দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। গত মে মাসে ঢাকায় সম্মেলনটি হওয়ার কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়। আসন্ন সম্মেলন অনুষ্ঠানের বিষয়ে গত ১১ আগস্ট ডি এইটের বর্তমান চেয়ার তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফারুক কামাকসি’র নেতৃত্বে ভার্চুয়ালি এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, চলমান করোনা দুর্যোগের কারণে দশম শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলন আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। তবে চলমান নিউ নরমাল পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে গোটা পরিকল্পনা। চলমান পরিস্থিতি যদি অনুকূলে না থাকে তবে দশম শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলনটি আরও পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। এর আগে, গত এপ্রিলে ডি-৮ রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আসন্ন বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জোটের চেয়ারম্যান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এই সময়ে সকলে মিলিতভাবে কীভাবে করোনা প্রতিরোধ করা যায়, সে বিষয়ে আমাদের কাজ করা প্রয়োজন। আমরা সকলে একসঙ্গে বসলে এই সংকট কাটাতে পথ বেরিয়ে আসবে।’ কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ভৌগোলিকভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডি এইটের আটটি দেশ চলমান মহামারীবিরোধী লড়াইয়ের জন্য নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা এবং সংহতির প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করছে। যাতে নিজেদের মধ্যে সর্বোত্তম অনুশীলন এবং সহযোাগিতা ভাগাভাগি করে কষ্ট কমিয়ে আনতে পারে। সর্বশেষ অনলাইন বৈঠক থেকে এই দেশগুলো নিজেদের দেশের মধ্যে বা উন্নত দেশগুলো থেকে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য-উদ্ভাবন সংক্রান্ত অভিজ্ঞতাগুলো ভাগ করে নেওয়ার উপায় খুঁজে বের করার প্রয়াস চালায়। পাশাপাশি এই দেশগুলোর উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। উন্নয়নশীল ৮ দেশের জোট বা ডি-এইট রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্ক। এই জোটের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
×