ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাবরিনা-আরিফুলদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পেছালো

প্রকাশিত: ১৪:০৭, ১৩ আগস্ট ২০২০

সাবরিনা-আরিফুলদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পেছালো

অনলাইন ডেস্ক ॥ করোনা পরীক্ষা না করে মনগড়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী, তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে ২০ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালত এই আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন—আবু সাঈদ চৌধুরী, হিমু, তানজিলা, বিপুল, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরী ও চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আট জনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। তাদের উপস্থিতিতে আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ৬ আগস্ট ঢাকার চিফ ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন। এরপর তিনি মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে বদলির আদেশ দেন। একইসঙ্গে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে দুপুরের সাবরিনা ও আরিফসহ আট জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটটি দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছে। অভিযোগপত্রে অন্য আসামিরা হলো—আবু সাঈদ চৌধুরী, হিমু, তানজিলা, বিপুল, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে হিমু, তানজিলা ও রোমিও দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার নথি থেকে জানা যায়, এ মামলায় গত ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশ। হিরু স্বীকারোক্তি দিয়ে জানান, তিনি ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করতেন, যার সঙ্গে জেকেজি গ্রুপের লোকজন জড়িত। ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজনকে আটক করে। সিইও জানায়, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর জ্ঞাতসারেই সবকিছু হয়েছে। এরপর গত ১২ জুলাই ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। ১৩ জুলাই তার তিন দিনের রিমান্ড হয়। ওই রিমান্ডের পর ১৭ জুলাই তার ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আর মামলায় গত ২৩ জুন আরিফ চৌধুরী গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে যায়। পরবর্তীতে গত ১৫ জুলাই তাকে ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে সব আসামিই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
×