ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

এক মাস আগেই জাতীয় ও এইচপি দল শ্রীলঙ্কায় যাবে

প্রকাশিত: ২৩:৪৯, ১৩ আগস্ট ২০২০

এক মাস আগেই জাতীয় ও এইচপি দল শ্রীলঙ্কায় যাবে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে গেল। ২৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে। সফরে টি২০ সিরিজও থাকতে পারে। জাতীয় দলের সঙ্গে সফরে যাবে বিসিবির হাই পারফর্র্মেন্স (এইচপি) দলও। এইচপি দলের ক্রিকেটাররাও শ্রীলঙ্কায় সিরিজ খেলবে। ২৪ অক্টোবর প্রথম টেস্ট দিয়ে সিরিজ শুরু হতে পারে। এক মাস আগেই জাতীয় ও এইচপি দল শ্রীলঙ্কায় যাবে। শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে বাংলাদেশ দল তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে। টেস্ট সিরিজ অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে, ২৪ অক্টোবর শুরু হতে পারে। এই সিরিজ শেষে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজও থাকতে পারে। যদিও জানা গেছে, টি২০ সিরিজটি শ্রীলঙ্কা খেলতে আগ্রহী। শ্রীলঙ্কাই বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এজন্য একটি টেস্ট কমিয়ে টি২০ সিরিজ খেলতে চায় তারা। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) এমনই প্রস্তাব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দিয়েছে। তবে বিসিবি এতে রাজি নয়। কারণ, টেস্ট সিরিজটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ। এ সিরিজটি জুলাই-আগস্টেই হওয়ার কথা ছিল। করোনাভাইরাসের প্রভাবে হতে পারেনি। এখন যখন হচ্ছে, তখন আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ একটিও বাদ দিতে রাজি নয় বিসিবি। শেষপর্যন্ত কি হয়, তা সময় হলেই দেখা যাবে। শীঘ্রই সফরসূচী চূড়ান্ত করবে বিসিবি ও এসএলসি। টেস্ট সিরিজ শুরু হতে দেরি হলেও এক মাস আগেই লঙ্কায় পাড়ি জমাবে বাংলাদেশ দল। করোনা ঝুঁকি এড়াতে সেখানে গিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন টাইগাররা। তবে শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে যে ক্রিকেটাররা আবার দীর্ঘ বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে চলেছেন, এটাই আনন্দের খবর। এইচপি দলের সফর আগেই চূড়ান্ত ছিল। তারা যে যাবে, তা নিশ্চিত ছিল। সফরে দুইটি তিনদিনের ম্যাচ ও পাঁচ ওয়ানডে খেলবে এইচপি দল। শ্রীলঙ্কায় প্রায় ৫০ জনের বিশাল বহর সফর করবে। এইচপি ও জাতীয় দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও কর্মকর্তাসহ দ্বীপরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বহর প্রায় ৫০ জনে গিয়ে ঠেকবে। বিশাল এ বহরকে চার্টার্ড ফ্লাইটেই কলম্বো পাঠানোর পরিকল্পনার বিসিবির। সফর নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করতে বুধবার বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন, পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান, বিসিবির পরিচালক ও এইচপির প্রধান নাঈমুর রহমান দুর্জয়, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। সফর নিয়ে সবকিছুই আলোচনায় উঠে আসে। দুপুর ১২টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠক হয়। দেশ ছাড়ার আগে দুই দলের ক্রিকেটারদের দুইবার করোনা টেস্ট করানো হবে। যারা নেগেটিভ আসবে তাদেরই সফরে নেবে বিসিবি। জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হবে ১০ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের ভেতরে। এইচপি দল সরাসরি শ্রীলঙ্কায় মাঠে নামবে। তবে ঢাকায় তাদের ১৪ দিনের আইসোলেশনে রাখা হবে। জাতীয় দলের সফর নিয়ে আকরাম খান বলেন, ‘যে কোন সফর বা সিরিজে তিন টেস্ট খেলা দারুণ কিছু। তবে আমরা পাঁচ-ছয় মাসেও কোন ক্রিকেট খেলেনি। এটা উদ্বেগের কারণ। ক্রিকেটাররা মাঠে অনেক পরীক্ষার মুখোমুখি হবে। আশা করছি জাতীয় দলের জন্য আমরা যে পরিকল্পনা করেছি সেটা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারব। আমরা তাদের প্রস্তুতিতে কোন ঘাটতি রাখব না।’ নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘জাতীয় দল ও এইচপি দল একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কা সফর করবে। এইচপির জন্য ২৪ জনের স্কোয়াড চূড়ান্ত করা হবে। জাতীয় দলের সিরিজ শুরুর আগে এইচপির কাজই হবে জাতীয় দলের অনুশীলনে সাহায্য করা।’ এত দীর্ঘদিনের সফর হবে, খরচ সবটাই কী এসএলসি বহন করবে? আকরাম জানালেন, লঙ্কা সফরের শুরুতে এইচপি দলের খরচ বিসিবি বহন করবে। সিরিজ শুরুর আগ মুহূর্তে দল যখন শ্রীলঙ্কার আতিথেয়তায় ঢুকে যাবে তখন স্বাগতিকরাই সব খরচ বহন করবে। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলের পূর্ণ প্রস্তুতির জন্য আমরা এইচপি দলকে আগে ভাগে শ্রীলঙ্কা নিচ্ছি। এজন্য এইচপি দলের প্রথম তিন সপ্তাহের খরচ আমরা বহন করব। জাতীয় দলের জন্যও তাই। এইচপি দল যখন শ্রীলঙ্কায় আতিথেয়তায় চলে যাবে তখন ওরাই সবকিছু দেখবে।’
×